অতিপ্রাকৃত । অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করিৰ কি না, একালের একটা প্রধান সমস্ত । সেকালের লোক নিৰ্ব্বিবাঙ্গে বিশ্বাস করিত । একালের ও এত লোকে বিশ্বাস করে যে, অতি প্রাক্লতে বিশ্বাসটাই মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক ও অবিশ্বাসটাই অস্বাভাবিক বলিয়া বোধ হয় । অস্বাভাবিক হইলে ও একালের বৈজ্ঞানিকেরা অতি প্রাকৃতে অবিশ্বাস করেন । অণর যাহারা আপনাদের অবৈজ্ঞানিকতা-স্বীকারে কুষ্ঠিত, তাহারা ও একালের বিজ্ঞানের খাতিরে অক্তিপ্রাক্লতে বিশ্বাস প্রকাশ করিতে লজ্জিত হন । কিন্তু যখন শোনা যায়, গুইএকজন বড় বড় বৈজ্ঞানিক অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করেন, তখন বড়ই খটকা দাড়ায় ৷ থিয়সফিষ্টদের সহিত তর্ক উপস্থিত হইলেই তাহারা উল্লাসের সহিত ওয়ালাশ, ক্রুকস ও লজের নাম করিয় ফেলেন । তখন তাহীদের দশনপ্রভায় মণধার ঘর অালো হষ্টয়া পড়ে । আমাদের মত অপত্তিত লোক, র্যাঙ্কার উক্ত - পণ্ডিতদের পাণ্ডিত্যমহিমায় মুগ্ধ আছেন, তাহারা তখন কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয় পড়েন । অগত্যা তখন বলা যায়, বিজ্ঞানের রাজ্যে রাজশাসন নাই। যিনি যত বড় বৈজ্ঞানিক ইউন না কেন, তাহার কথা বেদবাক্য বলিয়। মানিতে আমরা বাধ্য মছি । তিনি যথোচিত এমপি উপস্থিত করুন, তখন তাহার কথা من " শুনিব । নাম দেখিয়া ভয় বৈজ্ঞানিকের রীতি নহে । বলা বাহুল্য, এইরূপ উত্তর দেওয়া যায় বটে, কিন্তু মনের ভিতর গোল থাকিয়া যায় । কথাটা যদি নিতান্তই অমূলক হইবে, তবে ওয়ালাশ-লাহেব মানেন কেন ? আর কেহ নহে,—যে-সে নহে,--ওয়ালাশ কেন মানেন ? বড় কঠিন সমস্ত । হিউম নাকি বলিয়া গিয়াছেন অতিপ্রাকৃত,—যাহার ইংরাজি নাম মিরাক্ল,—তাহা ঘটিতে পারে না । টিওঁtল নাকি বলিয়াছেন, জগতে মিরাকৃলের স্থান নাই । এখন কোন পথে যাই ? থিয়সফিষ্ট বন্ধুগণকে খুলী করিতে পারিব না জানি, তথাপি একবার বিচারসমুদ্রে অব গণহন করা যাক । ইংরাজি মিরাকল শব্দের অর্থ কি ঠিক জানি না ; অতিপ্রাকৃত শব্দের অর্থ জানি । প্রাকৃত অর্থে যাহা প্রকৃতির অঙ্গ, যাহা প্রকৃতিতে ঘটে ; অতিপ্রাকৃত অর্থে, প্রকৃতিকে যাহা অতিক্রম করে, যাহা প্রকৃতির বাহির । যাহা কিছু ঘটে, তাছাই প্রকৃতির অঙ্গীভূত—ত সে যতই অস্তুত হউক না কেন । ' অদ্ভুত হইলেও তাহ যখন ঘটিতেছে, তখন তাহা প্রাকৃত, তাহ অতিপ্রাকৃত নহে । বাইবেলে গন্ন আছে, জোগুয়ার আদেশে সুর্য্য আকাশে স্থির হইয়াছিল । ঘণ্ডশ্বই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।