পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] ভরত >>> নাই । রথ, অশ্ব, হস্তী, রাজপথে কিছুই নাই। হইতেছিলেন । ভরতকে পাইয়া তিনি অসংযত কবাট ও শ্ৰীহীন রাজপুরী যেন ব্যুঙ্গ নিতান্ত হৃষ্ট হইলেন । ভরত পিতার কথা করিতেছে, এ ত অযোধ্যা নহে, এ যেন অযোধ্যার অরণ্য ।” প্রকৃতই অযোধ্যার শ্ৰী অস্তৰ্হিত হইয়াছে । চাদের হাট ভাঙি মু। গিয়াছে । ত্রিলোকবিশ্ৰুতকীৰ্ত্তি মহারাজ দশরথ পুত্রশোকে প্রাণত্যাগ করিয়াছেন ; অভিষেকমঞ্চে পাদোত্তোললোদ্যত্ব জ্যেষ্ঠ রাজকুমার বিধিশাপে অভিশপ্ত হইয়া পাগলের বেশে বনে গিয়াছেন ; বলরকঙ্কণকেয়ুর সর্থীগণকে বিলাইয়। দিয়া অযোধ্যার রাজবধু পাগলিনীবেশে স্বামিসঙ্গিনী হইয়াছেন ; যাহার আয়ত এবং স্ববৃত্ত বাহুদ্বয় অঙ্গদ প্রভৃতি সৰ্ব্ব ভূষণ ধারণের যোগ্য—“লেই হুবর্ণচ্ছবি” লক্ষ্মণ ভ্রাতা ও বধূর পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়াছেন । অযোধ্যার গৃহে গৃহে এই তিন দেবতার জন্ত করুণ ক্রনদনের উৎসব চলিতেছে। বিপণী বদ্ধ, রাজপথ পরিত্যক্ত । সুমন্ত্র সত্যই বলিয়াছিলেন, সমস্ত অযোধ্যানগরী যেন পুত্রহীন কৌশল্যার দশা প্রাপ্ত হইয়াছে । অথচ ভরত এ সকল কিছুই জানেন না । তিনি মৌন প্রতিহারীদিগের প্রণাম গ্ৰহণ করিয়া উৎকণ্ঠি-ছচিত্তে পিতার প্রকোষ্টে গেলেন, সেখানে তাহাকে দেখিতে পাইলেন না। “রাঙ্গ ভবতি ভূয়িষ্টমিছাস্বায় নিবেশনে ।” কৈকয়ীর গৃহে রাজা অনেকসময় থাকেন,— পিতাকে খুজিতে ভরত মাতার গৃহে প্রবেশ করিলেন । * সস্কোবিধবা কৈকী আনন্দে ফুল্লা, পতিঘাতিনী পুত্রের ভাবী অভিষেকব্যাপারের ोनएन्सत्र ब्जि भएन भन्न अकिङ कब्रिग्रा श्र्थी জিজ্ঞাসা , করাতে তিনি বলিলেন—“যা গতিঃ সৰ্ব্বভূতানাং তাং গতিং তে পিত গতঃ ” এই সংবাদে পরশুচ্ছিন্ন বন্তবৃক্ষের দ্যায় ভরত ভূলুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন । “ক স পাণিঃ সুখম্পর্শস্ততস্তাক্লিষ্টকৰ্ম্মণঃ”— অক্লিষ্টকৰ্ম্ম পিতার হস্তের সুখের স্পর্শ কোথায় পাইব ?”—বলিয়া ভরত কঁাদিতে লাগিলেন । রাজ হীন রাজশয্যা তাহার নিকট চন্দ্রহীন আকাশের মত, . বোধ হইল । তিনি কৈকয়ীকে বলিলেন, “রাম কোথায় আছেন ? এখন পিতার অভাবে যিনি আমার পিতা, যিনি আমার বন্ধু, আমি যাহার দাস,-সেই রামচন্দ্রকে দেখিবার জন্ত আমার প্রাণ ব্যাকুল হইতেছে।” রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছেন শুনিয়া ভরত ক্ষণকাল স্তম্ভিত হইয়া রহিলেন, ভ্রাতার চরিত্রসম্বন্ধে আশঙ্কা করিয়া তিনি বলিলেন, —“রাম কি কোন ব্রাহ্মণের ধন অপহরণ করিয়াছেন, তিনি কি দরিদ্রদিগকে পীড়ন করিয়াছেন, কিংবা পরদারে আসক্ত হুইয়াছেন –এই নিৰ্ব্বাসনদও কেন হইল ?” কৈকয়ী বলিলেন—“রাম এ সকল কিছুই করেন নাই।” শেষোক্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলিলেন—“ন রামঃ পরদারান স চক্ষুর্ভ্যামপি পশুতি।” শেষে ভরতের উন্নতি ও রাজশ্ৰী কামনায় কৈকয়ী যে সকল কাও করিয়াছেন, তাহ বলিয়া পুত্রের প্রীতি উৎপাদনের প্রতীক্ষায় তাহার মুখের দিকে চাহিলেন । নিবিড় মেঘমওল যেন আকাশ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল। ধৰ্ম্মপ্রাণ বিশ্বস্তু ভ্রাতা