পঞ্চম সংখ্যা । ] বক্তিয়ার খিলিজির বঙ্গবিজয় । వ్చరిల রস-অনুরাগ-অগুরুগন্ধে হৃদয় ਚੋਲਿੰਕ੍ਰੇ उठ*एद्र ! কাছে থাক যবে মিলে না মিলন দুরে গেলে মিলে তবে – অপরূপ এই মিলনের রীতি কে গুনেছে বল কবে ? চোখের দেখায় দেখা হয় না যে, মরমের মাঝে দেখা – হিয়ার পরতে তপ্ত শোণিতে মরণ-অধিক লেখা । পরাণের সাথে পরাণের দেখা নাম সে যাহার প্রেম—- মূল্য যাহার পরশমাণিক তুল্য নহে সে হেম । ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী । বক্তিয়ার খিলিজির বঙ্গবিজয় । Y সচরাচর যে সকল গ্রন্থ বাঙলার ইতিহাস বলিয়া বিদ্যালয়ে অধ্যাপিত হইয়া থাকে, তাহাতে দেখিতে পাওয়া যায়,—১২ •৩ খৃষ্টাব্দে পাঠান-সেনাপতি বক্তিয়ার খিলিজি সপ্তদশ অশ্বারোহী লইয়া বাঙলার রাজধানী নবদ্বীপনগরে উপনীত হইবামাত্র, নবদ্বীপাধিপতি বৃদ্ধ লাহ্মণ্য সেন রাজ্য ও রাজধানী পরিত্যাগ করিয়া, অস্তঃপুর হইতে উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করেন । এই কাহিনী বাঙালীর পুরাতন সাহিত্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু ইহা অাধু নিক বঙ্গসাহিত্যের পদ্যে-গন্তে গল্পে-উপন্যাসে পাঠকসমাজে সুপরিচিত হইয়াছে । বঙ্গদেশের পুরাতন জনশ্রুতি হইতে এই কাহিনী গৃহীত হইলে, পুরাতন সাহিত্যেও ইহার আভাস থাকিত । অন্ত কোন প্রমাণ না থাকিলেও, এ দেশের পুরাতন জনশ্রুতি বলিয়। ইহাকে ঐতিহাসিক সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে হইত। কোন সময়ে কি স্বত্রে এই কাহিনী বঙ্গসাহিত্যে প্রথমে স্থান প্রাপ্ত হয়, তাহা নির্ণয় করা কঠিন নহে। যাহারা বঙ্গসাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা করিয়া দেখিবেন,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।