বঙ্গদর্শন। নৌকাডুবি |
- సా5 ...--
S్చరి রাত্রি নয়টার সময় রমেশ কমলাকে লইয়। শেয়ালদহ-ষ্টেশনে যা ত্ৰা করিল । যাইবার সময় একটু ঘুরপথ দিয়া গেল। গাড়োয়ানকে অনাবশুক গোটাকতক গলি ঘুরাইয়। লইল । কলুটোলায় একটা বাড়ীর কাছে আসিয়া আওহসহকারে মুথ বাড়াইয়া দেখিল । পরিচিত বাড়ীর ত কোন পরিবৰ্ত্তন হয় নাই ! মেশ এমন কত রাত্রে এই গলিতে পায়চারি করিয়া বেড়াইয়াছে— স্তব্ধরাত্রে বাড়ীর একটি চেহারা দিনের বেলার চেয়ে আরো যেন ফুটিল্প৷ উঠিত –গলি যখন জনশূন্ত এবং নিঃশব্দ, তখন এই বাড়ীর বুকের ভিতরকার একটি মহামূল্য রহস্ত অন্ধকারের মধ্যে যেন বাহির হইয়া আসিত, --রাত্রে বাড়ীর স্বল্পশরীর যেন ইটকাঠের মধ্য হইতে মুক্ত হইয়া ভিত্তিচ্ছায়ায় স্তন্ধ হইয়া দাড়াইয়া থাকিত । বহতর গভীর রাত্রের সেই নিবিড় ভাবাবেগ তাছার চিত্তের মধ্যে পুঞ্জীভূত হইয়া উঠিল । পলকের মধ্যে এই বাড়ীর দীপালোক ও অন্ধকার, রুদ্ধার ও মুক্ত নাতদিন, ৰাৱান্দার পুস্তত্বা ও শাদা দেয়ালের শুভ্রচ্ছট। রমেশের ব্যও দৃষ্টির উপর দিল্প চলিয়া গেল । যদি আজ না হইয়। গতকল্য হইত, তবে অনায়াসে রমেশ গাড়োয়ানকে ডাকিয়া বলিত, “রোখে, রোথো !" এই দ্বারের সম্মুখে লাফাইয়া পড়িয়া সবেগে ঐ বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিত এবং কথা ও দৃষ্টির দ্বারা সকলের কাছ হইতে বিদায় লইয়া আসিতে পারিত। প্রবেশদ্বার আজও খোলা রছিয়াছে, কিন্তু প্রবেশ করিবার পথ নাই। এই দরজা দিয়া রমেশ এই বাড়ীতে আর কখনো প্রবেশ করিতে পারিবে কি না, তাহাই ভাবিতে লাগিল । গাড়ি চলিয়া গেল— রমেশের হৃদয়ের একান্ত আগ্রহ এই দরজার কাছে গাড়ির গতিকে লেশমাত্র বাধা দিল ন!—গাড়ি অপক্ষপাত দ্রুততার সহিত গলির সব বাড়ীকেই অতিক্রম করিয়া বড়রাস্তায় । গিয়া পৌছিল । * রমেশ এমন একটা গভীর দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিল যে, নিদ্রাবিষ্ট কমলা চকিত হইয়া উঠিল । জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার কি হইয়াছে ?” রমেশ উত্তর করিল—“কিছুষ্ট না।” জার