ミミや ষ্ঠিত । সমস্ত “দেশীয় কৰ্ম্মপ্রার্থীদিগকে স্বদেশে কৰ্ম্ম দিয়া পরিতুষ্ট করা যায় না ; স্বতরাং কতকগুলি দেশীয়কে ম্যাজিসট্রেটের পদে নিযুক্ত করিয়া হিন্দ-চীনে পাঠান হইয়া থাকে। সব-সময়ে যে তাহাদের বিচারকার্য্যে, ফরাসী-দ্যায়বিচার-সম্বন্ধে তত্রস্থ অধিবাসীদিগের মনে উচ্চ ধারণা হয়, এরূপ বলা যায় না । যে দিন হইতে ভারতবর্ষেয় জন্ত একজন স্বতন্ত্র “সেনেটগর” ও “ডেপুটি নিদিষ্ট হইয়াছে, সেই দিন হইতেই কৰ্ম্মচারীর সংখ্যাও বাড়িয়া গিয়াছে । ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা হইতে ভারতের ফরাসী-উপনিবেশ এইটুকুমাত্র ফল লাভ করিয়াছে। হিন্দুদিগকে “হোন্টু” দিবার অধিকার প্রদত্ত হইয়াছে, কিন্তু তাহীদের মধ্যে সাম্য স্থাপিত হয় নাই। ফরাসীদিগের মধ্যে ব্যক্তিবিশেষ, হিন্দুদিগের চিরাগত সামাজিক বিভাগের কঠোরতী কথন-কথন লাঘব করিতে কতকটা সমর্থ হইয়াছেন ; কিন্তু বর্ণভেদের বিরুদ্ধে এপর্য্যন্ত কোনপ্রকার সমবেত চেষ্টা হয় নাই। ধনাঢ্য হিন্দুদিগের কস্তেই , “হেবট”-সংখ্যা-নির্ণয়কাৰ্য্য অপিত হইয়া থাকে ; সে সম্বন্ধে আর কেহ তত্ত্বাবধান করে না ; সুতরাং, সেই প্রভাবশালী দেশীয়েরাই নিজ ইচ্ছামত “হোটে”র ফলাফল লিপিবদ্ধ করিয়া থাকেন। কখন-কখন ফরাসী কর্তৃপক্ষীয়ের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, কিন্তু আইন-সঙ্গত কাজ হইতেছে কি না, সে বিষয়ে দৃষ্টি করা দুরে থাকুক, বরং তাহার স্বয়ং কোন এক বিশেষ দলের পক্ষ অবলম্বন করেন । এইরূপ নিৰ্ব্বাচক-ব্যতীত নিৰ্বাচনে কথন-কথন বিষম গণ্ডগোল
- खछन्नध्ॉन ।
[ ওর বর্ষ, ভায় । বাধিয়া যায়, এবং ইহার দরুণ কোন-কোন ফরাসী রাজপুরুষের কতকটা প্রতিপত্তিরও হলি হয় । ফ্রান্স ও ইংলণ্ডস্থ জনসাধারণের মতামত তুলনা না করিলে ফরাসী ও ইংরাজি শাসনপদ্ধতির একটা সম্পূর্ণ চিত্র দেওয়া যাইতে পারে না । আমাদের ফরাসী দেশে, কোন কৰ্ম্মচারী স্বীয় শক্তির অপব্যবহার করিলে সংবাদপত্রাদিতে ও পালেমেণ্টসভায় নিন্দিত ও তিরস্থত হইয়া থাকে ; এবং দেশীয়দিগের পক্ষ ( এমন কি, বিদ্রোহী হইলেও) অবলম্বন করিবার জন্ত ও ফরাসী জনসাধারণের মধ্যে একটি বৃহৎ দল আছে । ক্লাইব ও ওয়ারেন্ হেসটিংসের সময় হইতে আরম্ভ করিয়া, ইংলণ্ডে অনেকবার লোক-মত “দেশীয়”স্বার্থের অমুকুলে পরিব্যক্ত হইয়াছে ; কিন্তু “সাম্রাজ্যিকতা”র বৃদ্ধিসহকারে, ছভিক্ষসম্বন্ধে ও অন্তায়পুৰ্ব্বক কাহাকে স্থত করা কিংবা দমন করা সম্বন্ধে, গবর্ণমেণ্টের নিকট কৈফিয়ৎ চাহে, এরূপ সংবাদপত্র প্রকাশক ও রাষ্ট্রনৈতিক লোকের সংখ্যা দিন-দিন কমিয়া আসিতেছে । অধিকাংশ লোকে এক্ষণে প্রায় সকল স্থলেই ইংরাজ-কৰ্ম্মচারীর ও ভারতবাসি-ইংরাজের পক্ষ অবলম্বন করিয়া থাকে । আমাদিগের অপেক্ষ ইংরাজদিগের একটা বিশেষ সুবিধা এই যে, উহাদের দ্বারা যে শাসনতন্ত্র স্বই হইয়াছে, তাহা একটা বিশেষ পদ্ধতি-অনুসারে যথাযথ পরিচালিত হইয়া থাকে। তা ছাড়া, শাসনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করা উহাদের পক্ষে অপেক্ষণকৃত সহজ ; কেন না, ইংরাজের মনে করে, স্বাধীনতা-বন্ধটা রপ্তানীর সামগ্ৰী নহে ; তাহাদের অধিকৃত