তৃতীয় সংখ্যা । ] সীতার উত্তরীয় প্রক্ষিপ্ত স্বর্ণবিন্দু তৃণের উপর দৃষ্ট হইতেছিল, এই দৃপ্ত দেখিতে দেখিতে ভরত মৌনী হইয় দাড়াইয়া রছিলেন, ওহক কথা বলিতেছিলেন, ভরত শুনিতে পান নাই । ভরতকে সংজ্ঞাশ্বন্ত দেথিয় শক্রয় তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া কাদিতে লাগিলেন,—রাণীগণ এবং সচিববৃন্দের শোক উচ্ছসিত হইয়া উঠিল । বছযত্নে ভরত জ্ঞানলাভ করিয়া স্লাপ্রনেত্রে বলিলেন, “এই নাকি তাহার শয্যা,—যিনি আকাশস্পশী রাজপ্রাসাদে চিরদিন বাস করিতে অভ্যস্ত, র্যাহার গৃহ পুষ্পমাল্য, চিত্র ও চন্দনে চিরস্থরঞ্জিত, যে গুহুশেখর নৃত্যশীল শুক ও ময়ূরের বিগর ভূমি, ও গীতবাদিত্রশব্দে নিত্যমুখরিত ও যাহার কাঞ্চনভিত্তিসমূহ কারুকার্য্যের আদর্শ,- সেই গৃহপতি ধুলিলুষ্ঠিত হইয়। ইঙ্গুদীমূলে পড়িয়া ছিলেন, এ কথা স্বপ্নের স্থায় বোধ হয়, ইহা অবিশ্বাশু । আমি কোন মুখে রাজপরিচ্ছদ পরিধান করিব, ভোগবিলাসের দ্রব্যে আমার কাজ নাই, আমি আজ হইতে জ্ঞটাবৰল পরিয়া ভূতলে শয়ন করিব ও ফলমূলাহার করিয়া জীবনযাপন করিব।” এবার জটাবহুলপরিস্থিত শোকবিমূঢ় ब्रांछकूर्मीब्र उब्रथाजभूमिब्र श्राथरम शाहेब्र রামচন্দ্রের অনুসন্ধান করিয়াছিলেন । এই সৰ্ব্বজ্ঞ ঋষিও প্রথমত সন্দেহ করিয় ভরতের भन**ौम्ना निभ्राझिcगन ।। ७कज्ञाजि ठब्रचारछद्र আশ্রমে আতিথ্যগ্রহণ করিয়া মুনির নির্দুেশাহুসারে রাজকুমার চিত্ৰকুটাভিমুখে রওনা *३प्गन । छब्रवाज छब्रप्ङग्न শিবিৰুে আগমন *बिंधt ब्रागैनिभ८क छिनिप्ड काहिएलन ভরত - ১১৩ ভরত এইভাবে মাতাদিগের পরিচয় দিলেন, “ভগবন, ঐ যে শোক এবং অনশনে ক্ষীণদেহ সৌম্যমূৰ্ত্তি দেবতার স্থায় দেখিতেছেন, ইনিই অর্ণমার অগ্রজ রামচন্দ্রের মত, উহার বামবাহু আশ্রয় করিয়া বিমন অবস্থায় যিনি দাড়াইয়া আছেন, বনান্তরে শুষ্কপুষ্প কর্ণিকারতরুর দ্যায় শীর্ণাঙ্গী—ইনি লক্ষ্মণ ও শক্রয়ের জননী সুমিত্রা । আর তাহার পাশ্বে মিনি, তিনি অযোধ্যার রাজলক্ষ্মীকে বিদায় করিয়া আসিয়াছেন, তিনি পতি- . ঘাতিনী ও সমস্ত অনর্থের মূল, বৃথু প্রজ্ঞামানিনী ও রাজাকামুকী—এই দুর্ভাগ্যের মাত । বলিতে বলিতে ভরতের দুইটি চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হইয়া আসিল এবং ক্রুদ্ধ সৰ্পের স্থায় একবার জলভরা চক্ষে মাতার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন । চিত্রকুটের সন্নিহিত হইয়া ভরত জননীবৃন্দ ও সচিবসমূহে পরিবৃত হইয়া রখ ত্যাগ করিয়া পদব্রজে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । তখন রমণীয় চিত্রকুটে অর্ক ও কেতকী পুষ্প ফুটিয়া উঠিয়াছিল, আiম ও লোএ দল পঙ্ক চইয়া শাখাথে জুলিতেছিল । চিত্রকুটের কোন অংশ ক্ষতবিক্ষত প্রস্তররাজিতে ধূসর, নিম্ন অধিত্যকাভূমি পুষ্পসম্ভারে প্রমোদউস্তানের স্থায় স্বন্দর, কোথাও পৰ্ব্বতগাত্র হইতে একটিমাত্র শৈলশৃঙ্গ উৰ্দ্ধে উঠিয়৷ আকাশ চুম্বন করিয়া আছে—অদূরে মন্দাকিনী,—কোথাও পুলিনশালিনী, কোথাও জলরাশির ক্ষীণরেখা নীল তরুরেখার প্রান্তে বিলীয়মান। তরঙ্গরাজি সুন্দরীর পরিত্যক্ত যন্ত্রের স্থায় বায়ুকর্তৃক ঘন আন্দোলিত হুইতেছিল, ༦་ཧཱ་qi༥ পৰ্বত্য লরাশিলোগে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।