পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] মৃচ্ছকটিক । ১১৭ কুমারগুপ্তের রাজত্বকাল ; এবং স্কন্দগুপ্তের রাজত্ব ৪ee হইতে ৪৬৮ পর্য্যন্ত । র্যাহারা কালিদাসকে খুব প্রাচীন করিতে চাহেন, উtহারা তাহাকে এই যুগে, অর্থাৎ পঞ্চম শতাব্দীর শেষভাগে আণবিভূতি বলিয়া নির্দেশ করেন । এই অনুমানের সপক্ষে যাহা বলা হয়, তাহা এই যে, স্কন্দগুপ্ত যখন কবি এবং কাব্যপ্রিয় ছিলেন, তথন হুনযুদ্ধের সমসাময়িক কবি কালিদাসের উপহারই সভায় থাকিবার কথা । চন্দ্র গুপ্ত, কুমারগুপ্ত এবং স্কন্দ গুপ্ত উজ্জয়িনীতে রাজত্ব করিতেন না ; এবং মালবদেশ তখন তাহদের শাসনকৰ্ত্ত:দিগের দ্বারা শাসিত হইত। কিন্তু কালিদাস উজ্জয়িনীতে বসিয়। কবিতা লিখিতেন এবং তত্ৰত্য মহাকালেয় উৎসবে স্বরচিত নাটক অভিনয়ের জন্ত উপস্থাপিত করিতেন ; অতএব তাহাকে কৰিপ্রিয় স্কন্দ গুপ্তের সভাপণ্ডিত বলিতে পারি না । চন্দ্র গুপ্ত, কুমার গুপ্ত অথবা স্কন্দ গুপ্তের সময়ে গুপ্ত রাঙ্ক প্রতিনিধিশাসিত মালবদেশে একজন স্বতন্ত্র এবং স্বাধীন অবস্তিনাথ কদাপি বর্ণিত হইতে পায়িতেন না । পৌরাণিক আখ্যায়িকার ক্রমবিকাশ হইতে এ বিষয়ে একটি প্রমাণ দিতেছি । মহাভারতে মদনভন্মের গল্প নাই ; রামায়ণে ঐ গল্প আছে বটে, কিন্তু সংক্ষিপ্ত উল্লেখ হইতে সমুদায় বিবরণ পাওয়া যায় না । পুরাণের গল্পে মদনের একটিমাত্র স্ত্রী, তিনি রতি । কালিদাসের কাব্যেও এই কথা *ISग्री यांश्च । किरू कूभांद्र खख ५वर ऋब्झওত্ত্বের সময়ে ঐ পৌরাণিক গল্পটি ষে ভাবে প্রচলিত ছিল, তাহাতে মদনের দুইটি পত্নীর * পাই -রতি এবং প্রতি । কুমারগুপ্তের মালবদেশের শাসনকৰ্ত্ত ৰন্ধুবৰ্ম্ম পশ্চিমমালবের দশপুরের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা এবং ংস্কার উপলক্ষে ৪৭২ খৃষ্টাব্দে যে প্রস্তরলিপি খোদিত করিয়াছিলেন, তাহাতে দুইটি নদী দ্বারা বেষ্টিত দশপুরনগরের বর্ণনায় লিখিত হইয়াছে ৪— বদভত্যিভিরম্যসরিদদ্বয়েন চপলোশ্মিণ সমুপগুঢ়শ । রহসি কুচশালিনীভ্যাং প্রীতিরতিষ্ঠ্যাং স্মরাঙ্গমিব ॥ অর্থ ঃ –এই ( দশপুর ) নগর চঞ্চলতরঙ্গশালী অতিরমণীয় নদীদ্বয়ে আলিঙ্গিত হইয়া, কুচশালিনী প্রতি এবং রতি কর্তৃক নির্জনে আলিঙ্গিত স্মরের মত শোভা পাইতেছে । " কালিদাসের সময়ের পুরাণ ষে ইহার পরবর্তী, তাহাতে সন্দেহ নুই। অন্তান্ত কারণ অন্তর প্রদর্শিত হইয়াছে ; এবং তদ্বারা কালিদাস যে ষষ্ঠ শতাব্দীর কবি, তাহাই দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি । শ্রীহর্ষ এবং বাণভট্ট যে সপ্তম শতাব্দীর কবি, তাহা রাজী হর্ষবদ্ধনের প্রস্তরলিপি এবং বাণভট্টের হর্ষচরিত হইতেই প্রমাণিত । ঠিক সময়টি যখনই হউক, ভবভূতিও এই যুগের কবি ; এবং ইহাদের পরবর্তী হইলে ও বিশাখদত্তও এই যুগের কবি । বেণীসংহারকর্তা ভট্টনারায়ণের একখানি দানলিপি পাওয়া যায়, সেখানি ৮৪০ খৃষ্টাব্দের । ষে যুগ কালিদাস হইতে ভট্টনারায়ণ পৰ্য্যন্ত প্রসারিত, তাহারই মধ্যে ভারবি, হুবন্ধু, ধাবক, ভর্তৃহরি প্রভৃতি কবিগণের অভু্যদয় । মৃচ্ছকটিক যে এই আলঙ্কারিক সাহিত্যযুগের মধ্যে রচিত ন৷ হইয়া বহুপূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল, তাহ বিশ্বাস করিতে হইলে দৃঢ় প্রমাণের প্রয়োজন ६ग्न ! শুঙ্গালগণের রাজত্বকত্রে .ষে