vరి:8 থাকে। যৌবনে বিকাশোলুখ শক্তি ও বৃত্তিসকল মানবকে অপরিসীম শক্তিমদে প্রমত্ত করিয়া রাখে ] মানবের অসাধ্য যে কিছু আছে, তখন ইহা কল্পনাতেও প্রায় স্থানপ্রাপ্ত হয় না । কিন্তু জীবনসংগ্রামে প্রবৃত্ত হইয়া, সংসারের ভীষণ শক্তিসংঘর্ষের মধ্যে একবার পড়িয়া গেলে, সহজেই সেই কল্পিত আত্মবিশ্বাস চুৰ্ণ হইয়া যায় । জীবনের কঠোর অভিজ্ঞতাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানবের অকিঞ্চনতা ও অক্ষমতার জ্ঞান উজ্জল হইয়া উঠে । এ সম্বন্ধে আস্তিক-নাস্তিকের মধ্যে বিশেষ প্রভেদ থাকে না । নাস্তিক্যবাদী ব্রাড়লর মুখে পর্য্যন্ত এ কথা শুনিয়াছি— *Oh, what little, man can do to ##t= মানবের সর্বজনীন অভিজ্ঞতা । জীবনের অভিজ্ঞতাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যৌবনের শক্তিমদ যত ক্ষীণ হইতে লাগিল, ততই মানবের শক্তিসাধোর অতীত এক বিশ্বব্যাপিনী বিধাতুশক্তিতে বিশ্বাস জন্মিতে আরম্ভ করিল । প্রথমত এই শক্তিকে vērst ergFzR–Blind . Fate zfGT Tl stf - তাম। ক্রমে এই কল্পনা হইতেই এক অনন্তুকল্যাণকারিণী বিশ্বশক্তির সত্তায় বিশ্বাসের বিকাশ হইতে লাগিল । সংসারের ঘাতপ্রতিঘাতে, আশা ও নৈরাষ্ঠের সংঘর্ষে এই বিশ্বাস পরিস্ফুট হইয়া উঠিল; তাহার সৃঙ্গে সঙ্গে পূৰ্ব্বসিদ্ধ জড়চেতনবাদের ভূমি শিথিল হইল বটে, কিন্তু একেবারে পরিত্যক্ত হইল না । এই একত্বানুভূতি যে সমৃয়ে অল্পে অল্পে প্রাণে জাগিয়া উঠিতেছিল, তখনই প্রকৃতপক্ষে এমাসনের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকার হয় । বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ; কাৰ্ত্তিক । এই অভিজ্ঞতা জন্মিবার পূৰ্ব্বে এমাসনকে জানিতাম বটে, কিন্তু ভাল করিয়া চিনিতে পারি নাই । অদৃষ্টের সন্ধান তখন ঈষৎ পাইয়াছি বটে, কিন্তু দৃষ্টের উপরেও পূর্ণ আশ্বাসই রহিয়াছে । আর থাকিবারই কথা । তখনও স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য্য, সুখ ও সম্ভোগের পসরা লইয়া জীবনতরণী মৃদুমন্দ কালতরঙ্গে আনন্দে ভাসিয়া যাইতেছিল। কিন্তু সহসা একদিন প্রলয়ঝঞ্চায় সমুদায় বিপৰ্য্যস্ত ও বিনষ্ট হইয়। গেল। মৃত্যুর স্থচিভেদ্য অন্ধকার চক্ষের নিমেষে চারিদিক্ আচ্ছন্ন করিয়া দিল । সেই অন্ধকারে, নিরাশার নিৰ্ম্মম নিস্তব্ধতার মধ্যে, আসার অনিত্যের বিভীষিকা জাগিয়া উঠিয়া, মৃত্যুর ছবিকে ও যেন ম্ৰিয়মাণ করিয়। তুলিল । সেই দুৰ্দ্দিনে, সেই মৃতু্যচ্ছায়ায়, সেই বিভীষিকার মধ্যে, এমাসনের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় । এদেশের নব্য শিক্ষিতসমাজের আরদশজনের দ্যায় আমিও বহুদিনই এমার্সনের নাম জনিতাম ; বহুদিন তাহার গ্রন্থাবলীও কিছু কিছু পড়িয়াছিলাম ; কিন্তু আস্বাদন করিতে পারি নাই । ফলত এতাবৎকাল এমাসলের সঙ্গে আমার মানস-সাক্ষাৎকার হয় নাই । আর গ্রন্থকারের সাক্ষাৎ পরিচয় ব্যতিরেকে, শুদ্ধ বণিকরণ ও অভিধানের সাহায্যে কোন গ্রন্থেরই নিগুঢ় মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে পারা যায় না । জগতের শিক্ষণগুরুদিগের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ-পরিচয়ব্যাপারটা নিতান্তই দুর্লভ, . কেবল দেবপ্রসাদেই সম্ভব হয়। কারণ সমানে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।