২৫e शक्रमछनिं । [ ৩য় বর্ষ, ভাদ্র । of Dulu Tea Estate, Cachar. The relations between Europeans and natives are becoming acutely antagonistic, and this recial gulf is being widened by the violent writings of the native press. The time has arrived to look into this question a little more closely. The unprovoked assaults on Europeans, especially soldiers, are becoming increasingly frequent. Europeans are insulted, abused and jeered at by the lowest type of natives and if they retaliate, they are set upon by a mob. If the European gets badly mauled, nothing is done, no one cares, but if in the brawl he happens to seriously hurt one of his numerous assailants, in the exercise of his right of self-defence, he is tried for his life and liberty. This we say is one-sided and it behoves the Government to look a little deeper into the causes at work that bring about these frequent conflicts between Europeans and natives. দেখ, এই একটি সামান্ত ঘটনায় ইংলিশম্যান কম্পান্বিত। অন্যায় করিবার অপ্রতিহত ক্ষমতা যদি কোন উপায়ে একটু খৰ্ব্ব হয়, তবে কি আতঙ্কের বিষয় । ইহা হইতে এই প্রমাণ হয় যে, এদেশে ইংরাজ অবিচারের বলেই আপনাকে বলী মনে করে। সেই বলের পশ্চাতে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া তাহারা অত্যাচার করিবার সহজ স্বত্বকে চিরস্থায়ী করিতে চাহে । করিতে পারে করুকৃ—কিন্তু ইহার পরে ভীরুতার অপবাদ আমাদিগকে দেওয়া অার চলে না। ইংরাজ ও ভারতবর্ষীয়ের মধ্যে অপক্ষপাত বিচারে "কঙ্করত্ন” ও “রূলক্স”দের ৰে প্রেষ্টিজের হানি হয়, এ আশঙ্কা এ দেশের সাধারণ ইংরাজের মনে জাগিয়া আছে—জজ এবং জুরি নিতান্ত অসাধারণ না হইলে ইহার ব্যতিক্রম হয় না । অপক্ষপাতে স্থবিচার করিতে যাহারা ভয় করে, তাহার একদিকে আমাদের পক্ষে ভয়ানক, তেমনি আর একদিকে তাহদের এই ভীরুতাই আমাদের কাছে তাহীদের দুৰ্ব্বলতা প্রতিপন্ন করে । আমাদের কাছে ইহাতে তাহাদের মৰ্য্যাদা কমিয়া গেছে। এখন আমরা ইংরাজকে ঘরে-ঘরে এবং মনে-মনে খাট করিতেছি । পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি অন্ধভক্তি একসময়ে আমাদিগকে যেরূপ সম্পূর্ণ অভিভূত করিয়া দিয়াছিল, এখন আমরা ক্রমশই তাহা হইতে মুক্তিলাভ করিতেছি । আমাদের দেশের চিরন্তন ধৰ্ম্মনীতির যে আদর্শ, তাহ প্রত্যহ আমাদের কাছে উজ্জলতর হইয়া আসিতেছে । আমরা পাশ্চাত্য বৰ্ব্বরতার নগ্নমূৰ্ত্তি যতই দেখিতেছি, ততই আশ্রয়লাভের জন্ত আমাদের স্বদেশীয় কুলায়ের মধ্যেই একেএকে ফিরিয়া আসিবার উপক্রম করিতেছি । এইরূপে আমাদের অপমানের মধ্য দিয়াও আত্মসন্মানের পথ কিরূপে উদঘাটিত হইয়াছে, আমার প্রবন্ধে তাহার আভাস ছিল । , আর একটি কথা ছিল, বোধ হয় “লিয়ু ইণ্ডিয়া সম্পাদকমহাশয় সেইটােতেই আপত্তি করিয়াছেন। আমি বলিয়াছিলাম, আমাদের দেশে একাল্পবৰ্ত্তি-পরিবার-প্রথা এমন যে, বাল্যকাল হইতে আমাদিগকে সৰ্ব্বপ্রকারে বিরোধের অপেক্ষা মিলনের জঙ্গই, প্রস্তুত করে । আমাদিগকে আত্মত্যাগ এবং ধৈর্য্যই শিক্ষা দিতে থাকে । আমরা যদি ক্ষমাঙ্গ
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।