পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] · চাহি নাই বলিয়া তুমি রাগ করিয়tছ?—সত্য করিয়া বল ।” র-মশ কহিল—“সত্য করিয়াই বলিতেছি, তোমার উপরে রাগ করি নাই, আমি নিজের উপরেই রাগ করিয়াছি।” রমেশ ভাবনার জাল হইতে নিজেকে জোর করিয়া ছাড়াইয়া লইয়। কমলার সহিত আলাপ করিতে প্রবৃত্ত হইল । তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল—“আচ্ছা কমলা, ইস্কুলে এতদিন কি শিখিলে বল দেখি ?” কমলা অত্যন্ত উৎসাহের সহিত নিজের শিক্ষার হিসাব দিতে লাগিল । সম্প্রতি পৃথিবীর গোলাকৃতির কথা তাহার অগোচর নাই জানাইয়া যখন সে রমেশকে চমৎকৃত করিয়া দিবার চেষ্টা করিল, রমেশ গম্ভীরমুখে ভূমণ্ডলেয় গোলত্বে সন্দেহপ্রকাশ করিল। কহিল, “এ কি কখনো সম্ভব হইতে পায়ে ?” কমলা চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া কহিল— “বtঃ, আমাদের বইয়ে লেখা আছে –আমরা পণ্ডুিয়াছি।” রমেশ অtশ্চর্য্য জানাইয়া কহিল—“বল, কি বইয়ে লেখা আছে ? কতবড় ৰই ?” এই প্রশ্নে কমলা কিছু কুষ্ঠিত হইয়া কহিল, “বেশি বড় বই নয়—কি স্তু ছাপায় বই তাহাতে ছবিও দেওয়া আছে।” এত-বড় প্রমাণুের পর রমেশকে হার মানিতে হইল । তার পরে কমল শিক্ষার বিবরণ শেষ করিয়া বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও শিক্ষকCদর কথা, সেখানকার দৈনিক কাৰ্য্যধারা গইয়া বকিয় যাইতে লাগিল। রমেশ অন্তমনস্ক হইয়া ভাবিতে ভাবিতে মাঝে মাঝে গাড়া দিয়া গেল। কখনো বা কথার শেষ cनौकांछूबि శ్రీtలో স্বত্র ধরিয়া এক-আধটা প্রশ্ন ও করিল । হঠাৎ একসময়ে কমল বলিয়া উঠিল, “তুমি আমার কথা কিছুই শুনিতেছ না।” বলিয়া সে রাগ করিয়া তখনি উঠিয়া পড়িল । রমেশ ব্যস্ত হইয়া কছিল, “না না কমলা, রাগ করিয়ো না—আমি আজি ভাল नाहे ।” જ ভাল নাই শুনিয়া তখনি কমল ফিরিয়াআসিয়া কহিল—“তোমার অসুখ করিয়াছে ? কি হইয়াছে ?” রমেশ কহিল—“ঠিক অসুখ নয়—ও কিছুই নয়—আমার মাঝে মাঝে অমন হইয়া থাকে—আবার এখনি চলিয়া যাইবে।” । কমলা রমেশকে শিক্ষার সহিত আমোদ দিবার জন্ত কহিল, “আমার ভূগোল-প্রবেশে পৃথিবীর যে ছবি আছে, দেখিবে ?” রমেশ অণগ্রহ প্রকাশ করিয়া দেখিতেচাহিল । কমল৷ তাড়াতাড়ি তাহার বই অtনির রমেশের সম্মুখে খুলিয়া ধরিল । । কহিল—“এই যে ছটাে গোল দেখিতেছ, ইহ আসলে একটা । গোল জিনিষের দুটো পিঠ কি কখনো একসঙ্গে দেখা যায় ?” রমেশ কিঞ্চিৎ ভাবিবার ভাণ করিয়া কহিল—“চ্যাপ্টা জিনিষেরও দেখা যায় না ।” কমলা কহিল, “সেইজন্য এই ছবিতে পৃথিবীর দুই পিঠ আলাদা করিয়া আঁকিপ্পাছে।” এমনি করিয়া সন্ধ্যাট কাটিয়া গেল । 之之 অন্নদণবাবু একান্তমনে আশা করিতেছিলেন, যোগেন্দ্র ভাল খবর লইয়া আসিবে, সমস্ত গোলমাল অতি সহজে পরিষ্কার হইয়া যাইবে । যোগেঞ্জ ও অক্ষয় যখন ঘরে