পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇb^S যাহাতে পরের কাছেও তাহ যথার্থ বলিয়া অস্থভূত হইতে পারে । সুতরাং এইখানেই বাড়াবাড়ি হইবার সম্ভাবন । দূর হইতে যে জিনিষটা দেখাইতে হয়, তাহা কতকটা বড় করিয়াই দেখান আবশুক । সেটুকু বড়, সত্যের অনুরোধেই করিতে হয় । নহিলে জিনিষটা যে পরিমাণে ছোট দেখায়, সেই পরিমাণেই মিথ্যা দেখায় । -বড় করিয়াই তাহাকে সত্য করিতে হর । । আমার সুখদুঃখ আমার কাছে অব্যবহিত, তোমার কাছে তাহ অব্যবহিত নয় । আমি হইতে তুমি দূরে আছ। সেই দুরত্বটুকু হিসাব করিয়া আমার কথা তোমার কাছে কিছু বড় করিরাই বলিতে হয় । সত্যরক্ষণপূর্বক এই বড় করিয়া তুলিবার ক্ষমতায় সাহিত্যকারের যথার্থ পরিচয় পাওয়৷ যার । যেমনটি ঠিক, তেমনি লিপিবদ্ধ করা সাহিত্য ন হে । কারণ, প্রকৃতিতে যাহা দেখি, তাহা আমার কাছে প্রত্যক্ষ, আমার ইন্দ্রিয় তাহার সাক্ষ্য দের । সাহিত্যে যাহা দেখায়, তাহ প্রাকৃতিক হইলেও তাহ প্রত্যক্ষ নহে। সুতরাং সাহিত্যে সেই প্রত্যক্ষতার অভাব পুরণ করিতে হয় । প্রাকৃতসত্যে এবং সাহিত্য সত্যে এইখানেই তফাৎ আরম্ভ হয় । সাহিত্যের ম৷ যেমন করিয়া কাদে, প্রাকৃত মা তেমন করিয়া কাদে না । তাই বলিয়া সাহিত্যে মার কাল্প। মিথ্য নহে। প্রথমত প্রাকৃত রেrদন এমন প্রত্যক্ষ যে, তাহার বেদন মুাকারে-ইঙ্গিতে, কণ্ঠস্বরে, চারিদিকের দৃশ্যে এবং শোকঘটনার নিশ্চয় প্রমাণে আমাদের প্রতীতি ও সমবেদন बॆष्क्रझ=न् ि। [ ৩য় বর্ষ, আশ্বিন। উদ্রেক করিয়া দিতে বিলম্ব করে না । দ্বিতীয়ত প্রাকৃত মা আপনার শোক সম্পূর্ণ ব্যক্ত করিতে পারে না, সে ক্ষমতা তাহার নাই, সে অবস্থাও তাহার নয় । এইজন্তই সাহিত্য ঠিক প্রকৃতির আরশি নহে । কেবল সাহিত্য কেন, কোনো কলাবিদ্যাই প্রকৃতির যথাযথ অনুকরণ নহে । প্রকৃতিতে প্রত্যক্ষকে আমরা প্রতীতি করি, সাহিত্যে এবং ললিতকলায় অপ্রত্যক্ষ আমাদের কাছে প্রতীয়মান। অতএব এস্থলে একটি অপরটির আরশি হইরা কোন কাজ করিতে পারে না । এই প্রত। ক্ষতার অভাববশত সাহিত্যে ছন্দোবন্ধ-ভাষাভঙ্গীর নানা প্রকার কল-বল আশ্রয় করিতে হয় । এইরূপে রচনার বিষয়টি বাহিরে কৃত্রিম হুইয়া অস্তরে প্রাকৃত অপেক্ষা অধিকতর সত্য হইয়া উঠে । এখানে “অধিকতর সত্য” এই কথাটা ব্যবহার করিবার বিশেষ তাৎপর্য্য আছে । মামুধের ভাবসম্বন্ধে প্রাকৃত সত্য জড়িতমিশ্রিত, ভগ্নখ গু, ক্ষণস্থায়ী। সংসারের ঢেউ ক্রমাগতই sঠাপড়া করিতেছে—দেখিতে দেখিতে একটার ঘাড়ে আর একটা আসিয়া পড়িতেছে--তাহার মধ্যে প্রধান-অপ্রধানের বিচার নাই—তুচ্ছ ও অসামান্ত গায়ে-গায়ে ঠেলাঠেলি করিয়া যেভুাইতেছে। প্রকৃতির এই বিরাট রঙ্গশালায় যখন মানুষের ভাবাভিনয় আমরা দেখি, তখন আমরা স্বভাবতই অনেক বাদসাদ দিয়া ৰাছিয়া লইয়া আঙ্গাজের चाब्र! आप्न कछे डखि कब्रिब्र, कर्झनjब्र चाब्रl অনেকটা গড়িরা তুলিয়া থাকি । আমাদের একজন পরমাষ্ট্ৰীয় ও তাহার সমস্তটা লইয়া