S>ぐ。 সমাসে “কুমারপ্রমণা” রূপ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। এই স্বত্র একটি পুরাতন ঐতিহাসিক তথ্যের আধার । ইহাতে একদা ভারতবর্ষে চিরকুমারী সন্ন্যাসিনী বর্তমান থাকিবার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । যে দেশে উত্তরকালে পুরুষমাত্রেই উখাহশৃঙ্খলে আবদ্ধ হইয়া নানা ছঃখক্লেশ বহন কয়া অবশুপ্রতিপাল্য ধৰ্ম্মান্থশাসন বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে, যে দেশের ধৰ্ম্মশাস্ত্র সকল স্ত্রীলোকের পক্ষেই বাল্যে পিতা, যৌবনে পতি, বাৰ্দ্ধক্যে পুত্রের রক্ষণবেক্ষণে বসতি করিবার ব্যবস্থা করিয়া, "কাহাকে ও কদাপি স্বাতন্ত্র্য-অবলম্বনের প্রশ্রয় দান করে নাই, সে দেশে যে শুকুহময়ে চিরকুমারী সন্ন্যাসিনীগণ স্বতন্ত্রভাবে আমরণ ধৰ্ম্মাচরণ করিতেন, তাহা নিতাস্ত বিস্ময়ের ব্যাপার বলিয়াই প্রতিভাত হইতে পারে । কিন্তু ভারতবর্ষের পুরাতন ইতিহাস বিলুপ্ত হইলেও, এ বিষয়ের নানা প্রমাণ অদ্যাপি প্রাপ্ত হওয়া যায় । ঐ সকল প্রমাণ নিতাস্ত প্রচ্ছন্নভাবে অপার শাস্ত্রসমুদ্রের অভলগর্ভে ইতস্তত লুক্কায়িত থাকায়, ভারতরমণীর অবস্থাপর্য্যালোচনায় ইউরোপীয় মহিলামওলী তাহাদিগকে কারানিবাসিনী হতভাগিনী বলিয়া কত-না সমবেদন প্রকাশ করিয়া থাকেন । এ কালের কথা বলিতেছি . না –সেকালের সাহিত্যে, সেকালের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে, সেকালের লোকব্যবহারে, ভারতরমণী স্বকীয় চরিত্রগৌরবে দেবীপদবাচ্যা হইয়া, ভারতবর্ষে জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম বিস্তারের প্রভূত সহায়তাসাধন করিয়াছিলেন । 事 参挣姆8酶 বঙ্গদর্শন। [ ৩য় বর্ষ, পৌষ । ংসারাশ্রম সৰ্ব্বাশ্রমের সার বলিয়া পরিগণিত হইলেও, অবস্থাভেদে সংসারাশ্রম গ্রহণ না করিয়া, স্ত্রীপুরুষ উভয়ের পক্ষেই চিরব্রহ্মচর্য্য অবলম্বন করিবার ব্যবস্থা ছিল । বৌদ্ধযুগ প্রবর্তিত হইবার বহুপুৰ্ব্ব হইতে এই অধিকার পরিচালিত হইত । রমণীমাত্রেই সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করিতেন না । সাধারণত পুরুষের দ্যায় রমণীগণ ও উদ্বাহবন্ধনে আবদ্ধ হইয়া লোকযাত্র নির্বাহ করিতেন ; কিন্তু স্থলবিশেযে পুরুষের দ্যায় রমণীগণও চিরব্ৰহ্মচর্য অবলম্বন করিয়। ব্রহ্মবিদ্যার অমুশীলন করিতেন । এই শ্রেণীর তাপসীগণ গুরুগৃছে বেদাদি বিবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া তাহার মধ্যাপনাকার্য্যে ও নিযুক্ত হইতেন, তাহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যার । “নির্ণয়সিন্ধু”নামক স্মার্কগ্রন্থে পুরাকালে এইরূপ ব্যবহার প্রচলিত থাকার পরিচয় প্রকাশিত রহিয়াছে । পাণিলিস্বত্রে ও * অধ্যাপিকার কথা উল্লিখিত হইয়াছে । নাট্যসাহিত্যের নানাস্থানে স্ত্রীলোকের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার প্রসঙ্গ অদ্যাপি দেদীপ্যমান + সন্ন্যাসধৰ্ম্মের মর্য্যাদা রক্ষণ করা কঠিন হইলেও, ভারতরমণী সে কঠিন ব্ৰতপালনের জন্ত আত্মোৎসর্গ করিয়া পুরাকালে নান। কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া খ্রিয়াছেন । আজ তাহাদের নাম, তাহীদের কীৰ্ত্তিকলাপ বিস্মৃতিনিমগ্ন বলিয়া ভারতরমণীগণ সমবেদনার পাত্ৰী ! তথাপি ভগবতী ভারতরমণী নিয়ত দেবীপদবাচ্য পুজনীয় তপস্বিনী । 爱 ভারতবর্ষের বৌদ্ধভিক্ষুর ছায় বেশ ীি মালম্ভীমাৰৰ ও উত্তররামচরিত. i
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।