পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্য\ , \ ধৰ্ম্মবোধের দৃষ্টান্ত। ૨0 જ দিতে ইচ্ছা করি ” দূর হইতে লুকাইয় রাইফেল-চালনার সাহেব যে পৌরুষের পরিচয় দিতেছিলেন, তাহার বিচায় করিবার কেহ ছিল না । আমাদের ওরিয়েণ্টগলদের অনেক দুৰ্ব্বলতার কথা আমরা শুনিয়াছি, কিন্তু চালুনি হইয়৷ ছু চুকে বিচায় করিবার প্রবৃত্তি পাশ্চাত্যদের মত আমাদের লাই। আসল কথা, গায়ের জোর থাকিলে বিচারাসনের দখল একচেটে করিয়া ল ওয়া যায়— তখন অস্তকে ঘণা করিবার অভ্যাসটাই বদ্ধমূল হইয়া যায়, নিজেকে বিচার করিবার অবসর পাওয়া যায় না । আসিয়ায়-আফ্রিকায় ভ্রমণকারীরা অনিচ্ছক ভৃত্য বাহকদের প্রতি যেরূপ অত্যাচার করিয়া থাকেন, দেশ-আবিষ্কারের উত্তেজনায় ছলে-বলে-কৌশলে তাহাদিগকে যে করিয়া বিপদ ও মৃত্যুর মুখে ঠেলিয়া লইয়া যান, তাহ কাহারে অগোচর নাই । wws sanctity of Life >www vê সকল পাশ্চাত্য সভ্যজাতির বোধশক্তি অত্যন্ত স্বতীত্র হইলেও কোপা ও কোন আপত্তি শুনিতে পাই ন । তাছার কারণ, ধৰ্ম্মবোধ পাশ্চাত্য সভ্যতার আভ্যন্তরিক নহে— স্বার্থরক্ষার প্রাকৃতিক নিয়মে তাহা বাহির হইতে অভিব্যক্ত হইয়। উঠিয়াছে । এইজন্ত যুরোপীর গণ্ডির বাহিরে তাহ বিকৃত হইতে থাকে। এমন কি, সে গণ্ডির মধ্যেও যেখানে স্বার্থবোধ প্রবল, সেখানে দয়াধৰ্ম্ম রক্ষণ করার চেষ্টাকে যুরোপ দুৰ্ব্বলতা বলিয়া ঘৃণা করিতে আরম্ভ করিয়াছে। যুদ্ধের সময় বিরুদ্ধপক্ষের সর্বস্ব জালাইয়া দেওয়া, তাছাদের অনাথ শিশু ও স্ত্রীলোকদিগকে বন্দী করার বিরুদ্ধে কথা কহ। “সেটিমেন্টালিটি”। যুরোপে সাধারণত অসত্যপরতা দুষণীয়, কিন্তু পলিটিক্সে একপক্ষ অপরপক্ষকে অসত্যের অপবাদ সৰ্ব্বদাই দিতেছে। গ্লাডুষ্টোনও এই অপবাদ হইতে নিস্কৃতি পান নাই। এই কারণেই চীনযুদ্ধে যুরোপীয় সৈন্তের উপদ্রব বৰ্ব্বরতারও সীমা লজঘন করিয়াছিল এবং কংগো-প্রদেশে স্বার্থোত্মত্ত বেলজিয়ামের ব্যবহার পৈশাচিকতায় গিয়া পৌছিয়াছে । ... " দক্ষিণ আমেরিকায় নিগ্রোদের প্রতি কিরূপ আচরণ চলিতেছে, তাহ নিউইয়র্কে প্রকাশিত “পোস্ট্র সংবাদপত্র হইতে গত ২রা জুলাই তারিখের বিলাতী ডেলিনিউসে সঙ্কলিত হইয়াছে। তুচ্ছ অপরাধের অছিলায় নিগ্রো স্ত্রীপুরুষকে পুলিসকোর্টে হাজির করা হয়— সেখানে ম্যাজিষ্ট্রেটু তাহাদিগকে জরিমান করে, সেই জরিমানা আদালতে উপস্থিত শ্বেতাঙ্গেরা শুধিয়া দেয় এবং এই সামান্ত টাকার পরিবর্তে তাহারা সেই নিগ্রেগদিগকে দাসত্বে ব্ৰতী করে । তাহার পর হইতে চাবুক, লৌহুশৃঙ্খল এবং অন্তাষ্ঠ সকলপ্রকার উপায়েই তাহাদিগকে অবাধ্যতা ও পলায়ন হইতে রক্ষণ করা হয় । একটি নিগ্রো স্ত্রীলোককে ত চাবুক মারিতে মারিতে মারিয়া ফেলা হইয়াছে । একটি নিগ্রো স্ত্রীলোককে দ্বৈধব্য-( bigamy )-অপরাধে গ্রেফতার করা হইয়াছিল । হাজতে থাকার সময় একজন ব্যারিষ্টার তাহার পক্ষ অবলম্বন করিতে স্বীকার করে । কিন্তু কোন বিচার না হইয়াই নির্দোষী বলিয়া এই স্ত্রীলোকটি খালাস পায় । ব্যারিষ্টার ফি-এর দাবি করিয়া তাহার প্রাপ্য টাকার পরিবর্তে এই নিগ্রো স্ত্রীলোক