পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ করিয়া দিব । খনিজ, পেটক এবং ধন্থ হস্তে আমি আপনার সঙ্গে সঙ্গে ফিরিব।” বনবাসের শেষ বৎসর বিপদ আসিয়া উপস্থিত হইল ; রাবণ সীতাকে হরণ করিয়া লইয়া গেল। সীতার শোকে রাম ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া পড়িলেন, ভ্রাতার এই দারুণ কষ্ট দেখিয়া লক্ষ্মণও পাগলের মত সীতাকে ইতস্তত খুজিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। রামের অনুজ্ঞায় তিনি বারংবার গোদাবরীর তীরভূমি খুজিয়া আসিলেন । এইমাত্র গোদাবরীতীর তল্প তল্প করিয়া দেখিয়া আসিয়াছেন, রাম তখনই আবার বলিলেন—

  • লীঘ্ৰং লক্ষ্মণ জানীহি গত্বা গোদাবরীং নদীম্‌ !

অপি গোদাবরীং সীতা পদ্মান্যানয়িতুং গতা।” পুনরায় গোদাবরীর তটদেশে যাইয়া লক্ষ্মণ সীতাকে ডাকিতে লাগিলেন, কিন্তু তাহার সন্ধান না পাইয়া ভয়ে ভয়ে রামের নিকট উপস্থিত হইয়া আৰ্ত্তস্বরে বলিলেন— “কং ক্ষু স দেশমাপন্ন বৈদেহী ক্লেশনাশিনী।” “কোন দেশে ক্লেশনাশিনী বৈদেহী গিয়াছেন—তাহা বুঝিতে পারিলাম না”— “নৈতাং পস্তামি তীর্থে ক্রোশতো ন শৃণোতি মে।” ‘গোদাবরীর অবতরণস্থানসমূহের কোথাও তাহাকে দেখিতে পাইলাম না—ডাকিলাম, কোন উত্তর পাইলাম না ।” লক্ষ্মণত বচঃ শ্রীজ দীনঃ সন্তাপমোহিতঃ। রামঃ সমভিচক্রাম স্বয়ং গোদাবরাং নদীমূ ॥” লক্ষ্মণের কথা শুনিয়া ম্রিয়মাণচিত্তে রাম স্বয়ং সেই গোদাবরীর অভিমুখে ছটিয়া গেলেন । ভ্রাতার এই উদ্দাম শোক দেখিয়া লক্ষ্মণ বেরূপ কষ্ট পাইতেছিলেন, তাহ জনমুভবনীয়। কত করিয়া তিনি রামকে সাস্বনী দিবার বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, তাত্র । চেষ্টা করিতেছেন, রাম কিছুতেই শাস্ত হইতেছেল না। লক্ষ্মণের কণ্ঠলগ্ন হইয়া ব্লাৰ বারংবার বলিতেছেন— “হ লক্ষ্মণ মহাবাহো পশ্যসে ত্বং প্রিয়াং কচিৎ ৷” “লক্ষ্মণ, তুমি কি সীতাকে কোথাও দেখিতে পাইতেছ?” এই শোকাকুল কণ্ঠের আৰ্ত্তিতে লক্ষ্মণের চক্ষু জলে ভরিয়া আসিত, তাহার মুখ শুকাইয়া যাইত । দকুনামক শাপগ্ৰস্ত যক্ষের নির্দেশামুসারে রাম লক্ষ্মণের সহিত পম্পাতীরে স্বগ্রীবের সন্ধানে গেলেন । রাম কখনও বেগে পথপৰ্য্যটন করেন, কখনও মুছিত হইয়া বসিয়া পড়েন ; কখনও “সীতা সীতা” বলিয়া আকুলকণ্ঠে ডাকিতে থাকেন, কখনও “হ দেবি, একবার এস, তোমার শূন্ত পর্ণশালার অবস্থা দেখিয়া যাও” এই বলিয়া কাদিতে কাদিতে বিলুপ্তসংজ্ঞ হইয়া পড়েন, কখনও পম্পীনীরবৰ্ত্তি-পদ্মকোষ-নিশ্রণন্ত-পবনম্পর্শে উল্লপিত হইয়া বলিয়া উঠেন, “নিশ্বাস ইব সীতায়াবাতি বায়ুম নোহরঃ।” সজলনেত্রে চিরস্থহৎ চিরসেবক লক্ষ্মণ রামকে এই অবস্থায় যখন পম্পাতীরে লইয়া আসিলেন, তখন হনুমান স্বগ্ৰীবকর্তৃক প্রেরিত হইয়া সেখানে উপস্থিত হইলেন এবং তাহীদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। হনুমান সন্ত্রম ও আদরের সহিত বলিলেন, “আপনার পৃথিবীজয়ের শক্তিসম্পন্ন, আপনারা চীর ও বঙ্কল ধারণ করিয়াছেন কেন ? আপনাদের বৃত্তায়িত মহাবাহু সৰ্ব্বভূষণে ভূষিত হইবার যোগ্য, সে বাহু ভূষণহীন কেন ?” এই আদরের কণ্ঠস্বর শুনিয়া লক্ষ্মণের চিরকুদ্ধ দুঃখ উচ্ছসিত इहेंब्रां ऊँठेिल । यिनि छिब्रन्निब cमोमङां८व