পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] হইয়া অগ্রজের পাদমূলে লুষ্টিত । রামচন্দ্র বিবর্ণ ও রুশ ভরতকে কষ্টে চিনিতে পারিলেন, অতি অাদরে হাত ধরিয়া উঠাইয়া মস্তকাম্রাণপূর্বক অঙ্কে টানিয়া লইলেন, বলিলেন—“বংস, তোমার এ বেশ কেন, তোমার এ বেশে বনে আসা যোগ্য নহে ।” ভরত জ্যেষ্ঠর পাদতলে লুটাইরা বলিলেন —“আমার জননী মহাঘোর নরকে পতিত হইতেছেন, আপনি তাহাকে রক্ষা করুন, আমি আপনার ভাই,—আপনার শিষ্য,— দ। সামুলাস, অনেfর প্রতি প্রসন্ন হউন, ক্ত।পনি রাজ্যে আসিয়া অভিষিক্ত হউন ।” বহু কথা, বহু বিতণ্ড চলিল—ভরত বলিলেন, “আমি চতুদশ বৎসর বনবাসা হইব, এ প্রতিশ্রুতিপালন আমার কৰ্ত্তব্য ।” কোনরূপে রামকে আনিত্তে না ’ পারিয়া ভরত অনশন ব্ৰত ধারণ করিয়া কুটারধারে ভূলুষ্টি ত হইয়া পড়িয়া রছিলেন । রামচন্দ্র এই অবস্থায় সাদরে উঠাইরা নিজের পাছক তাহাকে প্রদান করিলেন । জটাভার শোভাবি ত করির ভ্রাতুপাদ রজে বিভূষিত পাছক। তাহtর মুকুটের স্থানীয় হইল । সহস্ৰ ভূষণে বে শোভ লিতে অসমর্থ, এই পাছক সেই অপুৰ্ব্ব রাজ ই ভরতকে প্রদান করিল। ভরত বিদায়কালে বলিলেন, “রাজ্যভার এই পাছকায় নিবেদন করিয়া চতুর্দশবৎসর তোমার প্রতীক্ষার থাকিব, সেই সময়াস্তে তুমি ন আপিলে অগ্নিতে জীবন বিসর্জন फब्रिद ।” उमप्यtथTाब्र नत्रिकछेदउँौ झ्झेब्रा लग्नऊ বলিলেন, “অযোধ্য। আর অযোধ্য। নাই, আমি এই সিংহহীন গুহায় প্রবেশ করিতে পারিব নী " নন্দিগ্রামে রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হুইল, डछद्भज्ठ ! Ꮌ Ꮌ☾ উহ রাজধানী নহে-ঋষির আশ্রম। সচিববৃন্দ জটাবষ্কলপরিহিত ফলমূলাহারী—রাজার পাশ্বে কি বলিয়া মহাৰ্থ পরিচ্ছদ পরিয়া ' বসিৰেন, তাহারা সকলে কাষায়বস্ত্র পরিতে আরম্ভ করিলেন । সেই কাষীয়বস্ত্রপরিহিত সচিৰবৃন্দে পরিবৃত, ব্রত ও অনশনে কৃশাঙ্গ, ত্যাগী রাজকুমার পাদুকার উপর ছত্র ধরিয়া চতুর্দশবৎসর রাজ্যপালন করিয়াছিলেন । ভরতের এই বিষণ্ণ মূৰ্ত্তিখানি রামের চিত্তে শেলের মত বিদ্ধ হইয়া ছিল । ষখন সীতাকে হারাইয়া তিনি উন্মত্তবেশে পম্পীতীরে ঘুরিতেছিলেন, তখন বলিয়াছিলেন“এই পম্পাতীরের রমণীয় দৃপ্তাবলি সীতার বিরহে ও ভরতের দুঃখ স্মরণ করিয়া অামার রমণীর বোধ হইতেছে না ।*** আর একদিন লঙ্কায় রামচন্দ্র স্বগ্রীবকে ধলিয়াছিলেন, “বন্ধু, ভরতের মত ভ্রাতা জগতে কোথায় পাইবে ?” রামচন্দ্র গৃহে প্রতলগত হইলে ভরত স্বয়ং তাহার পদে সেই পাছুকাদ্বয় পরাইয়া কৃতার্থ হইলেন এবং রামের পদে প্রণাম করিয়া বলিলেন, “দেব, তুমি যে অযোগ্য করে রাজ্যভার ন্যস্ত করিয়াছিলে, তাহা গ্রহণ কর । আমি তোমার রাজ্য ষত্বপূর্বক রক্ষা করিয়াছি, রাজকোষে যে অর্থ সঞ্চিত ছিল, এই চতুর্দশবৎসরে তাহা দশগুণ বেশী হইয়াছে ॥* o : রামায়ণে যদি কোন চরিত্র ঠিক আদর্শ বলিয়া গ্রহণ করা যায়, তবে তাহা একমাত্র ভরতের চরিত্র। সীতা লক্ষ্মণকে যে কটুক্তি করিয়াছিলেন,তাহী ক্ষমা নহে। রামচন্দ্রের ৰালিৰষ ইত্যাদি অনেক কার্য্যই সমর্থন করা ৰাম না। লক্ষ্মণের কথা অনেকসময় অতি