পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - * একৃৱিল নারীজাতির দ্বারা যে উপবাগ, সেবা e পরার্থ আত্মসমর্পণের চর্চা করাইয়া ফাইস্কাছ, পুনরায় নিজের সেই সকল বৃক্তির ক্ষয়শীললে প্রবৃত্ত হও । সত্যের সহিত সহমরণে প্রস্তুত হও, নিবৃত্তির পবিত্র স্বজ্ঞায়িতে ঋণলব্ধ বিলাসিতার সামগ্রীগুলি পোড়াইয়া ফেল । এই তপস্ত। পুর্ণ হইলে জিৰুক্তির মহাক্ষেত্রে মহাপিবৃত্তিপরায়ণ আবিভূত হইতে পারেন । তাহার শুভ্ৰ-স্বমধুর হস্তচ্ছটা চন্দ্রকরলেখার দ্যায় উত্তপ্ত ধরাবক্ষকে শাভিমন্ত্র করিয়া তুলিবে,—সমস্ত বিদ্রোহ তাহার সাম্য-শাস্তি-পরিঘোষক মেঘছন্দুভিस्रांझे कéष८ब्र नमिङ श्ब्रा बाइं८ब,-ऊथन গুরুগৃহ বা দেবগৃহের যে সন্মান, তাহাই প্রদাণ করিম। জগদবাসী হিন্দুস্থানকে রক্ষা কল্পিৰে । আমরা ভপশ্চরণ না করিলে তিনি জাসিবেন না,--বিদেশীঘ্নগণের উন্মুক্তৃত ও বিলাসিতায় যোগদান করিলে স্বামীদের ধ্বংস অবধারিত ; কারণ যৌবন বাহ! সহিতেছে বা করিতেছে—বাদ্ধক্যে স্থতাহ সহিবে না । তাহী হইলে কল্কি আমাদেয় মত মেচ্ছের উচ্ছেদের জন্যই আবিভূত হুইবেল । নরসিংহাবতার মোমাদের সমাজে হইয়া গিয়াছে, সেই অৰ্দ্ধপশু অৰ্দ্ধলক্ষাকৃতি দেবতা আর আমাদেয় সমাজের উপযোগী নহে । যে স্থান দম্ভ, অহঙ্কার ও অধিশ্বাসের ক্রাড়াক্ষেত্র, সেই স্থানে নরসিংহমুপ্তির আবির্ভাব হইতে পারে,--অথবা যুরোপে নেপোলিয়ানমূৰ্ত্তিতে তাহ হইয়াও গিয়াছে। মাময়৷ ৰুদ্ধচৈতঙ্কের পরম কৃপা পাইয়াছি ; জামাদের এখালে খিনি আসিবেন, তিনি সম্পূর্ণ দেৰভাৰ লইৰ আসিবেন--অন্ত কোন

  • * [ ৩য় বর্ষ, রঞ্জহাঙ্গwo हल्लं★*

মুক্তি আমাদের উপাস্ত হইবে মা জিনি শুভ্র প্রতিপুষ্পের মাল্য পরিয়া আলিবেন, তিমি বিবিধকারুকার্য্যখচিত উজ্জলরাগরঞ্জিত বিচিত্র অশ্বরে সংবৃত হইয়া জুলাইবেন না, তিনি আমাদের কেীপীনবাসেরই মহিমা ঘোষিত করিয়া বিলাসী জগৎকে পুণ্যদীপ্ত দৈন্তের অলঙ্কার পরাইয়া দিবেন; তিনি শক্রদমনের জন্ত অসিচৰ্ম্ম বা বন্দুক লইয়া আসিবেন না,—জ্ঞানের তৃতীরচক্ষু লইয়া আসিবেন,— জগতের মোহবন্ধন তাহার ইঙ্গিতে টুটিয়া যাইবে । এইরূপ মহাশিক্ষকের আবির্তাব সঙ্কল্প করিয়া জাতীয়ব্রত অবলম্বনপূর্বক আমাদের প্রতীক্ষা করা উচিত । আমরা কুশিক্ষা ও উচ্ছৃঙ্খলতার তাপে মান হইয়া পড়িলেও আমাদের শোণিতে যে সাত্ত্বিকতা সঞ্চিত আছে, জগতের কোন জাতির তাহা নাই, তাহারই বিকাশ করিবার সময় হইস্নাছে । রক্ষসের বদনব্যাদান দেখিয়া, আমাদের দস্তরুচিবিকাশের - চেষ্ট। হস্তিকর ও অসার । “জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য”— মৃত্যুকে ভয় না করিয়া, জীবনের অণকাজক্ষ ছাড়িয়া, জগতের হিতব্ৰত পরিগ্রহ করিয়া আমাদের ভাবা অবতারকে আবাহন করিয়া আনিতে হইবে । যখন ভীষণ বিৰেৰে নিপীড়িতু মানবজাতি ‘পরিত্রাহি’ বলিয়া চীৎকার করিবে, তুষারশুভ্র অবিচলিত মুৰ্ত্তিতে তখন শ্বেতচন্দনছাতি-দীপ্ত হইয়া, তুমি ব্রাহ্মণ, আর একবার জগতে শান্তির শুভ আদেশ প্রচার করিয়া যাইও । যে ভারতবর্ষ শাস্তির লক্ষ্যে এত কৃচ্ছ, এত তপশ্চরণ করিল, সেই ভারতবর্ষ হইতে_ যদি জগতে শাস্তি প্রচারিত না হয়, তবে জাহ জার কোন স্থান হইজে হইবে ? ..