838 বঙ্গদর্শন । ইহা রীতিবিরুদ্ধ হইলে কবি কখনই ইহা এরূপে সন্নিবেশিত কৃরিতেন না। তাৰ ত কালিদাসের কালের অনেক সামাজিক কথা আমরা জানিতে পারিতেছি । প্রবন্ধটি বাড়িয়া চলিল ; অতএব আর একটি বিষয়ের উল্লেখ করিয়াই আদ্যকার মত উপসংহার করিতেছি । অন্তান্ত কাব্যগ্রন্থ অবলম্বন করিয়। এইরূপ সমালোচনা করিবার অভিপ্রায় রহিল। অবশিষ্ট বিষয়টি এই, ষষ্ঠ অঙ্কে যেখানে দুষ্মন্ত ধীবরের হস্তে অঙ্গুরীয়কটি পাইলেন, সেখানে দেখিতেছি যে, ধীবরকে পারিতোষিকস্বরূপ অর্থ দিবামাত্র [ ৪র্থ বর্ষ, অগ্রহায়ণ । তাহার একজন বন্ধু প্রস্তাব করিতেছে —“চল ভাই, গুড়ির দোকানে যাই ।” অথচ রাজার নানা অবস্থার বর্ণনা রহিয়াছে, রাজসভার বর্ণনা রহিয়াছে, রাজপরিষদদিগের উল্লেখ রহিয়াছে, আমোদপ্রমোদের বর্ণনা রহিয়াছে, কোথাও সুরাপানের উল্লেখ নাই । ইহাতে এরূপ নিৰ্দ্ধারণ করা অধোঁক্তিক নহে যে, কালিদাসের কালে সুরাপান কেবল নিম্নশ্রেণীর মানুষের মধ্যে প্রচলিত ছিল, সম্বাস্তসমাজে ছিল না। সন্ত্রাস্ত ব্যক্তিগণ এ প্রকার আমোদকে ঘৃণা করিতেন । ইহাও বৰ্ত্তমান সময়ের সভ্যদেশসকলের প্রথার অনুরূপ । ঐশিবনাথ শাস্ত্রী । ' লক্ষী-সরস্বতী । অয়ি লক্ষ্মি ! নিশারূপে ধীরে ধীরে আপনা বিকাশি’ উন্মুক্ত করিয়া রাখ অপরূপ তব রূপরাশি। গগন-কুস্তলে তব তারকা জলুক অগণন শুীমারণ্য-শাটীমাঝে খস্তোতিক। দীপুষ্ক শোভন । কৌমুদী-কন্দলী-নিভ-হস্তে শশী হৈম পদ্মফুল বিশ্ব-হৃদি-কোকনদে রাখ লক্ষি ! চরণ রাতুল । স্মিত-বিকশিত স্তন্ধ বিশ্ব তব করুকূ আরতি রন্থক জাগিয়া তব পুজামন্ত্রে প্রেমের ভারতী । এ নিশা-লুঙ্গীর পার্শ্বে দিবারূপে তুমি সরস্বতি । বিকচ-প্রোচ্ছল তুর্ণ প্ৰকটিয়া তব পুর্ণজ্যোতি এস মূৰ্ত্তিমতি এস! রবিদীপ্ত তব দিব্যভাল ফুটকৃ নীরব হতে রবাকীর্ণ ধিশ্ব সুবিশাল । রণঝনি কৰ্ম্মতন্ত্রী তীব্র-কর-অঙ্গুলি তাড়নে মঞ্জুল গুঞ্জনে তব বিশ্ববীণা বাজুক সঘনে। শুভ্র জ্ঞান-শতপত্র নিখিলন্ধদয় হর্ষভরে তব পদম্পর্শেম্পর্শে“ফুটিত হউক ধরে ধরে। t শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।