পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৫

ミQミ নীতিতে আঘাত না করিয়া থাকিতে পারে না । অশুভপ্রবৃত্তি প্রয়োজনটুকু সিদ্ধ করিয়াই অন্তৰ্দ্ধান করে না । তাহাকে দাসত্বের ছুতায় আহবান করিলেও শেষে সে রাজত্ব করিতে চায় । কোন কোন দুৰ্বত্ত মদ না থাইলে যেমন কাজ করিতে পারে না, বিদ্বেষ সেইরূপ অন্ধ ন হইলে পুরাদমে কাজ করিতে পারে না । গুওগিরিকে যদি একবার রীতিমত জাগাইয়া তুলি, তবে সে অন্ধবিদ্বেষের নেশায় না মাতিয়া থাকিতে পারিবে না । তখন সে উঠিয়া-পড়িয়া কাজ আরম্ভ করিবে বটে, কিন্তু আমাদের উচ্চতন মনুষ্যত্বের বুকের রক্ত হইতে সে প্রতিদিন তাহার খোরাক অণদণয় করিতে থাকিবে । গুণ্ডাগিরি বল পাইয়া উঠিয়া মনুষ্যত্বকে শোষণ কন্তুর-বাহাদুরির নেশা জাগিয়া ওঠে । এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে, শুদ্ধ উপ দেশে কোন ফল হয় না—অভ্যাস তাহা অপেক্ষ দরকারী জিনিষ । মারা উচিত বলিলেই মারা যায় না, মারা অভ্যাস করা চাই। যাহাঁদের ঘুষি প্রস্তুত হইয়। মাছে, তাহারণ শিশুকালে প্রতিবেশীর ছেলেকে মারে, বিদ্যালয়ে সহপাঠীকে মারে, কলেজে gownsman oil townsmanzo Triএমনি করিয়া একেবারে এমন পাকিয়া যায় যে, তাহাদের ধৰ্ম্মগ্রন্থের উপদেশ অরণ্যে রোদনে পরিণত হয় । তাই হর্বার্ট স্পেন্সার *Tota Facts and Comments sco ৩০তম পৃষ্ঠায় লিখিতেছেন – But the resusal to recognize the futility of mere instruction as a means to moralization, is most strikingly shown by ignoring the conspicuous বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, ভাদ্র । fact that after two thousand years of Christian exhortations, uttered by a hundred thousand priests throughout Europe, pagan ideas and sentiments remain rampant, from emperors down to tramps. Principles admitted in theory are scorned in practice. Forgiveness is voted dishonourable. An insult must be wiped out by blood: the obligation being so peremptory that an officer is expelled the army for even daring to question it. And in international affairs the sacred duty of revengc, supremc with the savage, is supreme also with the so-called civil ized. ইহ না হইয়। মায় না । চালের একটি খড় পোড়াইতে গেলেও সমস্ত চালে আগুন লাগে । কাড়ার্কাড়ি-ঘুষানুষকে সমাজের সৰ্ব্বত্র প্রচলিত করিলে, তবেই আবশুকের সময় তাহ অনায়াসপ্রাপ্য হয় । টুথ প্রভৃতি বিলাতি কাগজে পুলিশআদালতের বিবরণে নিজের স্ত্রীকে, পুত্রকস্তাকে, আত্মীয় প্রতিবেশীকে যেরূপ নিৰ্ম্মম পশশবভাবে আঘাত করার উদাহরণ দেখিতে পাই, আমাদের হিন্দুসমাজে তাহার সিকির সিকি ও দেখা যায় না । শিকারী বিড়ালের গোফ দেখিলেই চেনা যায় ;—কে পীলা ফণটাইবে এবং কাছার পল ফাটিবে; এই পুলিশের বিবরণা হইতেই তাহা স্পষ্ট দেখা যাইবে। আমাদের দেশে ছেলেতে-ছেলেতে ঝগড়া যদি মারামারি পর্য্যস্ত ওঠে, তবে যাহাতে আঘাত গুরুতর না হয়, লড়াইকারীর সে চেষ্টা বরাবর থাকে—গালে চড়, পিঠে চাপড়ের উদ্ধে প্রায় ওঠে না । সে আমাদের সমাজের শিক্ষা ;