পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\De R. রহিয়াছে এই যে, যেন জ্ঞানের অগম্য পদার্থকেও মনে ভাবিতে পারা সম্ভবে । মনেভাবা বাস্তবিক-সত্তাকে কাণ্ট ক্রোড় পাতিয়া গ্রহণ করিতেছেন ; অথচ, জ্ঞানে জানা ৰাস্তবিক-সত্তা’র প্রতি তিনি পরাত্মথ। জ্ঞানে জানা বাস্তবিক সত্তা হচ্ছেন সেই বাস্তবিক-সত্তা, যিনি স্বয়ংবস্তুর সহিত (thing in-itselfএর সহিত ) একাসনে উপবিষ্ট । রূপকটিকে ভাল করির গুছাইয়া বলি— ভাহা হইলেই কাণ্টের সংশয়বাদের প্রকৃত বৃত্তান্তটি আপামর সাধারণের বোধগম্য হইতে পরিবে। কাণ্ট ছিলেন সৰ্ব্বপ্রকারে স্বকার্য্যে দক্ষ । মনে-ভাবা বাস্তবিক-সত্তা র্তাহীর চিন্তার উদ্ভাবনা---একপ্রকার মানসকন্যা । বাস্তবিক-সত্তারূপিণী সেই ষে মানসকন্ত। সতী, তাছার পতি হ’চ্চেন স্বয়ংবস্তু। র্তাহার পিতার নিকটে ( কাণ্টের নিকটে) তিনি মনে-ভাব ; পতির নিকটে ( স্বয়ংবস্তুর নিকটে ) জ্ঞানে-জানা । সেই বাস্তবিক-সত্তারূপিণী সতী সংবিতের একতাবেশে পদার্থসভার মাঝখানে ( categoryদিগের মাঝখানে ) অনাহূত আসিয়া উপস্থিত ; পুষ্পকে দূরে ফেলিয়া রাখিয়া সৌরভ যেন চলিয়া আসিল আপনি একাকী । কান্ট, বলেন, সংবিতের একতা বস্তুপূক্ত হইলেও—যোগাত্মিক ; তাহার ত্রিনেত্র রহিয়াছে ভূত-ভবিষ্যৎবর্তমানে উল্মীলিত। পক্ষাস্তরে, স্বয়ংবস্তু ( thingin-itself ) frsfgĘ দিগ্‌বিদিকশূন্ত ভোলা। ঢুলঢুলুচক্ষে আছেন তিনি ভালো জনশূন্ত শ্মশানে বা অগম্য কৈলাসশিখরে —সেইখানেই থাকুন। তাহাকে নিমন্ত্রণ बंक्रमणनि । [ ৪র্থ বর্ষ, আশ্বিন। করিয়া অনিয়া সভার মাঝখানে বসানো হইতে পারে না। কাণ্টের পুরাণ-কাহিনী এ-যেমন একটি—এই-তেন্নি আর-একটি :– কালী (অর্থাৎ কালের মুহূর্বপরম্পরা ) নৃত্য করিতেছেন (কিনা ভাঙিতেছেন-গড়িতেছেন) যোগিনী সমভিব্যাহারে [ কিনা যোজনাশক্তিকে (Synthesisকে ) সঙ্গে করিয়া ] । কালীর স্বামী যিনি (অর্থাৎ কালের ভিত্তিমূল যিনি ) শঙ্কর মহাকাল ( Eternity ), তিনি মৃতবৎ পড়িয়া আছেন সটান। কালীর বিচিত্রলীলা’র সহিত মহাকালের যেন কোনো সম্পর্কই নাই--অথচ দোহে দোহার অদ্ধাঙ্গ । কাণ্টের পুরাণে, যোজনাশক্তিসমভিব্যাহারিণী সংবিতের সহিত স্বয়ংবস্তু’র ( thing-in-itselfa; ) critai H***ệ নাই—অথচ উভয়ে পরম্পরের এপিট-ওপিট । পূর্ণাঙ্গ সভ্য। এই সকল ভেদবুদ্ধি সংশয়বাদের গোড়া’র কথা। প্রকৃত সত্য যাহা, তাছা আমরা বহুপূৰ্ব্বে বলিয়া চুকিয়াছি ; পাঠককে তাহা আরেকবার স্মরণ করাইয়া দিই – সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ ( বা জ্ঞান ), এ তিনটি মৌলিক পদার্থ এরূপ হরিহরব্রহ্মা যে, তিনের কোনোটি অপর-দুইটির সহিত সম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়া মুহূৰ্ত্তকালও একাকী থাকিতে পারেন। যেমন কাগজের এপিটওপিট এবং স্থলত। এপিট যেমন ওপিটের . সহিত একেবারেই সম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়া একাকী থাকিতে পারে না, ভাতি তেমনি অস্তি’র সহিত সম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়া একাকী থাকিতে পারে না । স্থলত যেমন এপিট-ওপিটের সহিত সম্পর্ক পৱিত্যাগ