পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা৭ ] নৌকাডুবি। ૭૮૧ જ खप्रकध्रु श्रोथ ब्रांथिब्रां घ८ब्रव्र दांश्रिद्ध लग्नজার আড়ালে গিয়া দাড়াইল । অন্নদাৰাৰু সোফার উপরে হেমনলিনীর পাশে বসিয়া তাহার মুখে-গায়ে হাত বুলাইতে লাগিলেন— এবং গভীর দীর্ঘলিশ্বাস ফেলিয়। কেবল একবার খলিলেন, “ম৷ ” দেখিতে দেখিতে হেমনলিনীর দুই চক্ষু দিয়। জল ঝরিয়া পড়িতে লাগিল—তাহার বুক ফুলিয়া-জুলিয়া উঠিল—পিতার জাম্বর উপর বুক চাপিয়া-ধরিয়া তাহার অপহ রোদনের বেগ সংবরণ করিতে চেষ্টা করিল। অন্নদাবাৰু অশ্ৰুরুদ্ধকণ্ঠে বলিতে লাগিলেন— “ম, তুমি নিশ্চিস্ত থাক মা । রমেশকে আমি খুব জানি—সে কখনই অবিশ্বাসী নয়-- যোগেন নিশ্চয়ই ভুল করিয়াছে ?” যোগেন্দ্র আর থাকিতে পারিল না, কহিল, “বাবা, মিথ্য আশ্বাস দিয়ে না !—- এখনকার মত কষ্ট্র বঁাচাইতে গিল্প উছাকে দ্বিগুণ কষ্ট্রে ফেলা হইবে । বাবা, হেমকে এখন কিছুক্ষণ ভাবিবার সমর দাও।” হেমনলিনী তখনি পিতার জাঙ্গু ছাড়িয়া উঠিয়া বসিল—এবং যোগেন্দ্রের মুখের দিকে চাহিয়া কহিল—“আমার যাহা ভাবিবার, সব ভাবিয়াছি। যতক্ষণ তাহার নিজের মুখ হইতে না শুনিব, ততক্ষপ আমি কোনমতেই বিশ্বাস করিব না, ইহা নিশ্চয় জানিয়ে ” এই কথা বলিয়। সে উঠিয়া পড়িল । অন্নদাৰাৰু ব্যস্ত হইয়া জাহাকে ধরিলেন— কহিলেন, “পড়িয়া যাইৰে ।” হেমনলিনী অন্নদাবাবুল হাত ধরিয়া তাহার শোবার ঘরে গেল। বিছানায় গুইয়। , ९ কহিল, “বাবা, আমাকে একটুখানি একূল৷ রাখিয়া যাও, আমি ঘুমাইব ।” - অন্নদীবাবু কহিলেন, “হরির মাকে ডাকিয়া-দিব ?—বাতাস করিবে ?” হেমনলিনী কহিল, “বাতাসের দরকার নাই বাবা ।” অন্নদণবাবু পাশের ঘরে গিয়া বসিলেন । এই কস্তাটিকে ছয়মাসের শিশু-অবস্থায় রাখিয়া ইহার মা মারা যায়, সেই হেমের মার কথা তিনি ভাবিতে লাগিলেন । সেই সেৰা, সেই ধৈর্য্য, সেই চিরপ্রসল্পতা মনে পড়িল । সেই গৃহলক্ষ্মীরই প্রতিমার মত ষে মেয়েটি এতদিন ধরিয়া তাহার কোলের উপর বাড়িয়া উঠিয়াছে, তাহার অনিষ্ট-আশঙ্কায় তাহার হৃদর ব্যাকুল হইয়া উঠিল । পাশের ঘরে বসিয়া-বসির। তিনি মনে মনে তাহাকে সম্বোধন. করিয়া বলিতে লাগিলেন—“মা, তোমার সকল বিঘ্ন দূর হউক, চিরদিন তুমি স্বথে থাক—তোমাকে স্বর্থী দেখিয়া, স্বস্থ দেখিয়া, যাহাকে ভালবাস তাহার ঘরের মধ্যে লক্ষ্মীর মত প্রতিষ্ঠিত দেখিয়া আমি যেন তোমার মার কাছে যাইতে পারি ?” এই বলিয়া জামার প্রান্তে আর্দ্রচক্ষু মুছিলেন । মেয়েদের বুদ্ধির প্রতি যোগেন্দ্রের পুর্ব হইতেই যথেষ্ট অবজ্ঞা ছিল, আজ তাহা আরো দৃঢ় হইল । ইহার প্রত্যক্ষ প্রমাণও বিশ্বাস করে না—ইহাদিগকে লইয়া কি করা যাইবে ?. দুইয়ে ছুইয়ে ষে চার হইবেই, তাহাতে মাছধের স্থখই হোঁকু আর দুঃখই হোক, তাহ ইহার স্থলবিশেষে অনাক্সাসেই অস্বীকার করিতে পারে । যুক্তি যদি কালোকে কালোই বলে, জার ইহাঙ্গের ভালবাসা তাহাকে বলে