পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\:్స:R शत्रज्ञथ्वॆन r - [ ৩য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । পড়িয়া সহসা মানুষের আভ্যন্তরীণ মহাশক্তি জাগিয়া উঠে ও তাহাকে দেব শ্ৰীমণ্ডিত করিয়া "জগতে প্রচার করে,—সেই স্থলে ভগবানের অক্ষুকম্প দৃষ্ট হইয়া থাকে । বে জাতি পাপের মোহে অন্ধ হইয়া যায়, আর জাগ্রত হয় না,—পাপ তাহাকে ধ্বংস করে ; সে জাতি কখনই আশা করিতে পারে না যে, তাছাদের কষ্ট ভগবদদয়ার উদ্রেক করিবে । শাস্ত্রে লিখিত আছে, এদেশে কষ্কির অবতার হইবে, তিনি স্লেচ্ছাধিকার দূর করিয়া সাধুর পরিত্রাণ করিবেন। মুর্শিদাবাদকাহিনীর লেখক নিখিলবাবু একটি প্রবন্ধে লিখিয়াছিলেন, যদি ম্লেচ্ছবিনাশকল্পে ভগবানের আসা সম্ভবপর হয়, তাহাতে আমাদের আশ্বাসিত হইবার কোন কারণ নাই—সে স্লেচ্ছ আমরা । বাস্তবিকই সৎপথভ্রষ্ট, আচারবর্জিত, কৰ্ত্তব্যে পরাস্ফুখ, ভীরু ও বিলাসী কাপুরুষ আমাদের অপেক্ষা ম্লেচ্ছ আর বর্তমান জগতে কে আছে ? শাস্ত্রের শ্লোক হিন্দুজাতির প্রতি পক্ষপাতী নহে—“উহার অর্থ সনাতন ও ব্যাপক, সমস্ত জীবজগৎকে লক্ষ্য করে । তাছাই যদি হয়, তবে অশ্বারাঢ় কঙ্কিমূৰ্ত্তি আমাদের আশ্বাসপ্রদ নহে, উহার কল্পনায় আমাদের আত্মাপুরুষের আতঙ্কিত হইয়া উঠিবার কথা । কিন্তু ষে জাতি অন্যায় সহিয়া, বিবিধ ছুক্ষৰ্ম্মের স্রোতে ক্ষণিক আত্মহারা হইয়া পুনরায় জাগ্রত হয়—আমুতাপাগ্নি জালিয়া পূর্বকৃত সমস্ত ছফৰ্ম্মের জঞ্জাল ভস্মীভূত করিয়া নবশক্তিলাভের পুনরারাধনায় রত হয়,—তাহাঙ্গের মধ্যে ঐশশক্তিবিকাশের সম্ভাবনা দাড়ায় । সমস্তজাতির তপশ্চরণে যে জ্যোতির উদগম হয়—অবতারের ললাটে তাহাই বিচ্ছুরিত হইয়া উঠে। - সে । জাতি যত ক্ষুদ্র, যত তুচ্ছ হউক না কেন, ভগবানের কৃপাভাজন হইতে তাহার কিছুমাত্র বিলম্ব হয় না । শাস্ত্রে দেখিতে পাই, তিনি কুৰ্ম্ম, বরাহ প্রভৃতি রূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন-যে জাক্তির যেরূপ অভাব, তাহাই মোচন করিবার উপযোগী স্থব্যবস্থা করিতে র্তাহার কিছুমাত্র ইতস্তত হয় না, এতদৰ্থে মনুষ্য ও কুৰ্ম্মমূৰ্ত্তি র্তাহার নিকট তুল্যরূপে গ্রাহ। . . কিন্তু অবতার যে আকারেই উপস্থিত হউন না কেন, তিনি সমাজের একজন হইয়াও সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন থাকেন । কুৰ্ম্ম, বরাহ প্রভৃতি রূপ গ্রহণে তাহার কোন আপত্তি না থাকিতে পারে, কিন্তু স্বর্গের আলোক র্তাহার লখর বা শৃঙ্গ হইতে ফলিয়া উঠে ও তাহণকে চিনিতে বিলম্ব হয় না । প্রাচীন সংস্কার যখন সমাজে বদ্ধমুল হইয়। যায়, প্রাচীন পাপ যখন ধৰ্ম্মবেদি আশ্রয় করিয়া অথবা শাস্ত্রবচনে পুষ্ট হইয়া সমাজের মূৰ্দ্ধায় অভিষিক্ত হয়—যখন সমাজদেহের যেখানে বিষ, সেখানে বেদনাবোধ লুপ্ত হয় -- তখন সেই পুরুষবর একহস্তে চৈতন্তের আলোকবৰ্ত্তিকা, অপর কুস্তে প্রাণসঞ্জীবন মহৌষধ লইয়া উপস্থিত হন, তাহার বাহরূপ সমাজের উপযোগী হয়, কিন্তু তাছার অভ্যস্তরের বিগ্রহ মানবসমাজের চিরন্তন স্বৰ্গকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া যায় । এই হিসাৰে নরসিংহ ও কুৰ্ম্ম রূপের সঙ্গে যুদ্ধান্বতারের কোন পার্থক্য দেখিতে পাওয়া যায় না । একজন অবিশ্বাসীর মুও নখরে ছেদন করিয়ী