अषॆभ.ग्रश्था । ] আয়-কোন পাত্ৰ স্থির কন্ধিয়া আসচে রবিবারেই যেমন করিয়া হৌক কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিতে হইবে । নহিলে লোকের কাছে মুখ দেখাইতে পারিব না । বলিয়া যোগেন্দ্র একবার অক্ষয়ের মুখের দিকে চাহিল। অক্ষয় বিনয়ে মুখ নত করিল ৷ অন্নদাবাৰু। পাজ এত শীজ পাওয়া যাইবে ? যোগেন্দ্র । সে তুমি নিশ্চিস্ত থাক । অন্নদাবাবু । কিন্তু হেমকে ত রাজি করাইতে হইবে । যোগেন্দ্র । রমেশের সমস্ত ব্যাপার শুনিলে সে নিশ্চয় রাজি হুইবে । অন্নদীবাবু। তবে ষা তুমি ভাল বিবেচনা হয়, তাই কর । কিন্তু রমেশের বেশ সঙ্গতিও ছিল, আবার উপার্জনের মত বিদ্যাবুদ্ধিও ছিল । এই পশু আমার সঙ্গে কথা ঠিক হইয়া গেল, সে এটোয়ায় গিরা প্রাকৃটিস্ করিবে, এর মধ্যে দেখ দেখি কি কাও ! যোগেন্দ্র । সেজন্তু কেন .চিত্তা করিতেন্থ যাব, এটোয়াতে রমেশ এখনো প্রাকটিস করিতে পারিবে । একবার হেমকে ডাকিয়া আনি, আর ত বেশি সময় নাই । 發 কিছুক্ষণ পরে যোগেন্দ্র হেমনলিনীকে লইয়া ঘরে প্রবেশ করিল। অক্ষয় ঘরের এক কোণে বইয়ের আলমারির আড়ালে বসির স্বহিল। _ ধেtগেজ কছিল, “হেম, বোস, তোমার সঙ্গে একটু কথা অাছে। নৌকাভুবি।
- @·
হেমনলিনী শুদ্ধ হইয়া চৌকিতে বসিল । সে জানিত, তাহার একটা পরীক্ষণ আসি তেছে । - t যোগেন্দ্র ভূমিকাচ্ছলে জিজ্ঞাসা করিল, “রমেশের ব্যবহারে সন্দেহের কারণ তুমি কিছুই দেখিতে পাও না ?” হেমনলিনী কোন কথা না বলিয়া কেৰল ঘাড় নাড়িল । - যোগেন্দ্র । সে যে বিবাহের দিন একসপ্তাহ পিছাইয়া দিল, তাহার এমন কী কারণ থাকিতে পারে, যাহা অামাদের কারো কাছে বলা চলে না ! হেমনলিনী চোখ নীচু করিয়া কহিল, “কারণ অবশুই কিছু আছে।” যোগেন্দ্র । সে ত ঠিক কথা । কারণ ত আছেই—কিন্তু সে কি সন্দেহজনক না ? হেমনলিনী আবার নীরবে ঘাডু নাড়িয়া জানাইল—“না ।” তাহাদের সকলের চেয়ে রমেশের উপরেই এমন অসন্দিগ্ধ বিশ্বাসে যোগেন্দ্র রাগ করিল। সাবধানে ভূমিকা করিয়া কথা-পাড়া আর চলিল না । যোগেন্দ্র কঠিনভাবে বলিতে লাগিল— “তোমার ত মনে আছে, রমেশ মাস ছয়েক আগে তাহার বাপের সঙ্গে দেশে চলিয়া গিয়াছিল । তাহার পরে অনেকদিন তাহার কোন চিঠিপত্র না পাইয়া আশ্চৰ্য্য হইয়। গিয়াছিলাম। ইহাও তুমি জান যে, যে রমেশ চুইবেল আমাদের এখানে অসিত, যে বরাবর আমাদের পাশের বাড়ীতে ৰাস৷ লইয়া ছিল, সে কলিকাতায় আসিয়া জামাদের সঙ্গে একবারো দেখাও করিল না, অম্ভ