১২ • একটি শব্দ প্রচলিত থাকিলেও, ব্যাকরণে তাহার জন্ত স্বত্র রচিত হইত। অদ্যদিকে যখন ধারাবাহিকভাবে একটা শব্দ ব্যবহারের পদ্ধতি পাওয়া গেল, তখন বিপরীত মত সমর্থন করা সহজ নহে । ৪ । মুখ শকার যেখানে পাণ্ডিত্য দেখাইতেছে, সেখানে বলিতেছে— কিংশে শঙ্কে বালিপুত্তে মহিলে লম্ভাপুত্তে কালণেমী হবন্ধু । g লুদে লাঅ দোণপুত্তে জডাউ চাণকো বা খুকুমালে ভিশন্ধু । এখানে চাণক্য, ধুন্ধুমার প্রভৃতি সকল নামই মুখ শকারের নিকট পৌরাণিক । সে যত বড় বড় নাম শুনিয়াছিল, সবগুলিই একনিশ্বাসে উচ্চারণ করিয়াছে । ঐ নামগুলির মধ্যে চাণক্য এবং সুবন্ধু ব্যতীত সকলগুলিই রামায়ণ এবং মহাভারতে পাওয়া যায়। “চাণকেন যথা সীতা” হইতে চাণক্যকে ও যে মুখ শকার পৌরাণিক বলিয়া বুঝিয়াছিল, তাহ জানা যায় । সুবন্ধু নামটি কবি স্ববন্ধু ব্যতীত অন্ত কাহার ও নামে পাওয়া যায় না । সকল নাম গুলিই যখন প্রকৃত নাম, তখন একটা বৃথা নাম উচ্চারিত হইয়াছে, বলা যায় না । কবি কৌশল করিয়াই নর্ণনাশ্রেণীর নাম একসঙ্গে গণথিয়৷ হাঙ্গুরসের স্বষ্টি করিয়াছেন। কবি হুবন্ধুর খ্যাতি প্রচারিত হইয়াছিল এবং মূখ শকার ঐ নামটি পৌরাণিক করিয়া লইয়াছিল, এইরূপ মনে করাই সঙ্গত। এ স্থানে এ কথাও বলিয়। রাখি যে, রাজগুলিকের শকার নাম যখন অলঙ্কারগ্রন্থের আদর্শানুরূপ নাম হইতে গৃহীত, তখন নিশ্চয়ই মৃচ্ছকটিক পুরাতন গ্রন্থ নহে। - t বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, আষাঢ় । ৫ । ষষ্ঠ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে কোথাও কামদেবের জন্ত মন্দিরস্থষ্টি হয় নাই । এপর্য্যন্ত অনেক মন্দিরের লিপি পাওয়া গিয়াছে, কিন্তু কামদেবের মন্দিরের কথা ষষ্ঠ শতাব্দীর পুৰ্ব্বে পাওয়া যায় না । সপ্তম শতাব্দীর অন্ত নাটকে যাহা পাই, মৃচ্ছকটিকে ও তাহাই পাইতেছি ; ইহাতে কামদেবের আয়তনের কথা আছে । গৃহে দেবতার। বলি পাইতেছেন এবং দেউলে দেবী প্রতিষ্ঠিত হইতেছেন, এ সকলগুলি হইতে ও প্রমাণিত হয় যে, কদাপি মৃচ্ছকটিক দ্বিতীয় শতাব্দীর গ্রন্থ হইতে পারে নf । • ৬ । মৃচ্ছকটিকে গভাঙ্ক বা বিষ্কম্ভকাদি নাই দেখিয়া উহাকে প্রাচীন বলা যায় না । মুদ্রারাক্ষসে ও দীর্ঘ দীর্ঘ আঙ্ক ব্যতীত গর্ভাস্কবিষ্কম্ভকাদি নাই । মৃচ্ছকটিকের প্রতি অঙ্কের শেষে যেমন শ্রব্য কাব্যের মত ‘ইতি অমুক নাম, অমুক অঙ্ক’ আছে, ভবভূতির তিনখানি নাটকে ও সেইরূপ দেখিতে পাই । তখন ঐ প্রথা ও প্রাচীনতার পক্ষে বলিক্সা কেহ নিন্দেশ করিতে পারেন না । মহ-যাজ্ঞবল্ক্যাদির অনুশাসনে যাহাই থাকুক, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শতাব্দীতে লোকব্যবহারে যে প্রকৃত প্রস্তাবে অনার্য্য রমণীকে বিবাহ করিয়া আর্য্যের তাহাকে আর্য্যসমাজভুক্ত করিতেন, দশকুমারচরিতে অস্করোত্তমনলিনীর কথ। তাহার * প্রমাণ । ত্রাহ্মণ ষে ক্ষত্রিয় রমণীর পাণিগ্রহণ করিতেন, ষষ্ঠ শতাব্দীর ভগবদোয়ের পিতা রৰিকীৰ্ত্তি তাহার দৃষ্টান্ত । ক্লাটুসাহেবের প্রাচীন লিপিসংগ্রহে এ বিষয়ে আরও দৃষ্টান্ত আছে। এরূপ স্থলে অন্ত কোন সমাজচিত্রসংবলিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।