পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*{3* বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, ভাঙ্গ । খুজিতে গিয়া বৃথা খুজি, বুঝিতে গিয়া ভুল বুঝি, ঘুরিতে গিয়া কাছেরে করি দূর । না-বোঝা মোর লিপিখানি প্রাণের বোঝা দিল টানি, সকল গানে লাগায়ে দিল স্থর । - লক্ষমণ । مسسسسسسسسس مجتمتيع جوقت تمهـمــس বালকাণ্ডে লিখিত হইয়াছে, লক্ষ্মণ রামচন্দ্রের “প্রাণ ইবাপরঃ”—অপর প্রাণের দ্যায়। ভরত ছাড়া আমরা রামকে কল্পনা করিতে পারি, এমন কি, সীতা ছাড়া রামচিত্র কল্পনা করিবার . সুবিধাও কবিগুরু দিয়াছেন, কিন্তু লক্ষ্মণ ছাড়া রামচিত্র একান্ত অসম্পূর্ণ। লক্ষ্মণের ভ্রাতৃভক্তি কতকটা মৌন এবং ছায়ার দ্যায় অনুগামী । লক্ষ্মণ রামের প্রতি ভালবাসা কথায় জানাইবার জন্য ব্যাকুল ছিলেন না, নিতান্ত কোনরূপ অবস্থার সঙ্কটে না পড়িলে তিনি র্তাহায় হৃদয়ের সুগভীর মেহের আভাস দিতে ইচ্ছুক হইতেন না ; বাধ্য হইয়া দুই-এক স্থলে তিনি ইঙ্গিতমাত্রে তাহার হৃদয়ের ভাব ব্যক্ত করিয়াছেন, কিন্তু তাহার অপরিসীম রামপ্রেম মৌনভাবেই আমাদিগের নিকট সৰ্ব্বত্র ব্যক্ত হইয়া পড়িয়াছে । ভরত এবং সীতা মনের আবেগ সংবরণ করিতে জানিতেন না ; কিন্তু লক্ষ্মণ স্নেহসম্বন্ধে সংযমী—সে স্নেহ পরিপূর্ণ, অথচ তাহ আবেগে উচ্ছসিত হইয়া উঠে নাই ; এই মৌন গ্রেহচিত্র আমাদিগকে সৰ্ব্বত্যাগী কষ্টসহিষ্ণু ভ্রাতৃভক্তির অশেষ কথা জানাইতেছে । লক্ষ্মণ আজন্ম রামচন্দ্রের ছায়ার দ্যায় অনুগামী । “ন চ তেন বিনা নিদ্রাং লভতে পুরুষোত্তমঃ। মুণ্ঠমল্পমুপানীতমশ্লাতি ন হি তং বিনা ধ্রুপ রামের কাছে না শুইলে র্তাহার রাত্রে ঘুম হয় না, রামের প্রসাদ ভিন্ন কোন উপাদেয় খাদ্ধে তাহার তৃপ্তি হয় না । “যদা হি হয়মান্ধঢ়ো মৃগয়াং ঘাতি রাঘবঃ । অথৈনং পৃষ্ঠতোহভ্যেতি সধনুঃ পরিপালয়ন ॥” রাম যখন অশ্বারোহণে মৃগয়ায় যাত্রা করেন, অমনি ধনুহস্তে তাহার শরীররক্ষণ করিয়া বিশ্বস্ত অনুচর তাহার পিছনে পিছনে যাইতে থাকেন। যেদিন বিশ্বামিত্রের সঙ্গে রাম রাক্ষসবধকল্পে নিবিড় বনপথে যাইতেছেন, সেদিনও কাকপক্ষধর লক্ষ্মণ সঙ্গে সঙ্গে ৷ শৈশবদৃপ্তাবলীর এই সকল চিত্রের মধ্যে আত্মহারা লক্ষ্মণের ভ্রাতৃভক্তির ছবি মৌনভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে । রামের অভিষেকসংবাদে সকলেই কত সত্তোষপ্রকাশের জন্ত ব্যস্ত হইলেন, কিন্ত লক্ষ্মণের মুখে আহলাদহুচক কথা নাই, নীরবে