পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ g बछलश्चैन । [ ৩য় বৰ্ষ, বৈশাখ । পাবার জন্ত আমি উন্মত্ত হয়েছিলেম, অামার প্রতি তোমার সেইসময়কার অবজ্ঞ}, ঘৃণা, ভৎসনা বই, আমার মনে, তোমার সম্বন্ধে আর কোন স্মৃতি নেই । বে রমণী তার গ্রেমোন্মত্ত নায়কের মৰ্ম্মে এইরূপ আঘাত দেয়, তারও মৰ্ম্ম-ক্ষত যতক্ষণ না সে দেখতে পায়, ততক্ষণ সে কিছুতেই তৃপ্ত হয় না, তার উন্মত্ততার উপশম হয় না । তাই আমি "প্রতিশোধের জন্ত তুষিত। যে শিশুর মুখ শ্ৰীতে তোমারই সৌন্দয্যের ছায় প্রতিবিম্বিত, সেই শিশুর জন্য তোমায় পরিতাপ করতে হবে, ক্ৰন্দন করতে হবে,—এই কথা মনে করে? আমার যে কি সুখ হয়েছিল, তা যদি জানতে ! সেই শিশুটির উপর আমার যে একেবারেই ভালবাস ছিল না, তা নয় কিন্তু তবুও তার জষ্ঠ কতক গুলি কষ্টের স্বষ্টি করতে আমার কেমন একটা দারুণ ইচ্ছে হয়েছিল । মঠের সন্ন্যাস ব্রতে প্রথমে তার রুচি জন্মিয়ে দিলেম, কিন্তু তাকে কিছুতেই ব্ৰতের প্রতিজ্ঞ। গ্রহণ করতে দিলেম না । কেন না, সে যখন আবার সংসারে ফিরে যাবে—ফিরে গিয়ে বখন তার নিজের পদমৰ্য্যাদা জানতে পারবে, তার পিতৃহস্তাকে জানতে পারবে, তখন সে নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পাবে । তাকে যে কষ্ট দেবার ইচ্ছে হয়েছিল, সে কেবল তোমারই শরীরের অংশ মনে করে ; তোমারই মুখশ্ৰী তাতে দেখতে পেতৈম বলে’ ” 彎 এই কথা বলিয়া বাবা-জা তার হাত ধরিয়া সবেগে একটা ঝাকানি দিল । সন্ন্যাসিনী জার কথা শুনিয়া "এতক্ষণ স্তম্ভিত হইয়। দাড়াইল্প ছিল, একটি কথাও উচ্চারণ করিতে পারিল না । বাবা জী আবার আরম্ভ করিলেন ৪ –“তোমার বোধ হয় স্মরণ অাছে, তুমি যখন সন্ন্যাসিনীর অবগুণ্ঠন গ্রহণ করীি লে, একজন আগন্তুক একটা চীৎকার করে’ উঠে” সেই অনুষ্ঠানের ব্যাঘাত করে ? c. * * * * * "তুমি বোধ হয় দেখেছিলে, সেই আগন্তুকের সঙ্গে একটি শিশু ছিল ; সেই শিশুই তোমার পুত্র । আর, আমি তোমাকে পূৰ্ব্বেই বলেছি, কতকটা তার উপর দিয়েই আমার প্রতিশোধতৃষ্ণার নিবৃত্ত করেছি। তোমাকে পাবার জন্যই আমি চৌর্য্যবৃত্তি করেছি— গুপ্তহত্য পর্য্যস্ত করেছি ; আর . তোমার ঘৃণার প্রতিশোধ নেবার জন্তই আমি পাষাণ-হৃদয় হয়েছি --নিষ্ঠুর পিশাচ হয়েছি ” পুৰ্ব্বাগত সন্ন্যাসী যুবকটি এতক্ষণ স্তম্ভিত হইয়া সেইখানে দাড়াইয়া ছিল ; বtষা-জী সহস। তাছার হাত ধরিয়া সন্ন্যাসিনীর চক্ষের সম্মুখে তাহাকে আনিয়া উপস্থিত করিল এবং এই কথা বলিল —“এর হাতের এই ক্ষতচিহ্লটি একবার দেখ...তুমি অবশুই চিনতে পারবে । কেন না, এই চিন্থটি যে তোমাকে দেখাচ্চে, সে আর কেউ না, সে স্বয়ং জন টমসন ।” দুইটি নাম এক্ষণে সেই সুরক্ষা-গহবরে প্রতিধ্বনিত হইল-হারি, জন টম্সন ! ক্যাথেরাইন নিজ মনের আৰেগ দমন করিবার জন্য একটু চেষ্টা করিল, কিন্তু পারিল না । দুৰ্ব্বল কণ্ঠস্বরে সে বলিয়া উঠিল :“জন্‌-টপ্পল্‌ ! তুই শিশুর পিতাকে হত্য করেছিস, তুই শিশুর জননীকে অবমানিত করেছিল, আর ত্রিশ বৎসরেরও অধিক অামার বtছাটিকে কষ্ট দিয়েচিস...তোর