পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీశ్రి প্রেস্থ্যমেশ্বরনামক-শিবমন্দিরের প্রস্তরফলকলিপি । ইহা উমাপত্তিনামক কবির রচিত বলিয়া লিখিত আছে। জয়দেব উমাপতির সমসামক্সিক । জয়দেব লিখিয়া গিয়াছেন— “উম।পত্তি বাক্যকে বড় পন্নবিত করিয়া থাকেন।” উমাপতির এই রচনাতেও পল্পৰিক্ত বাক্যাবলীর নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় । কিন্তু তাহার অভ্যস্তরে যে কিছুমাত্র ঐতি‘হাসিক সত্য নাই, এরূপ অনুমান নিতান্ত অসঙ্গত । উমাপতি বিজয়সেনকে বিজয়ী বীর বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন । অক্সান্ত প্রমাণেও ইহা দৃঢ়ীকৃত হইয়াছে। . বিজয়সেন বীর না হইলে, পালবংশের অধিকৃত বরেন্দ্র প্রদেশে রাজধ,না ও রাজ্য সংস্থাপনে কৃতকাৰ্য্য হইতেন না। সুতরাং অন্ত প্রমাণ না থাকিলেও, তাহাকে বিজয়ী বীর বলিয়াই স্বীকার করিতে হয় । বিজয়ুসেন “গৌড়েশ্বর” উপাধি গ্রহণ করিলেও, তিনি যে সমগ্র গৌড়রাজ্য করতলগত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহ৷ সত্য বলিয়া বোধ হয় না । সূত্য হইলে, তিনি রাজশাহার অন্তর্গত গোদাগাড়ীর নিকট বরেন্দ্রনামক স্থানে রাজধানী সংস্থাপন ও শিবমন্দিরপ্রতিষ্ঠা না করিয়া, ইতিহাসবিখ্যাত পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের পুরাতন রাজধানীতেই সিংহাসনে উপবেশন করিতেন । কিন্তু প্রস্তরলিপিতে বিজয়সেন গৌড়, কলিঙ্গ ও কামরূপ জেতা বলিয়া ৰণিত। যথা – “श्व१ नांनारँौब्रश्छिद्रौष्ठि नेिब्र: करीनांर শ্রদ্ধান্যথামননরঞ্জলিগুঢ়দেযঃ। গৌড়েশ্রমত্রবদপাকৃতকামরূপছুপং কলিঙ্গমপি বস্তরস জিগায় ।” [ ৩য় বর্ষ, গুগ্রহায়ণ । (২) দ্বিতীয় প্রমাণ,~ৰলালৰিয়চিত “দানসাগর”নামক গ্রন্থের পরিচয়শ্লোকগবলী । তাহাতে বিজয়সেনদেবের বরেক্সে প্রায়ভূত হইবার কথা লিখিত আছে । বিজয়সেস যে সমগ্ৰ গৌড়রাজ্য করতলগত করিতে পারেন নাই, “দানসাগরেল্প” শ্লোকই তাছার বিশিষ্ট প্রমাণ । যথা ৪— “হেমন্তঃ পরিপন্থিপঞ্চজসরঃ স্বৰ্গক নৈসগিকৈক্লদগীতঃ স্বগণেরদাত্তমৃহিম হেমম্ভসেলোইজলি " “তঙ্গমু বিজয়সেনঃ প্রাদুরাসীৎ বরেক্সে দিশি বিদিশি ভজন্তে বস্ত বীরধাজত্বশ ”. * ইহাতে বিজয়সেন বীর ও বিজয়ী বলিস্নাই প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । তিনি বরেস্ত্রে প্রাদ্ধভূত হইয়াছিলেন,—সমগ্ৰ গৌড়ীয় হিন্দুসাম্রাজ্য অধিকার করিতে পারেন নাই । (৩) তৃতীয় প্রমাণ,—লক্ষ্মণসেনদেবের বিবিধ তন্ত্রশাসন । ইহাতে বিজয়সেনের রাজ্য সমুদ্র পর্য্যস্ত বিস্তৃত ছিল, জানিতে পারা যায় । এ পর্য্যস্ত লক্ষণসেনদেবের যতগুলি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে, তন্মধ্যে তদীয় রাজ্যান্ধের সপ্তমবধ পৰ্য্যন্ত তাহার ঐবিক্রমপুরের রাজধানীতে থাকার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । o এই সকল তাম্রশাসনে বিজয়সেন “বিজয়ী এবং বল্লালসেন “সংগ্রামাবতার” বলিয়া কীৰ্ত্তিত। বল্লালই যে সেনরাজবংশের লরপতিবর্গের-মধ্যে গৌড়ে রাজধানীসংস্থাপনের পথপ্রদর্শক, গোড়ের ধ্বংসাবশেবের মধ্যে বল্লালবাড়ীনামক স্থান জাপি তাহার সাক্ষ্যদান করিতেছে। লক্ষ্মণসেনদেবের যে তাম্রশাসন মাখাইনগয়ে প্রাপ্ত হওয়া গিৰীছে, তাহাতে তিনি "গৌড়েশ্বর বলির