ষষ্ঠ সংখ্যা । ] অতিপ্রাকৃত । \be 2 সকলের জগৎ ঠিক সমানমাত্রায় সমঞ্জস নহে । ব্যাবহারিক হিসাব ছাড়িয়া একটু পরমার্থের হিসাবে দেখিলে বুঝিতে হয়, আমরা আপন আপন জগৎ আপনার আপনার মত করিয়া গড়িয়া লইয়াছি । প্রত্যক্ষ জগৎকে কতকগুলি প্রত্যয়ের সমষ্টি ভির আর কিছু বলিতে পারা যায় না । বস্তুতই বলা চলে না । এই প্রত্যয়গুলি মানসিক পদার্থ ; প্রত্যেক ব্যক্তি উহাদিগকে নানাভাবে সাজাইয়। আমাপন আপন জগৎ নিৰ্ম্মাণ করিয়া লয় । সকলের প্রতায় ঠিক সমান নছে, সেইজন্য সকলের জগৎ ঠিক এক নহে ; প্রায় এক ; কিন্তু ঠিক এক নহে । দর্শনশাস্ত্র হইতে জাগরণ, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি এই তিনটা শব্দ গ্রহণ করিলে বুঝিবার কতকটা সুবিধা হইতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তির চেতনার তিন অবস্থা ;–জাগরণের, স্বপ্নের ও স্বযুপ্তির অবস্থা । জাগরণের অবস্থায় জগৎ স্বগৃঙ্খল, স্ববিন্যস্ত, সমঞ্জস ; স্বপ্লাবস্থায় জগং শৃঙ্খলাশূন্ত, অসমঞ্জস, এলোমেলে—তবে যতক্ষণ স্বপ্রাবস্থল থাকে, ততক্ষণ উহা স্থশুঘল বলিয়াই বোধ হয়। আর স্বযুপ্তির অব স্থtয় জগৎ প্রায় নাস্তিত্ত্বে লীন হইয়া যায় । অবস্থা এই তিনটা, কিন্তু চেতন যুগপং এই তিন অবস্থাকেই আশ্রয় করিয়া থাকে । চেতন পূর্ণ জাগ্রভ, বা পূর্ণ স্বপ্রাবস্থ, বা পূর্ণ স্বযুপ্ত কখনও থাকে, তাহ বোধ হয় না । জাগরণে, স্বপ্নে ও কুপ্তিতে মিলাইয়া-মিশাইয়। চেতনার প্রকাশ । জাগরণের সঙ্গে সঙ্গে চেতনীর কিয়দংশ স্বপ্ন দেখে ও কিয়দংশ স্বপ্নহীন খুমে থাকে। আজকাল subliminal self u subliminal consciousness atta একটা কথা শুনা যায় । প্রেততাত্বিকেরা ঐ শব্দের বহুল ব্যবহার করেন, এবং উহার দ্বারা নানাবিধ মানসিক বিকারাবস্থার ব্যাখ্যা করেন। ঐ শব্দের অর্থ এইরূপে বুঝান যাইতে পারে। মামুষের চেতনার একটা প্রকোষ্ঠমাত্র পূর্ণ-চেতন বা পূর্ণ-জাগ্ৰত ; যাহ। সেই প্রকোষ্ঠেয় অন্তৰ্ব্বত্তা, তাহাই আমাদের স্পষ্ট প্রত্যক্ষ । সেই প্রকোষ্ঠের দ্বার পিয়া প্রত্যয়গুলি যাতায়াত করিতেছে ; যতক্ষণ উহা সেই দ্বারের . বাহিরে থাকে, ততক্ষণ উহা প্রত্যক্ষ হয় না, ততক্ষণ উহ! subliminal, ততক্ষণ উহ। gstrata faso es a 1 core subliminal অবস্থাকে আমরা স্বপ্ত অবস্থা, এবং যাহা প্রকোষ্ঠের ভিতরে আসিয়াছে, যাহা জ্ঞানের বিষয়, যাহা স্পষ্ট প্রত্যক্ষ, মায়ার্স*Ittz- Artett F supraliminal x==T, তাহাক জাগ্ৰদ বস্থা বলিতে পারি। স্থপ্ত অবস্থার যে সকল প্রত্যয় জাগ্ৰত চেতনার প্রকোষ্ঠের দ্বারে আসিয়া উকিঝুকি মারে, কখন ক্ষণেকের মত দ্বারের ভিতর প্রবেশ করিয়া আবার তথনই পলাইয়া যায়, তাহীদিগকে স্বপ্নাবস্থ মনে করিতে পারি। মামুষের ঘুমন্ত অবস্থায় বা মন্ত্ৰমুগ্ধ অবস্থায় ( ইংরাজিতে যাহাকে হিপূনটিক অবস্থা বলে, তাহাতে ), বা ওষধিমুগ্ধ অবস্থায় (অর্থাৎ নেশার অবস্থায় ) এই আকস্মিক, আগন্তুক, অপরিচিত বা অল্পপরিচিত প্রত্যয়গুলি আসিয়া উকি মারে । তখন উহাদিগকে আমরা দেখি ; কিন্তু জাগ্রদবস্থার পরিচিত পূর্ণ প্রকাশ প্রত্যয়গুলির সহিত উহাদের সামপ্রস্ত রাখিতে পারি না। প্রেততাত্ত্বিকের ভাষায় আমাদের পূর্ণ জাগ্রদবস্থাতেও এই sublimi
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।