চতুর্থ সংখ্যা। ] সার সত্যের আলোচনা । Sసాa চারিপ্রকার শক্তির প্রথমে প্রথমটি একাকী, তাহার পরে প্রথম এবং দ্বিতীয় যুগ বাধিয়া, তাহার পরে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় যোট বাধিয়া, পৃথিবীতে যথাক্রমে পরে পরে অাবিভূত হইল, এবং পরিশেষে যখন প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয়ের উপরে চতুর্থ আবিভূত হইল, তখন সৰ্ব্বপ্রকার শক্তি একত্র সমবেত হইয়া মনুষ্যশরীরের আশ্রয় গ্রহণ করিল। অর্থাৎ বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডে যতপ্রকার শক্তি আছে-ভৌতিক শক্তি, জীবনী শক্তি, চেতনাশক্তি এবং ধীশক্তি—সমস্তেরই কিছু-না-কিছু নিদর্শন ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডে পুঞ্জীভুত হইল ; কোনো প্রকারেরই সংগ্ৰহকাৰ্য্য অবশিষ্ট রহিল না । শেষরাত্রে প্রত্যুষের হ’ব হ’ব সময়ে পক্ষিকুলের নিদ্রাভঙ্গ হইয়া যায়, ইহা সকলেরই দেখা কথা । সেই দিবা এবং রাত্রির সন্ধিস্থানে সুর্যের উদ্বোধনী শক্তি (অর্থাৎ ঘুমভাঙনি শক্তি ) একাকী অভিব্যক্ত হয় ; দ্যোতনাশক্তি, তাপনী শক্তি এবং দাহিকা শক্তি অনভিব্যক্ত থাকে । তাহার কিছুকাল পরে যখন প্রত্যুষ ফুটিয়া বাহির হয়, তখন স্বর্য্যের উদ্বোধনী শক্তির উপরে আর-একটি শক্তি অভিব্যক্ত হয়— সেটি হ’চ্চে দ্যোতনাশক্তি । এই সময়টিতে অর্থাৎ প্রত্যুষের দিবালোকে স্বৰ্য্যের দুইপ্রকার শক্তি অভিব্যক্ত হয় এবং..ছইপ্রকার শক্তি অনভিব্যক্ত থাকে —উদ্বোধনী শক্তি এবং স্তোতনাশক্তি অভিব্যক্ত হয়, তাপনী শক্তি এবং দাহিক শক্তি অনভিব্যক্ত থাকে । মধ্যাহুদিবালোকে স্বর্য্যের তিনপ্রকার শক্তি অভিব্যক্ত হয়—একপ্রকার শক্তি অনভিব্যক্ত থাকে ; উদ্বোধনী শক্তি, দ্যোতনাশক্তি “ीप९ छो°नैौ श्रृंखि अडिदाख़ क्ष्म्न–मोश्किो শক্তি অনভিব্যক্ত থাকে । তাহার পরে যদি প্ৰদাহক কাচের ( Burning glassএর ) মধ্য দিয়া স্বৰ্য্যরশ্মিকে বস্ত্রাদির উপরে পুঞ্জীভূত করা যায়, তাহা হইলে সেই পুঞ্জীভূত স্বৰ্য্যরশ্মিতে স্বর্য্যের সর্বাঙ্গীণ শক্তি অভিব্যক্ত হয় —উদ্বোধনী শক্তি, দ্যোতনাশক্তি,তাপনীশক্তি এবং দাহিক শক্তি, এই চারিপ্রকার শক্তি একযোগে অভিব্যক্ত হয়। ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডে তেমনি ( অর্থাৎ মনুষ্যরাজ্যে তেমনি ) বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডের সৰ্ব্বাঙ্গীণ শক্তি অভিব্যক্ত হইয়াছে—ভৌতিক শক্তি, জীবনী শক্তি, চেতনাশক্তি, এবং ধীশক্তি, এই চারিপ্রকার শক্তি অভিব্যক্ত হইয়াছে। বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডের চরি কোষ হ’চ্চে ( ১ ) ভৌতিক শক্তির আধার—ভূতকোষ , (২) ভৌতিক শক্তি এবং জীবনী শক্তি ছয়ের একাধার—উদ্ভিদকোষ ; (৩) ভৌতিকশক্তি, জীবনী শক্তি এবং চেতনাশক্তি তিনের একাধার—পশ্বাদিকোষ ; ( ৪ ) ভৌতিকশক্তি, জীবনী শক্তি, চেতনাশক্তি এবং ধীশক্তি, এই চতুৰ্ব্বিধ শক্তির একাধার—মানবকোষ। তেমনি ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডের চারি কোষ হ’চ্চে ( ১ ) ভৌতিক শক্তির আধার অস্থিমাংস প্রভৃতি অল্পময় কোষ ; (২) ভৌতিকশক্তি এবং জীবনী শক্তি ছয়ের একাধার—প্রাণময় c-Ftą ( qari sfêtes oitta Vegitative system ); (৩) ভৌতিকশক্তি, জীবনীশক্তি এবং চেতনাশক্তি তিনের একাধার-মনোময় কোষ (Animal system of Nervous system); (৪) ভৌতিকশক্তি, জীবনী শক্তি, চেতনাশক্তি এবং ধীশক্তি—এই চতুৰ্ব্বিধ শক্তির একাধার—বিজ্ঞানময় কোষ (Brain) । ইহাই হিরন্ময় কোষ। বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডের হিরন্ময় কোষ
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।