পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যt. ] শ্ৰমণ । 8ృ\రి ধাতু হইতে শ্রমণশব্দের উৎপত্তি । ইহা কত পুরাতন, তাহ নির্ণয় করিবার উপায় নাই। শাক্যসিংহের আবির্ভাবের পুর্ব হইতেই যে এই শব্দ ভারতীয় পুরাতন সাহিত্যে সুপরিচিত ছিল, তাহার নানা নিদশন প্রাপ্ত হ ওয়া যায় । সনা, উপাসক, ভিক্ষু প্রভৃতি পুরাতন শব্দের হ্যায় শ্রমণশব্দ ও প্রচলিত সাহিত্য হইতেই গ্রহণ করিয়াছিলেন । উত্তরকালে বৌদ্ধসন্ন্যাসিগণ শ্রমণ-উপাধি গ্রহণ করিয়া সৰ্ব্ব ত্র সুপরিচিত ইহবার পর, এহু পুরাতন শব্দ সাধারণত বৌদ্ধসন্ন্যাসিবি জ্ঞাপক সঙ্কীণ অথে ব্যবহৃত হওয়ায়, পুরাতন অর্থ কালে অপরিচিত হইয়া উঠিয়াছে । শ্রমণশকের বুৎপত্তি ও ইতিহাসের সম্যক্ আলোচন। না করিয়া, কোন কোন ইউরোপায় অধ্যাপক হহুলকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিবিজ্ঞাপক অভিনব সংজ্ঞান ত্র মনে কfরয়া থাকেন । পুরাতন সংস্কৃতসাহিত্যের কোন ও গ্রস্থে “ শ্রমণ"শব্দের সন্ধান পাহ বা মাত্র এই শ্রেণীর অধ্যাপক গণ তাহাকে বৌদ্ধযুগের গ্রন্থ ব’লয়। অবণালীক্রমে অভিমত ব্যক্ত করেন । তাহদের বিশেষ অপরাধ নাহি । আমাদের দেশে এ উ গুর কালের অনেক টাকাকার ও “ শ্রমণ"শব্দে বৌদ্ধসন্ন্যাসাকে স্বচিত করিয়৷ গিয়াছেন । কিন্তু তখন ও পুরাতন অথ একেবারে বিলুপ্ত না হওয়ায়, প্রসঙ্গ ক্রমে তাহা ও উল্লিখিত হইয়াছে । রামানুজকত রামায়ণের প্রসিদ্ধ টীকায় ইহার একটি প্রথমে বৌদ্ধগণ উপা “ব্রাহ্মণ ভুঞ্জতে নিত্যং নাথবন্তশ্চ ভুঞ্জতে । তাপস ভুঞ্জতে চাপি শ্রমণশ্চৈব ভুঞ্জতে ॥” ২।১৪।১২। অযোধ্যাকাণ্ডের এই সরল শ্লোকের “শ্রমণ”শব্দের ব্যাখ্যায় রামানুজ. প্রথমে “শ্রমণ। বৌদ্ধসন্ন্যাসিনঃ” লিখিয়া, পরে প্রসঙ্গক্রমে লিখিয়াছেন—“যদ্বা শ্রমণপদং সন্ন্যাস্থ্যপলক্ষণম্।।” এরূপ ব্যাখ্যা দর্শন করিয়া কেহ কেহ এই শ্লোক অবলম্বনে রামায়ণকে বৌদ্ধযুগের গ্রন্থ বলিয়। প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন । বাহুল্য, এই শ্লোকের “শ্রমণ”শবদ বৌদ্ধসন্ন্যাসিবাচক বলিয়। গৃহীত হইলে, শ্লে কোথ নিতান্ত অসঙ্গত হয় । শ্রমণগণের পক্ষে বৈদিক ধৰ্ম্মণকুরক্ত দশরথ রাজার অশ্বমেধযজ্ঞে আহত বা অনাহূত অতিথিরূপে ভোজনব্যাপারে নিযুক্ত হওয়৷ অসম্ভব । জবিবলি যে যজ্ঞের প্রধান অঙ্গ, তাহাতে প্রতিদিন প্রকাশু রূপে শ্রমণগণের কদাচ ভো জনাথ সমাগত হইবার সম্ভাবনা ছিল না . রামায়ণের নানা শ্লোকের ব্যাখ্যায় রামানুজ আধুনিক যুগের সংস্কার লইয়। প্রাচীন সাহিত্যের টীকা রচনা করিতে গিয়৷ নানা প্রকণর অসঙ্গতির অবতারণা করিয়া গিয়াছেন । রামায়ণোক্ত “শ্রমণ”শব্দ যে বৌদ্ধসন্ন্যাসিবিজ্ঞাপক নুতন শব্দ নহে, রামায়ণেই তাহার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । yo “যদ্ব। শ্রমণপদং সন্ন্যাস্থ্যপলক্ষণম ।” ইহাতেই বুঝা যায়, সন্ন্যাসিমাত্রের পক্ষেই বলে । উল্লেখযোগ্য উদাহরণ দেখিতে পাওয়া “শ্রমণ"শব্দ প্রযুক্ত হইতে পারা রামানুজের पोग्न । সময়েও অপরিজ্ঞাত ছিল না । সন্ন্যাসীর দ্যায় - 孪 શ્રેજ માત્રાઝિક "ভাৰাবৃত্তাপবিধুষ্ঠি: - T -- - - - - - -------- - - - vL