পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] 'হেমচন্দ্র 1. ుమితి নবীনা—নব্যৰঙ্গের রমণীয় প্রতি তিনি ষে সকল উপদেশ দিয়াছেন, তাহ বেশ সময়োপযোগীই হইয়াছে। অন্তঃপুরের উপদেশে পুরুষের মন যে সহজে বিচলিত হয়, ইহার অনেক প্রমাণ ইতিহাস ও সংসারে দেখা গিয়াছে ; কিন্তু পুরুষের চেষ্টায় শুদ্ধান্তের শোধন সচরাচর বড়একটা দৃষ্টিপথে পড়ে না—সেখানে গৃহিণীকুলেরই প্রাধান্ত, সুতরাং অন্তঃপুরের সংস্কার অন্তঃপুর হইতেই সহজে সম্ভব । আমাদের রমণীকুলের চরম ও স্বাভাবিক বিকাশ মাতৃত্বে, যে কারণেই হোক, নব্যবঙ্গের মহিলাকুলের সে মাতৃভাব ক্রমে হ্রাসপ্রাপ্ত হইতেছে, কবে বা একেবারে লয় পায়, সস্তপ্ত বঙ্গসন্তানের জুড়াইবার স্থান অল্পে অল্পে উত্তপ্ত হইয়া উঠিতেছে, বাঙালীর পোড়া অদৃষ্টের গুণে না জানি কবে বা তাহা একেবারে পুড়িয়া যায়। এই দুঃসময়ে সময় বুঝিয়া সরস্বতী মহাশয় নবীনাদিগকে প্রকৃত গৃহলক্ষ্মী হইবার পথ দেখাইতে প্রবৃত্ত, ইহা বড় মুখের কথা—আশার কথাও বটে। তবে এখানে একটি কথা বলিবার অাছে, এ গ্রন্থে নবীন গ্রন্থকত্রীর বক্তব্যে তাহার মাতৃভাবটা মাঝে মাঝে অতিমাত্রায় ফুটিয়াছে, যেন কিছু উপরে উঠিয়াছে, স্থানে স্থানে এই দোষে একটু আধটু অশোভনও হইয়াছে, এ সকল দোষ কিন্তু অতি সামান্ত । মোটের উপর এ গ্রন্থ পাঠে আমরা বড় প্রাত হইয়াছি—প্রীত হইবার আর একটি বিশেষ কারণ এই বে, শ্ৰীমতী নগেঞ্জবালা এতদিন কবিতার অালোচনা করিয়া যশঃসঞ্চয়ে ব্ৰতিনী ছিলেন—এখন তিনি সংসারধৰ্ম্মের সংস্কারে মন দিয়াছেন ; নিরবচ্ছিন্ন কবিতারচনাই যে রমণীজীবনের চরম লক্ষ্য নহে, এবং তাহাতে যে রমণীর তৃপ্তি হয় না, ইহা তিনি বুঝিয়াছেন—বুঝিয়া অন্তকে তাহ বুঝিবার অবসর দিয়াছেন । আজকাল কবিতাসংক্রমণের দিনে কোন স্ত্রীকবির নিকট হইতে এ শিক্ষার মূল্য অনেক অধিক বলিয়া মনে করিতে আমরা বাধ্য হইতেছি । অলমতি বিস্তরেণ । হেমচন্দ্র । MSAeeeAeASAMMMS বঙ্গের কবি হেমচন্দ্র ইহধাম হইতে চলিয়া গিয়াছেন। সকলকেই সে পথে বাইতে হয়, তিনিও সেই পথে গিয়াছেন । শেষাবস্থায় তিনি বেরূপ বিপন্ন হইয়াছিলেন, তাহাতে °ोदोब्र •ार्टक श्रृङ्काब्र अर्थ निकृडि । করিবার কথাই নহে, অথচ এই কলিকাতাশহরে সামরা ত তাহার জন্য অনেক শোক कि " সভার ব্যবস্থা করিয়াছি । ইহার অর্থ এই যে, মাঙ্গুষ মায়ার বড়ই অধীন, সেইজন্ত আমরা তাহার জন্ত শোক করিতেছি, নতুবা ৰিনি বৈকুণ্ঠে গিয়াছেন, তাহার জন্ত শোক করিতে হয় কেন ? অামি আজি তাহার গ্রন্থাদির সমালোচনা করিতে বসি নাই ; কখন বে করিব, সে