পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা | 1 এ বিষয়ে আমাদের দেশের श्वांश বলেন, তাহা অতীব পরিষ্কার । তাহাদের কথা এই যে— “মানং প্রবোধয়ন্তং বোধং যে মানেন বুভুৎসস্তে । এধোভিরের দহনং দগ্ধ বাঞ্ছন্তি তে মহাস্থধিয়ঃ " প্রমাণকে জাগাইয়া তুলিতেছে যে সাক্ষাৎজ্ঞান, সেই সাক্ষাৎ-জ্ঞানকে যাহারা প্রমাণদ্বারা বুঝিতে ইচ্ছা করেন—সেই সকল মহাপণ্ডিতের প্রজলিত ইন্ধনকাষ্ঠস্বারা অগ্নিকে দগ্ধ করিতে ইচ্ছা করেন । অর্থাৎ যে অগ্নি ইন্ধনকে দগ্ধ করিতেছে, সেই অগ্নিকে তাহারা ইন্ধন দিয়া দগ্ধ করিতে ইচ্ছা করেন । আমাদের বক্তৰ কথা সংক্ষেপে এই – আত্মার সত্তা, শক্তি এৰং জ্ঞান গোড়াতেই একীভূত রহিয়াছে । গোড়াতে আত্মা যেরূপ প্রকাশ পাইতেছেন, তাছাই তিনি আপনি ; আর, আপনার সত্তা এবং প্রকাশের মাঝখানে ইচ্ছা এবং শক্তি যাহা স্ফৰ্ত্তি পাইতেছে, তাছাও তিনি আপনি । আত্মসত্তা, অত্মিশক্তি এব: আত্মজ্ঞান, সমস্ত লইয়া এক মাত্মা । আত্মসত্তা চিন্তার পুৰ্ব্ব হইতেই বৰ্ত্তমান—আত্মজ্ঞান চিন্তার পূর্ব হইতেই প্রকাশমান—আত্মশক্তি চিন্তার পূর্ব হইতেই দুৰ্ত্তিমান। যাহা চিন্তার মূলে আছে, তাছাই যদি চিন্তার ফলে দাড়ায়, তবেই চিস্তা সার্থক চিন্তা হয় । পক্ষান্তরে, এরূপ যদি হয় -ৰে, চিস্তার মূলে আছে একরূপ ফলে দাড়াইতেছে আর একরূপ -তবে তাহা চিন্তার একপ্রকার কৃত্রিম কারী করি - তাহ যথার্থভাবের চিস্ত নহে। ইতিপূৰ্ব্বে ৰলিয়াছি যে, সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশের ক্রম ইরূপ—(১) অস্থলোম এবং ☾ তত্ত্বজ্ঞানীরা ( ২ ) প্রতিলোম । সার সত্যের আলোচনা । * 5 e (t - -*— — ... -- - - .. ، - ة -- -- اسم مـ- - - - ---- ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডে অঙ্গুলোম ক্রম এইরূপ : - * তাহার পরে প্রথমে আত্মসত্ত্বr; চিচ্ছত্তি’র তুৰ্ত্তি বা চিন্তা, তাহার পরে আত্মার প্রকাশ বা আত্মজ্ঞান । প্রতিলোমক্রমে এইরূপ :– প্রথমে আত্মপ্রকাশের উপলব্ধি—তাহার পরে চিচ্ছক্তির উপলব্ধি, তাহার পরে আত্মসত্তার উপলব্ধি । অমুলোম-পদ্ধতি’র পর-পর সিঁড়ি’র ধাপ হচ্চে—কৰ্ত্তা, ক্রিয়া, কৰ্ম্ম ; প্রতিলোম-পদ্ধতির পর-পর সিড়ির ধাপ হ’চ্চে—জ্ঞেয়, জ্ঞান, জ্ঞাতা । আত্মা শুদ্ধকেবল একটা ফাকা একত্ব নহে - পরস্তু জ্ঞান-জ্ঞাত-জ্ঞেয়, কর্তাকৰ্ম্ম-ক্রিয়া, সমস্তেরই সমাধিস্থান বা কেন্দ্রস্থান ; অথবা যাহা একই কথা আত্মা—সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ, তিনই একাধারে । ক্ষদ্র-ব্রহ্মাণ্ডের যাহা-কিছু, সমস্তই বৃহৎব্ৰহ্মাগু হইতে আসিয়াছে, এটা যখন স্থির : এটা যখন স্থির যে, আমরা চিন্তা খাটাইয়া আপনার সত্তাকেও মানয়ন করি নাই, আপনার শক্তিকেও আনয়ন করি নাই, আপনার প্রকাশকেও আনয়ন করি নাই, তখন তাহাতেই প্রতিপন্ন হইতেছে যে, আমাদের আত্মসত্তা, আত্মশক্তি এবং আত্মপ্রকাশ, তিনেরই মূলাধার বৃহৎ-ব্রহ্মাও । এখন দ্রষ্টব্য এই যে, ক্ষুদ্র-ব্ৰহ্মাণ্ডের সারসৰ্ব্বস্ব যেমন জীবাত্মা-বৃহৎ-ব্রহ্মাণ্ডের (অর্থাৎ সৰ্ব্বজগতের ) সারসৰ্ব্বস্ব তেমনি পরমাত্মা । অতএব এ কল্প স্বতঃসিদ্ধ যে, জৗৰাত্মার সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ, তিনেরই, মূলাধার পরমাত্মা । o