পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] অগাড় অচেতন ভূত-নিচয় ) শত-শত-ষোজন জায়গা জুড়িয়া পড়িয়া আছে যেন কুম্ভকর্ণের প্রপিতামহ ! - বলিতেছ কি ? রঙ্গৎ ব্রহ্মাণ্ডে ব্যবস্থ৷ নাই—ন তোমার চক্ষু নাই ? বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে যদি ব্যবস্থা না থাকিবে, তবে ক্ষদ্র ব্রহ্মাণ্ডে ব্যবস্থা আসিবে কোথা হইতে ? (১) পুপিবীর স্তর লজ্জ ; ( 2 ) বায়ুমণ্ডলের স্তর পশুক্র! : (৩) মন্ত্রভেদী পৰ্ব্বত , এবং পাতালস্পী সমুদ্রেয় পরস্পরের সঙ্গে পরস্পরের বোঝাপড়। —তুলার মুকুটের বাষ্পরূপা কাচামাল বায়ু-লোঝাই করিয়৷ পৰ্ব্বতসমীপে পাঠাইবেন সমুদ্র, আর, নান। দেশের লালাজাতীয় মুক্তিকাস্তরণ নদনদী-বোঝাক্ট করিয়া সমুদ্র সমীপে পাঠাইবেন পৰ্ব্বত, উভয়ত এইরূপ আমদানি-রপ্তানির বন্দোবস্ত ; ( ৪ ) বিম্পষ্ট আলোক লইয়া সুর্য উঠবেন দিবভাগে, নিদ্রারসাদ সুমধুর আলোক লইয়। চন্দ্রম। উঠিবেন রাত্রিকালে, এইরূপ রকমগুয়ারি অালোকের উদয়াস্তের” পলু।বিভাগ –বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডের এ - কি কম ব্যবস্থা ? বৃহৎ ব্রহ্মা গুর ইত,ণকার অনিবচনীয় মহা-মহ বাবস্থার কোনো একটা’র একচুল এদিক-ওদিক হউক্‌ দেখি—তংক্ষণাং ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডের আভ্যন্তরিক ব্যবস্থার বিপর্যায়দশী উপস্থিত হুইৰে । অতএব বাবস্তাপারিপাট্য ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডে ও যেমন, বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডে ও তেমনি ; অণুবীক্ষণের চক্ষে ও যেমন তাহ প্রকাশমান, দূরবীক্ষণের চক্ষে ও তেমনি তাহ প্রকাশমান । এখন কপী হচ্ছে এই যে, কে স্থাগে, কে পিছে ? কে নষ্ট,-কে ছোটো ? কে জাভা, কে গ্রহীতা ? 8 সার সত্যের ভালোচনা । శ్రీకళా কে কাহার থাইল্প। মানুষ ? এ কথার উত্তর স্পষ্টই পড়িয়া আছে ;–ধাস্তক্ষেত্রের মৃত্তিকাতেই মনুষ্যের শরীর গঠিত, সমুদ্রের নেীনতা জলেই সকুল্যের রক্ত রসারিত, সূর্য্যের আলোকেই মানুষ্যের চক্ষ আলোকিত ; মহুর্য্যের নিশ্বাস-প্রশ্বাস আকাশের বায়ুমণ্ডলেরই জোয়ার-ভাটা । ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাও পদার্থটা কি ? না, সেদিনকণর আমি বা তুমি বা তিনি । রঙ্গং ব্ৰহ্মাণ্ড কি ? না, ' যেখানে যত আমি বা তুমি বা তিনি আছেন বা ছিলেন বা থাকিবেন, সমস্ত লইয়া বৃহৎ এক ব্যাপার । ক্ষদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডে যাঙ্গ আছে, তাহা তো বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে আছেই ঃ তা ছাড়া, ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডে যাহা নাই, তাহাও বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডে আছে ; দশবৎসর পরে যে বালক ভূমিষ্ঠ হইবে, সেই অজগত-বালকও বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে আছে বালকরাপে না থাকুক্‌ --অার-কোনোরূপে আছে ) ; আর, একশত-বৎসর পূৰ্ব্বে ষে মহাত্মণরা বঙ্গদেশ উজ্জল করিয়াছিলেন, সেই স্বৰ্গীয় মহাত্মারা ও বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে আছেন ; কি বেশে এবং কি ভাবে আছেন, সে কথা স্বতন্ত্র । ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডে জ্ঞান, প্রাণ, মন প্রভৃতি যেখানে য ত-কিছু ব্যাপার আছে, সমস্তেরই আকরভূমি বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ড । অতএব এটা স্থির যে, বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ড বড়, ক্ষুদ্র ব্রহ্মাও ছোটো " বৃহৎ ব্রহ্মগু দাতা, ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ড গ্রহীতা ; বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ড চিরযৌবনসম্পন্ন কত-কালের বৃদ্ধ প্রপিতামহ তাহ বলা যায় না, ক্ষুদ্র ব্রহ্মাওগুলি সেদিনকার অভিনব বালক, তাহার মধ্যে অনেকে অকালবৃদ্ধ । দুই পক্ষের নাম তুমি যাহাই দেও না কেন—সমষ্টি-ব্যষ্টি নামই দেও, বড়-ছোটাে