وادی فہ খৃষ্টাব্দ । নরপতির নাম । ' ')'t? লছমণিয়া । }'సెly বক্তিয়ারের বঙ্গবিজয় । এই তালিকা অনুসারেও লছমণিয়া লক্ষ্মণসেনের বহুপরবত্তী নরপতি বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছিলেন। মিনহাজ বলেন, লছমণিয়ার রাজ্যান্দের ৮০ অব্দে বক্তিয়ার বঙ্গদেশে উপনীত হন । মিথিলা প্রদেশে “লক্ষ্মণাব্দ” নামে এক অন্স প্রচলিত আছে । খৃষ্টীয় ১১১৯ সাল তাহার আরম্ভকাল । এই প্রমাণ অবলম্বনে বক্তিয়ারের বঙ্গদেশে আগমন ৮০ লক্ষ্মণাব্দে অসুমিত হইলে, কেহ কেহ বলিয়াছিলেন—লছমণিয়াই লক্ষ্মণসেন । ৮০ বৎসর রাজ্যভোগ করা সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না। লক্ষ্মণসেন পরিণতবয়সে সিংহাসনে আরোহণ করায়, তাহার ১১৯৮ খৃষ্টাব্দে জীবিত থাকা অসম্ভব হইয়া পড়ে। তদীয় রাজ্যাব্দের ৮০ সালে বক্তিয়ারের বঙ্গদেশে উপনীত হওয়া সত্য হইলেও, তৎকালে লক্ষ্মণসেনের জীবিত থাকা সাত্য বলিয়া গ্ৰহণ করা যায় না । কিন্তু এই অনুমানই ক্রমে ক্রমে বঙ্গসাহিত্যে ইতিহাস বলিয়া প্রচারিত হইয়াছে । এখন লক্ষ্মণসেনের পুত্র পর্য্যন্ত সেনরাজবংশের নৱপতিবর্গের নামাবলী বিবিধ তাম্রশাসনে আবিষ্কৃত হইয়াছে এবং লক্ষণসেনের পুত্র বিশ্বক্ষপের যবনসময়ে বিজয়ী প্রলয়কালরুজ ৰলিয়া পরিচিত থাকা ও প্রকাশিত হইয়াছে । ইহাতে লছমণিয়া যে প্রকৃত নাম নহে, তাহার প্রমাপ প্রাপ্ত হইবামাত্র, কেহ কেহ ঐ নাম সংশোধনের চেষ্টা করিয়া উহাকে লক্ষ্মণ্য-আখ্যা প্রদান করেন । লাক্ষ্মণ্য संछले व्_{ब्त्र । [ ৩য় বধ, অগ্রহায়ণ । নামও মনঃপুত বা ব্যাকরণসম্মত হইল না ; তখন লছমণিমা “লক্ষ্মণসেন” বলিয়াই অনুমিত হইলেন । এই অকুমান বিগত অৰ্দ্ধশতাব্দীর মধ্যে বঙ্গসাহিত্যে নানারূপ কবিকল্পনার প্রশ্রয়দান করিয়াছে। সৰ্ব্বাপেক্ষ আধুনিক কবিতা কবিবর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় মহাশয়ের লেখনীপ্রস্থত । পরিহাসরসিক দ্বিজেন্দ্রলালের রচনাকৌশল লক্ষ্মণসেনদেবকে সভ্যজগতে নিরবচ্ছিন্ন স্থণার পাত্র করিয়া তুলিয়াছে – “——-এই সেই নৰদ্বীপ, যেইখানে বীর আর্য্যকুলের প্রদীপ বঙ্গেশ লক্ষ্মণসেন, প্রবৃত্ত জাহারে, শুনি সপ্তদশ সেনা উপনীত স্বারে, অত্যন্ধুত-প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব-সহিত, পশ্চাদ্বার দিয়া, নৌকারূঢ়, পলারিত,— একেবারে না চাহিয়৷ দক্ষিণে ও বামে, একেবারে উপনীত বারাণসীধামে ।” কবিকুল নিরঙ্কুশ —স্বদেশের স্মরণীয় বীরচরিত্র বিকৃত করিবার সময়েও নিরঙ্কুশ । এতই নিরঙ্কুশ যে,—প্রাণভয়ে ভীত পলায়নপরায়ণ লক্ষ্মণসেন মুসলমানসেনার আক্রমণে দূরে পলায়ন না করিয়া, মুসলমানের নবাধিকৃত বারাণসীধামে গমন করায়, “ কাব্য যে কতখানি অসঙ্গত হইয়া উঠিল, তাহান্ন প্রতিও ক্ৰক্ষেপ নাই ! দ্বিজেন্দ্রলালের পূৰ্ব্বে নবীনচন্দ্র ও বঙ্কিমচঞ্জ ও লক্ষ্মণসেনকেই পলায়নের কলঙ্কে কলঙ্কিত করিয়া গিয়াছেন । কিন্তু নবীনচন্দ্র ইহা লইয়া পরিহাসপ্রবৃত্তি চরিত্তার্থ করেন নাই ; মৰ্ম্মবেদন প্রকাশ করিয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্র সে মৰ্ম্মবেদনার যথাসাধ্য উপশমসাধনাৰ্থ পশুপতি ৰিশ্বাসঘাতকতা কল্পনা
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।