পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । ] চিরবিশ্রাম মেঘচছবি રજ૭ লভেচ্ছ যথায় তুলে লহু তথা তাহারে । অমিয় শিশির কোমল পরশে মুছীও হৃদয়বেদন হর ছঃসহ পাপতাপরাশি হর ছঃসহ যাতন । শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য । মেঘাচ্ছবি । আমাদের প্রাস্তরে মেঘবৃষ্টির ক্রীড়া আরম্ভ হই মাছে । এই প্রাস্তরই বটে শৃঙ্খলমুক্ত বর্ষণ প্রকতির সুযোগ্য ক্রীড়াঙ্গন । মুক্ত আকাশ এবং মুক্ত প্রাস্তুর মুখোমুখী হইয়া চাহিয়া থাকে ; তরুলেখাশুন্ত চক্রবালে, যেখানে মৃত্তিকা অসীম আকাশসমুদ্রের প্রাস্তে স্তম্ভিত হইয়া ধন থামিয়া দাড়াইয়াছে, দৃগুপটের সেই দূরান্ত সীমায়, - শৃষ্ঠতার অবাধ-বিস্তারে এক অগাধ এবং কঠোর ঔদাসীন্ত বাঞ্জিত দেখিতে পাই ;-অার একদিকে, যেখানে ধরণী-আকাশের সঙ্গমরেখায় এই স্বপূর হইতে লক্ষ্যগোচর একসারি চিত্রবৎ স্পন্দহীন তালগাছ দাড়াইয়া থাকিয়৷ ওই অগাধ শূন্ততাকে প্রতিহত করিতেছে, ওখানকার দৃপ্তাটি কি সকরুণ ! ঐ দুরলক্ষ্য ক্ষীণ তালগাছ-ক’টি দেখিয়া আমার মনে কেমন-একটু অসহায়তার ভাবের সঙ্গে একটি করুণ অবিভুত হয় । বিশ্ব গ্রাসী শূন্য তার মধ্যে ওই ঋজুক্ষীণ জীবনরেখাকয়েকটি বাস্তবিকই বড় সকরুণ । কিন্তু চারিদিকেই, ঔদাসীন্য এবং কারুণ্যে সকলি ভরিয়া আজ বাণকুলতার নিবিড় সঞ্চার । ঐ যে তালীশ্রেণীর পশ্চাতে ঘননিবন্ধ মেঘস্তর বিলম্বিত হইয়া তালীবন শ্ৰীতে কৃষ্ণকোমল সজলস্পশে গভীরতর কারুণ্য অর্পণ করিয়াছে । এবং পশ্চিম দিগন্তেও ঐ নিলিপ্ত শূন্যতার অন্তর আজ বৃহৎ বাস্পেীচ্ছ,সিতরঙ্গে গদগদ এবং ব্যাকুল । আমাদের ধরাতলের বাম্পোচ্ছ সে বুঝি . আজ গগনের জ্যোতিলোক অবরুদ্ধ ; দীর্ঘায়িত গুরু গুরু মেঘধ্বনিতে বুঝি আজ পৃথিবীর মৰ্ম্মবেদনা আকাশপ্রাঙ্গণে শব্দায়মান। শূন্ত: তার উদাসীন ললাটে চিন্তাকালিমা, জ্যোতিস্ময় স্বলোক নিরুদ্ধ, আকাশপ্রাঙ্গণে সিন্ধুনিৰ্ঘোষ, ধরণীর বনে-প্রান্তরে নিবিড়তর মলিনিম-আজ ধরণী:গগনের সহানুভূতির