ষষ্ঠ সংখ্যা । ] সাহিত্য-সমালোচনা । ミbrぶs 。 এখানে অনেকগুলি মুস্কিলের কথা আসিয়া পড়ে। অধিকাংশের কাছেই যাহা ভাল, তাহাই কি সত্য ভাল, না, বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের কাছে যাহা ভাল, তাছাই সত্য ভাল ? যদি বিজ্ঞানের কথা ছাড়িয়া দেওয়া যায়, তবে প্রাকৃতবস্তুসম্বন্ধে এ কথা নিশ্চয় বলিতে হয় যে, অধিকাংশের কাছে যাহা কালো, তাহাই সত্য কালে । পরীক্ষার দ্বারা দেখা গেছে, এ সম্বন্ধে মতভেদের সস্তাবন। এত অল্প যে, অধিক সাক্ষ্য সংগ্ৰহ করিবার কোন প্রয়োজন হয় না । কিন্তু ভালো যে ভালোই এবং কত ভালো, তাহা লইয়া মতের এত অনৈক্য ঘটিয়া থাকে যে, সে সম্বন্ধে কিরূপ সাক্ষ্য ল ওয়া উচিত, তাহা স্থির করা কঠিন হয় । বিশেষ কঠিন এই জন্ত, সাহিত্যকারদের শ্ৰেষ্ঠ চেষ্টা কেবল বৰ্ত্তমান কালের জন্য নহে । চিরকালের মনুষ্যসমাজই তাহাদের লক্ষ্য । যাহা বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎকালের জন্ত লিখিত, তাহার অধিকাংশ সাক্ষা ও বিচারক বৰ্ত্তমান কাল হইতে কেমন করিয়া মিলিবে ? ইহ প্রায়ই দেখা যায় যে, যাহা তংসাময়িক ও তৎস্থানিক, তাহাই অধিকাংশ লোকের কাছে সৰ্ব্বপ্রধান আসন অধিকার করে । কোন একটি বিশেষ সময়ের সাfক্ষসংখ্যা গণনা করিয়া সাহিত্যের বিচার করিতে গেলে অবিচার হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবন আছে। এইজন্ত বর্তমান কালকে অতিক্রম করিয়া সৰ্ব্বকালের দিকেই সাহিত্যকে লক্ষ্যনিবেশ করিতে হয় । কালে কালে মানুষের বিচিত্র শিক্ষা, ভাব ও অবস্থার পরিবর্তনসত্ত্বেও যে সকল রচনা আপন মহিমা রক্ষণ করিয়া চলিয়াছে, তাহাদেরই অগ্নিপরীক্ষণ হইয়া গেছে । মন আমাদের সহজগোচর নয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে আীবদ্ধ করিয়া দেখিলে অবিশ্রাম গতির মধ্যে তাহার নিত্যানিত্য সংগ্ৰহ করিয়া লওয়া আমাদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয় । এইজন্ত সুবিপুল কালের পরিদর্শনশালার মধ্যেই মানুষের মানসিক বস্তুর পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হয়—ইহা ছাড়া নিশ্চয় অবধারণের চুড়াস্ত উপায় নাই । - - কিন্তু কাজ চলিবার মত উপায় না থাকিলে সাহিত্যে অরাজকতা উপস্থিত হইত। হাইকোর্টের আপিল-আদালতে যে জজআদালতের সমস্ত বিচারই পর্য্যস্ত হইয়t যায়, তাহা নহে । সাহিত্যেও সেইরূপ জজআদালতের কাজ ষন্ধ থাকিতে পারে ন । অাপিলের শেষ মীমাংসা অতিদীর্ঘকালসাপেক্ষ—ততক্ষণ মোটামুটি বিচার একরকম পা ওয়া যায় এবং অবিচার পাইলেও উপায় নাই । e যেমন সাহিত্যের স্বাধীন রচনায় একএকজনের প্রতিভা সৰ্ব্বকালের প্রতিনিধিত্ব গ্রহণ করে,—সৰ্ব্বকালের আসন অধিকার । করে, তেমনি সমালোচনার প্রতিভাও আছে। এক একজনের পরখ করিবার শক্তিও স্বভাবতই অসামান্ত হইয়া থাকে। যাহ।" ক্ষণিক, যাহা সঙ্কীর্ণ, তাহ তাহাদিগকে ফাকি দিতে পারে না ; যাহা ধ্রুব, যাহা চিরন্তন, এক মুহূর্তেই তাহ তাহারা চিনিতে পারেন । সাহিত্যের নিত্যবস্তুর সহিত পরিচয়লাত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।