는송d शत्राभिन । [ ৩য় বর্ষ, আশ্বিন । আমার সেই আশাসেই স্বৰ,সেই মানুষটিকে নাই ।”—এই বলিয়া সেই জনশূন্ত অন্ধকার তোমার মধ্যে তুলিয়া রাখিলাম—সেখানে ছাদের উপরে আবার সে জোড়হাত করিয়া তাহার আর ক্ষয় নাই, বিকার নাই, অস্ত মস্তক ভূমিতলে অবলুষ্ঠিত করিল। ক্রমশ । কৌশল্য । MASYLLzSJJAAAS ভরদ্বাজমুনি দশরথের মহিষীবৃন্দের পরিচয় জানিতে ইচ্ছুক হইলে ভরত অঙ্গুলীদ্বারা কৌশল্যাকে দেখাইয়া বলিলেন, “ভগবন, ঐ যে দীনা, অনশনকশা, দেবতার স্তায় সৌম্যশাস্ত মূৰ্ত্তি দেখিতেছেন, উনিই আমার জ্যেষ্ঠ অম্বা কৌশল্য ।” এই যে দীনহীনা ব্ৰতে:পবাসক্লিষ্টা দেবীর চিত্ৰ দেখিলাম, ইহাই কৌশল্যার চিরস্কন মূৰ্ত্তি । ইনি দশরথ রাজার অগ্রমহিী হইয়াও স্বামীর আদরে বঞ্চিতা । রামচন্দ্রের বনবাসসংবাদে ইহার মনে রুদ্ধ কষ্টের বেগ উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়াছিল, তথন তিনি স্বামীর অনাদরের কথা বলিয়া ফেলিয়াছিলেন— “ন দৃষ্টপূর্বং কল্যাণং স্বপং বা পত্তিপেরুলে ।” ‘স্ত্রীলোকের শ্রেষ্ঠমুখ স্বামীর অনুরাগ, আমি তাহা লাভ করিতে পারি নাই ।” ‘স্বামী প্রতিকুল, এজন্য আমি কৈকয়ীর • পরিবারবর্গকর্তৃক নিতান্ত নিগৃহীত হইয়া আসিতেছি ।--~~ “অতো দুঃখতরং কিল্প, প্ৰমদানীং ভবিলাতি ” ‘সপত্নীর এরূপ লাঞ্ছনা হইতে স্বালোকের জমার বেশী কি কষ্ট হইতে পারে ? “যে আমার সেবা করে, কৈকয়ীর ভয়ে সে একান্ত শঙ্কিত হয় । আমি কৈকয়ীর কিঙ্করী বর্গের সমান অথবা উহাদের অপেক্ষ ও অধম হইয়া আছি ।” একমাত্র রামের দ্যায় পুত্র লাভ করিয়া তিনি জীবনে কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন । এই পুত্র সহজে তিনি লাভ করেন নাই,—পুত্রকামনা করিয়া বহু তপস্তা ও নানাপ্রকার শারীরিক কৃচ্ছ, সাধন করিয়াছিলেন । আমরা রামায়ণের আদিকাওে দেখিতে পাই, পুত্রকামনায় তিনি একদা স্বয়ং যজ্ঞের আশ্বের পরিচর্য্যা করিয়া সারারাত্রি অতিবাহিত করিয়াছিলেন । এই ব্রতনিরতা ক্ষৌমবাসা সাধবী চিরনম্নমধুর প্রকৃতিসম্পন্ন। ভগ্নীবৎ স্নিগ্ধ ব্যবহার দ্বারা তিনি কৈকয়ীর নিষ্ঠুরতার শোধ দিয়াছিলেন : ভরত কৈকয়ীকে ভৎসন করিয়া বলিয়াছিলেন, “কৌশল্য চিরদিনই তোমাকে ভগ্নীর দ্যার স্নেহ করিয়া আসিয়tছেন, তুমি তাহার প্রতি এরূপ বক্সাঘাত কেন করিলে ?” ক্ষমাশীল - কৌশল্যা কৈকয়ীর শত অত্যাচার ও সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক অত্যাচার স্বামীর চিত্তে একাধিপত্য
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।