У o e বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । এই প্রবন্ধে আমরা সংক্ষেপে মনোবিজ্ঞানে ইচ্ছার স্থান নির্দেশ করিতে প্রয়াস পাইয়াছি । চরিত্রনীতি এবং তত্ত্ববিদ্যার হিসাবে ইচ্ছার মুল্য কত, তাহা বারাস্তরে আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল । শ্ৰীখগেন্দ্রনাথ মিত্র । চীন-কাহিনী । লাম টেম্পল ও পঞ্চামুনি । " ২•শে জানুয়ারি । অদ্য শীত কিছু কম। ‘তিনমাসকাল অসহ শীত ভোগ করিয়া আজ শীতলাঘবে বিদেশীয় সৈন্যদল কিছু সুস্থ বোধ করিয়াছে। শীতভয়ে নীরবকাকলি বিহঙ্গম রহুদিন পরে আজ আবার স্বমধুর সঙ্গীতলহরীতে প্রভাতাকাশ বিকম্পিত করিয়া তুলিয়াছে । পিকিন আবার লোকে ভরিয়া উঠিয়াছে। যে সকল দোকানদার রণরস্তে সহর পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিয়াছিল, তাহারা আবার আসিয়া দোকান সাজাইতে আরম্ভ করিয়াছে। বিদেশীয় সৈন্যদলের পদভরে ধরণী কম্পিত হইতেছে । পিকিনে আসিয়া গুনিয়াছিলাম যে, সেথানকার জাপানী বাজারের অৰ্দ্ধমাইল ব্যবধানে লাম। টেম্পল । এই লামা টেম্পলে হিন্দুর দশমহাবিদ্যামূৰ্ত্তি বিরাজিত এবং পঞ্চামুনির প্রকাও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত । স্বতরাং বিদেশে হিন্দুর পরমারাধ্য দেবীসুপ্তি দর্শনে যে হিন্দুসস্তানের স্বভাবত প্রৰল কৌতুহল জন্মিয়াছিল, তাহ বলাই বাহুল্য। কিন্তু এতদিন সুযোগ ঘটিয় উঠে নাই । আঙ্গ সুযোগ বুঝিয়। আমি দুইজন পঞ্জাৰী হসপিট্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও একজন ভবানীপুরনিবাসী বাঙালীবাবুর সমভিব্যাহারে লামা টেম্পল অভিমুখে বাহির হইয়া পড়িলাম । যখন আমরা মন্দিরদ্ধারে উপস্থিত হইলাম, তখন বেলা প্রায় ১ • •ট । সাতটি মন্দির সমভাবে সারিবন্দি সন্নিবেশিত— শেষেরটি সর্বোচ্চ। বড় বড় বাড়ী মন্দিরসাতটিকে ঘেরিয়া তাহাদের প্রাচীরের কার্য্য করিতেছিল। মন্দিরগুলি কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত এবং আকারে কতকটা আমাদের রথ ও মুসলমান্সদের গোয়ারার তাজিয়ার মত । মন্দিরের বাহিরে মিশ্রিত সংস্কৃতভাষায় কি লিখিত । শুনিলাম, উহা বেদভাষা । মন্দিরের অভ্যস্তরে, বহু প্রাচীন তৈলচিত্র । মন্দিরদ্ধারে একজন চীনবাসীর সহিত সাক্ষাৎ হইল । ইনি একজন পাও1 । পাও1 আমাদের সম্ভাষণ করিয়া মন্দিরে লইয়া গেলেন । এইটি প্রথম মন্দির ৷ মন্দিরের অভ্যস্তরে চরিজন লামা বসিয়াছিলেন, “আমাদের দেখিয়া বিশেষ অভ্যর্থনা করিলেন । . লামাগণ তিববতবাসী ৷ . ইহাদের আচারব্যবহার ছিন্দুর মত। --সপ্তক
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।