ఫిలో বঙ্গদর্শন । [ ৩য়:বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । হয়। পূর্বেই বলিয়াছি, ইষ্টকর্ণের বিশেষৰ উদ্দেন্তপুৰ্ব্বত । সংস্কারজ কৰ্ম্মে যদি সেই উদ্দেণ্ডের বিদ্যমানত দেখিতে পাওয়া যায়, তবে সেই সকল কৰ্ম্ম ইচ্ছাপ্রণোদিত বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে । এই স্থানে এক সমস্ত উপস্থিত হয় । ইতর প্রাণিগণ যে ভাবে জীবনের লক্ষ্য অমুসরণ করে, তাহ একই ভাবে সম্পাদিত এবং অব্যর্থ। তাহtদের প্রতি কাৰ্য্য আত্মরক্ষণ ও জাতিরক্ষায় প্রবৃত্তি বৰ্ত্তমান। আত্মরক্ষণ অবশু জীবমাত্রেই বুঝে, কিন্তু এই আত্মরক্ষণর জন্ত তাহারা ষেপ্রকার উপায় অবলম্বন করে- বিপদ আগত দেখিলে তাহারা যেমন শীঘ্র তাহা বুঝিতে পারে এবং যেমন চতুরতা ও সত্ত্বরতার সহিত তাহার প্রতীকণর করিতে সচেষ্ট হয়, তাহ। বহুশিক্ষার ফল বলিয়া বোধ হয় । এক জন্মে কেন, বহুজন্মেও সে শিক্ষণ, সে সত্বরতা লাক্ত হয় কি না, সন্দেহ । আমরা ইচ্ছাপূৰ্ব্বক যে সকল কৰ্ম্ম করি, তাহাতে যে বিতর্ক, যে সতর্কত এবং বেরূপ আয়াস, প্রাণিগণ আত্মরক্ষণবিবয়ে যদি সেরূপ বিচার করিয়া প্রবৃত্ত হইত, তবে আত্মরক্ষণ যে নিতান্ত কঠিন ব্যাপার হইয়া উঠিত, জাহাতে আর সন্দেহ নাই । আত্মরক্ষণপ্রণোদিত এই সকল কৰ্ম্মে ইচ্ছা ও উদ্দেশ্বের বিস্তমানত অস্বীকার করিবার উপায় নাই । কিন্তু সে উদ্দেশু জ্ঞানস্বরূপ না হইয় একলক্ষ্য অন্ধপ্রবৃত্তির মত জীবগণকে পরিচালিত করে। আমাকে মারিবার জন্ত একজন বষ্টি আমার হস্ত উত্তোলিত হইল—সেই আঘাত্ত ঠেকাইবার জন্ত । পতনোয়ুখ যষ্টির দশম এবং আমার হস্ত উত্তোলনের মধ্যে মুহূৰ্ত্তমাত্র পর্য্যবসিত হইল কি না, সন্দেহ । অৰলম্বনীয় কৰ্ম্মের সকল দিক্ বিচার করা ইচ্ছার ধৰ্ম্ম । কিন্তু এখানে সকল দিক্ বিচার করিয়া যদি আমায় হস্ত উত্তোলন করিতে হইত, তাহ হইলে তাহার বহুপূৰ্ব্বে আমার বিচারপূর্ণ মস্তক চুর্ণ হইয়া যাইত। যেন কোন অদৃশু দেবতা প্রাণিগণের অস্তরে বিরাজ করিয়া তাহাদিগকে আত্মরক্ষণর দিকে অজ্ঞাতসারে পরিচালিত করিতেছেন । এইজন্ত ডাঃ মাটিনো বলেন যে, অসহায় অজ্ঞান প্রাণীদিগের সহায় ভগবান । জাত্মরক্ষণকার্য্যে মানুষও কিয়ৎপরিমাণে অসহায় এবং অজ্ঞান ৷ পক্ষাস্তরে মানুষ ভাবিয়া কাজ করে, মানুষের স্বাধীনতা আছে । সুতরাং মামুষের পদে পদে সংশয় এবং পদে পদে তাহাকে আপনার জ্ঞানের উপর নির্ভর করিতে হয়। ইতর প্রাণিগণ জ্ঞান এবং স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত । কাজেই তাহাঙ্গের ভাবনা ভগবান ভাবিয়া দেন । সংস্কারজ কৰ্ম্ম ইষ্টকৰ্ম্মের ভিত্তিস্বরূপ । পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, নেষ্ট কৰ্ম্ম ইচ্ছার উপাদানভূত এবং ইষ্টকৰ্ম্মের সহিত সংস্কারজ কৰ্ম্মের বছ সাদৃশু থাকিলেও, শেষোক্ত কৰ্ম্ম মেষ্টকর্মেরই, অস্তভুক্ত। অার এক শ্রেণীর ক্রিয় অাছে, যাহা অনেক বিষয়ে সংস্কারজ কর্মের অজুরূপ । সেগুলির নাম অভ্যাদা । পুনঃপুন এক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিতে করিতে শরীর্যন্ত্র ক্রমান্বয়ে সেই ক্রিয়ার দিকে এত প্রবণতা লাভ করে যে, সেই ক্রিয়া সাধনের লিমিত্ত चमांद्र श्रांमicलग्न भट्नांटशांcग्नञ्च धcब्रांझन श्रुर्भ না । এই প্রবণতার নাম অভ্যাস । অভ্যাস
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।