سbھ 8 “মৃগদাব”নামক ঋষিপত্তনে বাস করিতে আরম্ভ করেন । শাক্যসিংহ বুদ্ধত্বলাভ করিয়া মৃগদাবে উপনীত হইলে, এই পঞ্চশিষ্যই প্রথমে তাহার নিকট নবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া প্রচারব্রত গ্রহণ করেন । , ইহার শ্রমণপদবীতে আরোহণ করিয়া কোন কোন স্থানে প্রচারকার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, তাহার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় না । কিন্তু বৌদ্ধসাহিত্যে ইহার প্রথম শ্রমণ বলিয়া চিরসন্মান প্রাপ্ত হইয়াছেন । ইহাদের পর বহুলোকে প্রচারব্রত গ্ৰহণ করিয়া শাক্যংহের জীবিতকালেই ধৰ্ম্মপ্রচারে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু তখনও ভারতবর্ষই শ্রমণগণের একমাত্র প্রধান প্রচারক্ষেত্র বলিয়া পরিচিত ছিল। গান্ধারে ও কাশ্মীরে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচলিত হইবার পর হইতে, তাহা ভারতবর্ষের বাহিরে প্রধাবিত হইবার স্বত্রপাত হয় । তাহার পর ভারতবর্ষের শিক্ষা ও সভ্যতা, ধৰ্ম্ম ও সদাচার, শিল্প ও সাহিত্য ভূমধ্যসাগরতার হইতে প্রশস্তমহাসাগর পৰ্য্যস্ত-জলে-স্থলে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। অনেক স্থান এক্ষণে সে শিক্ষা ও সে ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেও, অদ্যাপি ভূমণ্ডলের অধিকাংশ নরনারী ভারতবর্ষকে গুরুস্থান বলিয়। উদেশে নমস্কার করিয়া থাকে। র্যাহারা নিয়ত আত্মবিসর্জন করিয়া স্বদেশের নাম এইরূপে ভূমণ্ডলে জয়যুক্ত করিয়া গিয়াছেন, তাছাদের কীৰ্ত্তিকাহিনী স্বর্ণক্ষরে লিপিবদ্ধ হইবার যোগ্য। ভারতবর্ষের কবি যেদিন সে পুণ্যগাথা গান করিবেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসলেখক যেদিন সে অপূৰ্ব্ব আত্মত্যাগকাহিনী কীৰ্ত্তন করিবেন, সেদিন ভারতবর্ষের बछणानि । [ ৩য় বর্ষ, পৌৰ । সাহিত্য নবজীবন প্রাপ্ত হইয়া পাঠকসমাজকে আত্মমৰ্য্যাদার অমৃতগৌরবে গৌরবান্বিত করিবে ! শাক্যসিংহ কৌণ্ডিভাদি পঞ্চ ভদ্রবগীয় শিষ্যগণকে নবধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবার পর বারাণসীধামে আরও ৫৫জন তাহার নিকট মন্ত্রগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে যশঃ, পূর্ণ, বিমল, গবাম্পতি এবং স্ববাহুর নাম বৌদ্ধসাহিত্যে স্বপরিচিত। এই পঞ্চ যুবক যৌবনোচিত অলীক আমোদ প্রমোদে কালাতিপাত করিতেন ;—অর্থের অভাব ছিল মা ; প্রবল প্রতাপের অবধি ছিল না ; তরুণজীবনে ভোগমুখ বিসর্জন করিয়া ভিক্ষণপাত্রগ্রহণের সম্ভাবন ছিল ল। । তাহীদের সন্ন্যাসগ্রহণের ও চরিত্রসংশোধনের দৃষ্টাস্তে বারাণসীর সংকুলজাত সম্রাস্ত যুবকগণের মধ্যে আরও পঞ্চাশত শিষ্য মন্ত্রগ্রহণ করেন । শাক্যসিংহ এই ষষ্টিসংখ্যক মন্ত্রশিষ্যগণকে ত্রিশ দলে বিভক্ত করিয়া দুই দুই জনকে এক এক দিকে ধৰ্ম্মপ্রচারে প্রেরণ করিয়। স্বয়ং উরুবিম্বাভিমুখে প্রস্থিত হন। - তৎকালে উরুবিব-কাণ্ডপ, নদী-কাশ্যপ ও গয়া-কাণ্ডপ নামে তিন ভ্রাতা নৈরুঞ্জনানদীতীরে বহুসংখ্যক শিষ্য সহ সন্ন্যাসধৰ্ম্ম পালন করিতেন । তাহারা শাক্যসিংহের নবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । এই উরুবিশ্ব-কাশ্যপ বৌদ্ধসাহিত্যে মহাকাশুপ নামে পরিচিত । শাক্যসিংহ মহাপরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করিলে, মহাকাশুপই বৌদ্ধশ্রমণগণের নেতৃত্বপদ প্রাপ্ত হন । তৎকালে জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, চরিত্রবল ও বয়োবাৰ্দ্ধক্যে তিনিই মহাস্থবিরপদের একমাত্র ধোগ্যব্যক্তি ৰলিয়া পরিচিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।