তৃতীয় সংখ্যা । ] বৰ্ত্তাঁ । “দখ্রিস্সং কথাটা বাদ দিয়া “তুম্ভমুণ্ডে গোড়ং দগ্নিসসং’ বলিলে, খাটি উড়িয়া বলিয়া মনে হয়। তুহ বল্প কেলকে পবহণং—তোর বাপের কেলে গাড়ি—কথাটার গায়েও একালের গন্ধ আছে । ৩ । মহাভারতের কোন অধ্যায়গুলি প্রক্ষিপ্ত বা পরবর্তী সময়ের, তাহা এখনও স্থির হয় নাই । কিন্তু ঐ গ্রন্থের যে অংশ সন্দেহবর্জিত, তাহাতে এমন শব্দের ব্যবহার নাই, যাহা স্বভাবজশব্দের অমুকৃতিমূলক । থই থই, ঠংঠং, ঝনঝন প্রভৃতি শব্দ আদে। নাই। “ প্রক্ষিপ্ত অংশে ও বড় জোর কোলাহল প্রভূতি দুইচারিটি শব্দ পাওয়া যায় । পল্লবৰ্ত্তা সময়ের রামায়ণে ও তিনচারিটি ব্যতাত এহ প্রকারের শব্দ নাই, যথা—হলহলা, গদগদ এবং হুষ্ঠা ( গাভীর শব্দ ) । রামায়ণের সময়ে অমুকৃতিমুলক শব্দ প্রায় নুতনব্যবহৃত বলিয়। মনে হয় । কারণ পার্থী প্রভৃতির সঠিক ডাক অন্ত কোন গ্রন্থে স্থান পায় নাই । অরণ্যকাণ্ডের ২৩শ সর্গে আছে – টাটাকুটীতি ৰাস্তষ্কে বহুযুগুত্ৰ সারিকা । পঞ্চম শতাব্দীর পঞ্চতন্ত্রে ও তৎপুৰ্ব্ব সময়ের অম্বরূপে অমুকুতিমূলক শব্দগুলি কেবল বিশেযু-(সংজ্ঞা )-রূপে ব্যবহৃত দেখিতে পাই। "মহাভারত হইতে আরম্ভ করিয়া কালিদাসের সময় পৰ্য্যও কোন সাহিত্যে ঐ শব্দগুলি ক্রিয়ারপে ব্যবহৃত হয় নাই । ভারবি এবং কালিদাসে ঐ শব্দগুলির আদৌ *१९ॉब्र श्रृंडे श्ध ना ॥ ८कङ् इब्र ठ भदम করিতে *fरञ्चन ८ष, बफ़ दफ़ काट्वा खाया তলা না বলিয়া, ওগুলি কেবল নাটকাদি তই ব্যবহৃত হইয়াছে। ঘর্ঘর, ঝঙ্কার, श्रुष्झकप्लेिक । >>న হস্কার প্রভৃতি লিখিলে যে ভাষার গৌরব কমিয়া যাইত, তাহা মনে হয় না। পরবর্তী সময়ে যখন ঐগুলি ব্যবহৃত হইয়াছে, তখন ' আলঙ্কারিকেরা ভাষায় গ্রাম্যতাদোষ নির্দেশ করেন নাই । বরং ঐ কথাগুলিতে যে যথেষ্ট তেজ আছে, তাহা স্বীকার করিতে হয় । কালিদাস যেন রঘুবংশ বা কুমারসম্ভবে ঐ সকল শব্দ কাব্যগৌরবের জন্ত ব্যবহার করিলেন না, কিন্তু শকুন্তলাদিতেও উহার ব্যবহার নাই কেন ? কথা এই যে, প্রথমে বিশুদ্ধ সংস্কৃত চলিয়াছিল, তাহার পর প্রাকৃতভাষা দিন দিন প্রবলতা লাভ করিলে নিত্যব্যবহৃত শব্দ গুলি ধীরে ধীরে সংস্কৃতভাষায় স্থানলাভ করিয়াছে । স্ববন্ধুর সময়েও এই শ্রেণীর শব্দগুলি ক্রিয়ারূপে ব্যবহৃত হয় নাই ; কিন্তু তাহার পরবর্তী সময়ে ভবভূতি, বাণভট্ট ও শ্রীহর্ষের রচনায় যথেষ্টরূপে উহারা ক্রিয়াপদে ব্যবহৃত । প্রাচীন যে সকল শিলালিপি এবং তাম্রশাসনাদি পা ওয়া যায়, তাহাতেও সপ্তম শতাব্দীর পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী লিপিতে ঐ প্রকার ক্রিয়াপদের ব্যবহার দেখা যায় না । .এটা খুব বিশেষ রকমের কথা নহে কি ? কাজেই যখন মৃচ্ছকটিকে খট্খটায়তে, ফুফুরায়তি, মড়মড়ায়ি স্ম প্রভৃতির প্রচুর প্রয়োগ দেখিতে পাই, তখন ঐ গ্রন্থখানি সপ্তম শতাব্দীর পুৰ্ব্ববর্তী বলিয়া মনে হয় না। পাণিনির সহিত আমার পরিচয় নাই ; পরিচয়লাভ করিবার অধিকারও নাই। শুনিয়াছি, ঐ ব্যাকরণের কোন স্বত্র দ্বারা ঐ প্রকার ক্রিয়ীপদ সাধিবার উপায় আছে। ঐ স্বত্র কোন সময়ে রচিত, তাহাও জানি না ; কিন্তু কোন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।