অনুবাদ ।ঞ্চ এক শ্রেণীর কাব্যানুরাগী লোক আছেন, কাব্যের অনুবাদের উপর তাহারা নিতান্ত বিরূপ । অনুবাদমাত্রকেই তাহারা অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞার চক্ষে দেখিয়া থাকেন , তাহার বলেন যে, উৎকৃষ্ট কাব্যের রস ও সৌন্দৰ্য্য অনুবাদে রক্ষিত হইতে পারে না—রস বিস্বাদ হইয়া যায়, সৌন্দৰ্য্য মান ও বিকৃত হইয়। পড়ে। সেইজন্ত তাহার উপদেশ দিয়া থাকেন যে, যদি উৎকৃষ্ট কোন কাব্যের রস, সৌন্দর্য্য ও গৌরব যথাযথক্রপে হৃদয়ঙ্গম করিতে চাও, তবে তাহ মুলে অধ্যয়ন কর— অনুবাদপাঠ পণ্ডশ্রম মাত্র । স্বীকার করি, এইরূপ উপদেশ একদিন সমীচীন ছিল । যখন সাহিত্যের সংখ্যা অল্প ছিল ; তাহার অনুশীলন শ্রেণী বা সম্প্রদায় বিশেষে নিবদ্ধ ছিল এবং সেই সম্প্রদায় বা শ্রেণী অনন্তকৰ্ম্ম ছিল, তখন এইপ্রকার উপদেশের সার্থকতা ছিল । ইউরোপে একদিন গ্ৰীকৃ ও ল্যাটিন ব্যতীত অন্ত সাহিত্য ছিল না । তাহার অনুশীলন কেবলমাত্র ধৰ্ম্মযাজকদিগের মধ্যে নিবন্ধ ছিল । জ্ঞানাজর্জন ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ব্যতীত তাহাদের অন্ত কাৰ্য্য ছিল না, অস্ত চিত্ত ছিল না। অামাদের দেশেরও ব্রাহ্মণদিগের সম্বন্ধে ঠিক এই কথা বলিতে পারা যায়। এই সকল জ্ঞানার্থী দিগকে উদরের চিস্তা করিতে হুইত না ; সে ভার সমাজ লইয়াছিল । অস্তিকে সরস্বতী এবং সৰ্ব্বত্র ভগবান, ইহাই তাহাদের সর্বস্ব ছিল । ইহাদিগকে দুইটার স্থলে পাচটা ভাষা শিখিতে বলিলেও অসঙ্গত হইত না । এক দিন ছিল, যখন এই উপদেশের সমীচীনতা ছিল । কিন্তু জমাজ ? এই কঠোর ও নিদারুণ জীবনসংগ্রামের দিনে, এই সাধারণ্যে সাহিত্যপ্রসারের দিনে, এই উপদেশ কি চলে ? ইউরোপে গ্ৰীকৃ ও ল্যাটিনের স্থলে এখন কত সাহিত্য হইয়াছে, এবং তাহার প্রত্যেকটিতে উপাদেয় গ্রন্থের সংখ্যাই বা কত । আমাদের দেশে পুৰ্ব্বে সংস্কৃত ও পালি ছিল ; এখন বাঙ্গাল, উৰ্দ্দ, মহারাষ্ট্রীয়, গুজরাটি, হিন্দী, উড়িয়া—কজ ভাষায় কত সদগ্রন্থের স্বষ্টি হইয়াছে। ইহার উপর পার্সী আছে, আরবী আছে ; আরও যে নাই, এমন নহে । সকল বা কতকগুলি সদগ্রন্থও মূলে পড়িতে হইলে কত ভাষা শিখিতে হয়, ভাব দেখি । তার পর, জীবনসংগ্রাম—আমরা সকলেই উদরাক্সের জন্ত, স্ত্রীপুত্রের, আত্মীয়স্বজনের জষ্ঠ, দিবারাত্র ক্ষিপ্ত সারমেয়ের স্তায় ইতস্তত ছুটাছুটি করিতেছি । এভ করার পর নানা ভাষা শিক্ষার - সময় হয় কখন ?—হয় কয় SSSSS BBB BBBBBBB DDDD DDDD DDD DBBBB BBBBB BBBB BBBS BBBS
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।