সজ্ঞালে দেখি, কেবল তাছায়ই ছবির ৰে পুনরাবির্ভাব হয়, তাছা নছে । অজ্ঞাতসারে ও জঙ্গমনে দৃষ্ট পদার্থের ছবির পুনরাবির্ভাবও बन्नबशालब्र पञाबिकाब्र कब्रिब्रांरक्कन । मृष्टिতত্ত্বেরশবেষণাকালীন ইনি একদিন একটি জানালায় প্রতি দৃষ্টি আৰদ্ধ রাখিয় তাহার ছৰির পুনরাবির্ভাব পরীক্ষা করিতেছিলেন। ছৰি যথারীতি কয়েকবার আবিভূত হইয়াছিল ; কিন্তু পুনঃপুন পরীক্ষণয় অক্ষিপর্দা অবসঙ্গ হইয় পড়ায় শেষে বহুক্ষণ মুদ্রিতলেঞ্জে থাকিয়াও আর জানালার ছবি দেখিতে পান নাই, এবং তৎপরিবর্তে চক্ষুর এক প্রাস্ত হইত্তে একটি ক্ষুদ্র গবাক্ষের ক্ষম্পই ছবি জাৰিভূত হইয়া পড়িয়াছিল। অধ্যাপক ৰঙ্গ সেই গৰাক্ষটির প্রতি পূৰ্ব্বে স্বেচ্ছায় দৃষ্টিপাত করেন নাই এবং ইতঃপূৰ্ব্বে সেটির অস্তিত্ব পর্য্যস্ত জানিতেন না । বলা বাহুল্য, ৰজমহাশয় সেই পূর্কের জানালাটি দেখিতে গিয়া, নিশ্চয়ই গবাক্ষটিকেও অজ্ঞাতসারে দেখিয়া-ফেলিয়াছিলেন এবং তাঁহাতেই শেষে সেই অজ্ঞানদৃষ্ট পদার্থ ছবিম্বারা আত্মপরিচয় প্রদান করিয়াছিল । স্থস্থ মানুষের বিভীষিক্ষাদর্শনের সন্তোষজনক ব্যাখ্য' শারীরৰিস্তায় পাওয়া যায় না । পুৰ্ব্ববণিত ব্যাপীশ্নের সহিত বিভীষিকাঙ্গশনের একটা নিকট লম্বন্ধ আছে বলিয়া বস্থমহাশয় অনুমান করিতেছেন । - কোন উজ্জ্বল পদার্থে কিয়ৎকাল দৃষ্টিপাত করিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিলে, দৃষ্ট বস্তুর ছবির ষে জাৰিগৰ-তিরোভাৰ হয়, তাহ বিশেষ নাই । [ ওর স্বৰ, জঞ্জৰায়ণ । করিয়া পরীক্ষা করিলে, দর্শক প্রত্যেক পুনরাবির্ভাবের সহিত ছবিটিকে ক্রমেই মানতর হইতে দেখিবেন এবং অবশেষে সেটি এত অস্পষ্ট হইয়া পড়িৰে যে, তখন ছবি দেখা যাইতেছে, কি পূৰ্ব্বদৃষ্ট পদার্থের স্থতি মনে জাগিতেছে, তাহ নিঃসংশয়ে ঠিক করা যাইবে না । অধ্যাপক ৰক্ষমহাশয় এই ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিয়া বলিতেছেন,~—ইত্রিয়ের এই পরান্দোলনজাত সাড়ায় সহিত সম্ভবত স্থতির সাড়ার কোন পার্থক্য নাই । দৃষ্টপদার্থের ছবির পুনরাবির্ভাব ও বিলোপের দ্যায়, স্মৃতিরও তদনুরূপ আবির্ভাব ও লোপ দেখা গিয়া থাকে, মুতরাং উভয়েই একই শ্রেণীর প্রাকৃতিক ঘটনা । অধ্যাপক বস্থমহাশয় কেবল আৰিষ্কার করিয়া ক্ষাত্ত হন নাই । তাহার প্রত্যেক আবিষ্কারের সহিত যে শত শত ব্যাপার জড়িত রহিয়াছে, তাহণদেরও আভাস দিয়াছেন। সেই সকল আভাসের প্রত্যেকটির আলোচনা ও অনুসন্ধান একএকজন বৈজ্ঞানিকের জীবনব্রত হইলেও, অনুমিত ব্যাপারগুলির মীমাংসা হয় কি না, সন্দেহ । শত অবাস্তর কাৰ্য্য ও বাধাবিয়ের মধ্যে ধ্যানমগ্ন খুনির মত তিনি আজও গবেষণানিরত রহিয়াছেন। একক অধ্যাপক বহুমহাশয়ের নিকট হইতে জড় বিজ্ঞান যাহা পাইয়াছে, তাহ অমুল্য এবং আমাদের সেই নবীন বৈজ্ঞানিকের নিকট হইতে ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ৰে স্কারো অনেক অমুল্যরত্ন সংগ্ৰহ কৱিৰে, কাছার সন্দেহ - এাগদানন্দ রায়।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।