Svరిత్రి যখন স্বপ্নদর্শন হয়, তখন মস্তিষ্কের কোনরূপ ক্রিয় অবগু লক্ষিত হইবে । টপেন( Trepan )-নামক অস্ত্রের দ্বারা মস্তিষ্কের অবস্থাবিশেষ প্রত্যক্ষ করিবার সুযোগ হইয়াছে । উক্ত উপায়ে দেখা গিয়াছে, যখন স্বপ্নদর্শনের কোন বাহলক্ষণ থাকে না, তখন মস্তিষ্কের পদার্থ পাণ্ডুর (pale ), সঙ্কুচিত এবং রক্তশূন্ত থাকে। কিন্তু যখন স্বপ্নের বাহলক্ষণ বিদ্যমান, তখন মস্তিষ্ক বদ্ধিতায়তন হইয় অণধার হইতে বাহির হইয়া পড়ে এবং রক্তপূর্ণ হয় । নিদ্রাবস্থায় সকল সময়ে মস্তিষ্কের এইরূপ পরিবর্তন দৃষ্ট হয় না । স্বপ্ন নিদ্রার নিত্যসহচর হইলে, মস্তিষ্কের শেষোক্তরূপ অবস্থা সকল সময়েই দৃষ্ট হইত। অতএব মস্তিষ্কের রক্তহীন অবস্থা যদি স্বপ্নহীন নিদ্রার লক্ষণ বলিয়া বিবেচিত হয়, তবে স্বপ্নহীন • নিদ্রা সম্ভব মনে করিতে হুইবে । বঙ্গদশন । [ ৩য় বর্ষ, আষাঢ় । শারীরতত্ত্বের যুক্তির দ্বারা আমরা জানিতে পরিলাম যে, স্বপ্নদর্শনসময়ে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন হুইয়া থাকে। অতএব মস্তিক্ষে শোণিতসঞ্চালন ও স্বপ্নদর্শনের ভিতর যে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ বিদ্যমান, তাহাতে আর সন্দেহ নাই । এখন প্রশ্ন এই, এতদুভয়ের মধ্যে কোনটি কারণ এবং কোনটি কার্য্য ? জড়বাদিগণ বলেন, স্বপ্ন মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালনের ফল। অধ্যাক্সবাদী বলবেন, স্বপ্নদর্শনের ফলেই মস্তিষ্কে শোণিত সঞ্চালিত হইতে থাকে । জড়বাদিগণের মতে চৈতন্ত কেবল স্বায়বিক ক্রিয়ার ফল । জড়বাদি এবং অধ্যাত্মবাদি গণের মতসমালোচনা বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশু নহে । তবে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, যে জড়ের উপর ভিত্তিস্থাপন করিয়া জড়বাদিগণ আত্মার অস্তিত্ব উড়াইয়। দিতে চাহেন, সে জড়ের কোন অস্তিত্বই নাই । বারান্তরে জড়বাদিগণের মত সমালোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল । ঐতারকচন্দ্র রায় । মেঘোদয়ে।
দেখ চেয়ে গিরির শিরে মেঘ করেছে গগন ঘিরে, আর কোরো না দেরি । ওগো আমার মনোহরণ, ওগো স্নিগ্ধ ঘনবরণ দাড়াও তোমায় হেরি । দাড়াও গে। ঐ আকাশকোলে, দাড়াও আমার হৃদয়দোলে, দাড়াও গে। ঐ হামলতৃণ’পরে ।