অষ্টম সংখ্যা k ] প্ৰকামরূপাধিপতির আদেশে ঐ দেশের সৈন্ত ও প্রজাবৰ্গ দেবালয়-অবরোধার্থ তাহার চতুর্দিকে বাশের খুঁটিসমূহ প্রোথিত করিয়া প্রাচীরের স্থায় প্রস্তুত করিল । দেবালয়ে অবস্থান করিলে মৃত্যু নিশ্চিত দেখিয়া বখতিয়ার সসৈন্তে প্রাচীয়ের দিকে যুদ্ধার্থ ধাবিত এবং এক দিকে ভগ্ন করিয়া দেবালয় হইতে বহির্গত হইলেন । শত্রুসৈন্স নদীকূল পৰ্য্যন্ত তাহদের পশ্চাদ্ধাবন করিল। “মোসলমানসৈন্ত সঙ্কটাপন্ন অবস্থার নদীতীরে দণ্ডায়মান ছিল । তাহাদের কতক সৈদ্য তরবারির আঘাতে নিহত, কতক বা নদীজলে নিমগ্ন কইয়া প্রাণত্যাগ করিল। এই সময় হঠাৎ বখতিয়ারের একজন অশ্বা সার সত্যের আলোচনা ! శ్రీకృ রোহী নদীতে অবতরণ করিল। একটি বাণ নিক্ষিপ্ত হইলে যতদুর যায়, জলমধ্যে সে ততদূর হঁাটিয়া যাইতে পারিল । তদর্শনে সমস্ত সৈন্য জলে অবতরণ কয়িল । নদীর গর্ত কেবল বালুকাময় ছিল, বহুলোকের পদাঘাতে উহার বালুক রাশি ইতস্তত বিক্ষিপ্ত হইয়া জলের গভীরতা বদ্ধিত হওয়ায় বহুসৈন্য জলমগ্ন হইল। কেবল বখতিয়ার ও একসহস্ৰ অশ্বারোহী ( মতান্তরে ৩০০শত ) পরপারে উত্তীর্ণ হইলেন । হতাবশিষ্ট সঙ্গিগণ সহ বখতিয়ায় ভগ্নহৃদয়ে প্রত্যণবৰ্ত্তন করিলেন । গুরুতর অবসাদে তাহার জর ও কাশরোগ হইল । তিনি দেবকোটে উপনীত হইয়াই পঞ্চস্তু প্রাপ্ত হইলেন ।” সমাপ্ত । শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় । সার সত্যের আলোচনা । AeSTSYZYSMSAAAAAA AAASS ভালোচ্য বিষয় । বিগত প্রবন্ধের শেষভাগে একটি প্রশ্ন উঠিয়াছিল এই যে, কাতরভাবে পরমেশ্বরকে ডাকিবার সময় লোকে করজোড়ে উদ্ধে দৃষ্টিপাত করে, অথচ সৰ্ব্বসাধারণের ইছা ধ্রুব বিশ্বাস যে, পরমেশ্বর সর্বব্যাপী এবং সৰ্ব্বাস্তর্বামী ; ইহার ভাবখানা কি ? অামাদের দেশের শাস্ত্রে তো আছেই—“তৰিকোঃ পরমং পদং সদা পশুক্তি স্বয়য়ঃ দিবাৰ চক্ষরততমূ”—সেই বিষ্ণুর পরম স্থান সৰ্ব্বদ দেখেন স্থরিগণ ছালোকে যেন চক্ষু আতত” ; তা ছাড়া, অন্তান্ত দেশেও ঐ কথার প্রতিধ্বনি যত্র-তত্ৰ শুনিতে পাওয়া যায়—যেমন so taxis own—“Heart within and God o’erhead” I FSH Fțąe কি ? কারণ হ’চেচ এই – মনে কর, তোমার আত্মার সঙ্গে আমি বাক্যালাপ করিতে ইচ্ছা করিতেছি ; কোথায় আমি তোমার আত্মার সাক্ষাৎ পাইব ? তুমি হয় তো বলিৰে যে, “খাচার
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।