পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] cबौकांडूदि । శిe:S জনতার মধ্যে সে একাকী ! হায় রমেশ, এমন তাহার কিসের চিস্তা, কিসের বাধা ! রমেশ এই স্বর শুনিয়া স্তন্ধ হইয়া বসিল । তাহার মনে হইতে লাগিল, জগৎটি যেন অত্যন্ত নিভৃত—ইহার মধ্যে কেবল একটি ভালবাসা আছে ; রাজার রাজ্য নাই, জীবিকার সংগ্রাম নাই, দুঃখীর চুরাশা নাই । হুন্দর শরতের দিন, স্থধাময় নিৰ্ম্মল নীলাকাশ, পরিপূর্ণ জীবন, ভালবাসা সুমধুর । অনন্ত স্থষ্টির মধ্যে আর-কিছু থাকিবার আর কোন দরকার নাই ! থাকৃ কেবল একটিমাত্র অবাধ অবকাশ,~—তাহ অনন্ত, তাহ অখণ্ড, —তাহা কেবল ভালবাসিবার । তাহার কপালে সোনার রৌদ্রীলোক, গলায় শেফণলীর মালা, কানে দূরাগত ভৈরবীর তান । এমন-সময় আর-একটা ডাকের চিঠি আসিল । রমেশ খুলিয়া দেখিল, সে চিঠি স্ত্রীবিদ্যালয়ের কত্রীর নিকট হইতে আসিয়াছে । তিনি লিখিয়াছেন, কমলা অত্যস্ত কাতর হইয়া পড়িয়াছে, তাহাকে এ অবস্থায় ছুটির সময় বিদ্যালয়ের বোর্ডিঙে রাখ। তিনি সঙ্গত বোধ করেন না । আগামী শনিবারে ইস্কুল হইয়া ছুটি হইবে, সেই সময়ে তাহাকে বিদ্যালয় হইতে বাড়ী লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করা নিতান্ত আবশুক । আগামী শনিবারে কমলাকে বিদ্যালয় হইতে লইয়। আলিতে হইবে । আগামী রবিবারে রমেশের বিবাহ । ষে ভৈরবী জগতের সমস্ত বিপুল চেষ্টাচিন্তা-কৰ্ম্ম আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল, সেই ॐ ভৈরবী এক মুহুর্তে ঢাকা পড়িয়া গেল । তাহার স্বর আর কানে পৌছিল না ।

  • রমেশবাবু, আমাকে মাপ করিতে হইবে।” এই বলিয়া অক্ষয় ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল । কহিল, “এমন একটা সামান্ত ঠাট্টায় আপনি যে এত রাগ করিবেন, তাহ আগ্নে জানিলে আমি ও কথা তুলিতাম না । ঠাট্টার মধ্যে কিছু সত্য থাকিলেই লোকে চটিয়া ওঠে, কিন্তু যাহা একেবারে অমূলক, তাহা । লুইয়া আপনি সকলের সাক্ষাতে এত রাগtরাগি করিলেন কেন ? অন্নদাবাবুত কাল হইতে আমাকে ভৎসনা করিতেছেন—হেমনলিনী আমার সঙ্গে কথা বন্ধ করিয়াছেন । আজ সকালে তাহাদের ওখানে গিয়াছিলাম, তিনি ঘর ছাড়িয়া চলিয়াই গেলেন । আমি এমন কি অপরাধ করিয়াছিলাম বলুন দেখি ?” রমেশ কহিল—“এ সমস্ত বিচার যথাসময়ে হইবে । এখন আমাকে মাপ করিবেন— আমার বিশেষ একটা প্রয়োজন আছে ।”

অক্ষয় । রক্ষনচৌকির বায়ন দিতে চলিয়াছেন বুঝি। এদিকে সময় সংক্ষেপ । আমি আপনার শুভকৰ্ম্মে বাধা দিব না, চলিলাম । অক্ষয় চলিয়া গেলে রমেশ অন্নদাবাবুর বাসায় গিয়া উপস্থিত হইল। ঘরে ঢুকিতেই হেমনলিনীর সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল। আজ রমেশ সকাল-সকাল আসিবে, ইহা হেমনলিনী নিশ্চয় ঠিক করিয়া প্রস্তুত হইয়। বসিয়া ছিল । তাহার সেলাইয়ের ব্যাপারটি উণজ করিয়া রুমাসে বাধিয়া টেবিলের উপরে রাখিয় দিয়াছিল। পাশে হাৰ্ম্মোনিয়ম-যন্ত্রটি ছিল । আজ খানিকট সঙ্গীত-আলোচনা