পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૩ ના কোন নুতন ধরণের সামুদ্রিক জীব যদি মাঝে মাঝে জাহাজের নিকট ভাসিয়া উঠে, তাহাতে কোন প্রাকৃতিক নিয়মের ভঙ্গ হয় কি ? তবে মাঝে মাঝে যদি কোন নুতন ধরণের জীব তাহার ইথরীয় ছায়াময় শরীর লইয়া আসিয়া দেখা দেয় বা ভয় দেখায় বা নাকি-স্বরে কথা কয়, তাহতেই বা প্রাক্কতিক নিয়মের ভঙ্গ হইৰে কোথায় ? কখনই না । প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে, অতএব অসম্ভব, - এটা কোন কাজের কথাই নয় । প্রকৃতির নিয়ম কি, তাহাই যখন পুরা সাহসে বলিতে পারি না, তখন ঐ উক্তি হঠোক্তিমাত্র । প্রকৃতির এক দেশের সহিত আমার পরিচয়, লেনাদেন, কারবার রহিয়াছে ; কিন্তু সেই পরিচিত প্রদেশের বাহির হইতে যদি কোন নুতন ঘটনা অকস্মাৎ ইন্দ্রিয়শোচর হয়, তাহাতক প্রাকৃতিক-নিয়মবিরুদ্ধ বলিবার কাহার ও অধিকার নাই । তবে কি আজ হইতে ভূত মানিব ? বাইবেলের যত অস্তুত গল্পে বিশ্বাস করিব ? ইহার উত্তর হক্সলি স্পষ্টভাবে- দিয়াছেন। জগতে একবারে অসম্ভব কিছুই নাই, স্বর্য্যের গতিরোধ হইতে ভূতের উৎপাত পৰ্য্যন্ত কিছুই অসম্ভব বলিতে পারা যায় না । তেমনি গুলিপোরের সভায় মৃত গল্পের স্বষ্টি হয়, তাহার ও কোনটাও হয় ত অসম্ভব সহে । তথাপি এই ক্ষেত্রে আমর; ঐ সকল গল্পে বিশ্বাস করা আবশ্বক বিবেচনা করি ন। । ঘটনা সম্ভব হইলেই সত্য হয় ল । সত্যতার প্রমাণ অনবগুক হয় । বাইবেলের গল্পের যদি ধথোচিত প্রমাণ থাকে, তাহার যাপার্থ্যে বিশ্বাস করতে প্রস্তু ত আছি । • शक्रप्लेमि । [ ৩য় বর্ষ, অশ্বিন । প্রমাণ কিন্তু যথোচিত হওয়া অবিশুক ; ঐ যথোচিত কথাটাতেই যত গোল । সৰ্ব্বসাধারণে যে প্রমাণে সন্তুষ্ট থাকেন, বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতেরা তাহাতে সন্তুষ্ট থাকেন না । বৈজ্ঞানিকদের মধ্যেও মতভেদ ঘটে। কতটুকু প্রমাণ হইলে সত্যতায় বিশ্বাস করা যাইবে, এ বিষয়ে দ্যায়শাস্ত্র নীরব । ইঞ্জিয়কে বিশ্বাস করিবার জো নাই ; চোখে ভুল দেখে, কান ভুল শোনে, বুদ্ধি বিকৃত হয় । সৰ্ব্বাপেক্ষা মনুষ্যচরিত্র হূৰ্ব্বোধ্য । কাহার মনে কি আছে, বল অসাধ্য । নিজের উপরেই যখন সৰ্ব্বদা বিশ্বাস চলে না । সাক্ষীর কথায়—তিনি যত-বড় সাক্ষীই হউন, সাক্ষীর কথায় নির্ভর করিয়া অনেক সময়ে ঠকিতে इंग्र ! মোটের উপর কথা এই, কতটুকু প্রমাণের উপর নির্ভর করা চলিতে পারে, এ বিষয়ে ব্যক্তিভেদে অাদর্শভেদ রহিয়াছে । সকলের আদশ সমান নহে ; সমান হইবারও উপায় নাই । কাজেই যে কথায় তুমি অবলীলাক্রমে বিশ্বাস কর, আমি তাহাতে আদেী অা zা করি না । পরস্পর গালিগালাজ করিয়া শাস্থিভঙ্গ করি । ফল কিছু হয় না । বৈজ্ঞানিকদের বিরুদ্ধে ওপক্ষের একটা অভিযোগ লাছে । তাহার বলেন, প্রমাণ আমরা দিতে প্রস্তুত ; কিন্তু তোমরা ধীরভাবে প্রমাণ গ্রহণ করিতেই অসন্মত ; তোমরা গোড়া তই মোম। দিগকে মিথ্যাবাদী, প্রতারক বা অন্ধ-প্রতারিত বলিয়া এrব জানিয়া রাখিয়াছ । সামাদের প্রমাণ না দেখিয়াই, নী জানিয়াই, তোমরা রায় বাহাল রাখিতেছ, এটা লি হাস্ত অবৈজ্ঞানিক প্রথা ।