পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৰম সংখ্যা । ] শ্রমণ । 8શેઠે পশুচর্মের পরিবর্তে স্থচিঙ্কণ পট্টবস্ত্র তিব্বত- . বালীর পরিচ্ছদশোভা বৰ্দ্ধিত করিয়া বাণিজ্যবিস্তারে ধনবৃদ্ধির পস্থা প্রদর্শন করে । ভারতবর্ষ হইতে কুমার-নামধেয় শ্রমণ, নেপাল হইতে মজুত্র, কাশ্মীর হইতে তবুত ও গণুত এবং চীনদেশ হইতে মহাদেব আসিয়া এই সময়ে তিব্বতের শিক্ষাকার্য্যে উৎসাহদান করেন । । - খৃষ্টীয় অষ্টমশতাব্দীর প্রারম্ভে তিববতে বৌদ্ধধর্শের অধিকতর সমুন্নতি সাধিত হইয়াছিল । খোটান হইতে শ্রমণগণ আসিয়া তিব্বতে ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, ভারতবর্ষ হইতে বুদ্ধগুহ ও বুদ্ধশাস্তি নামধেয় অধ্যাপক দ্বয় তিব্বতে আমন্ত্রিত হইয়া গ্রন্থাকুবাদে নিযুক্ত হন এবং চীনসাম্রাজ্য হইতে নানা গ্রন্থ তিব্বতে আনীত হইয় অনুবাদিত হইতে আরম্ভ করে । এই শতাব্দীতে শাত্মরক্ষিত, পদ্মসম্ভব, আনন্দ ও কমলশীল প্রভৃতি ভারতীয় বৌদ্ধশ্রমণগণের তিববতে ধৰ্ম্মপ্রচারে নিযুক্ত থাকিবার বিবরণ তিববতীয় বৌদ্ধসাহিত্যে প্রাপ্ত হওয়া যায়। কাশ্মীর হইতে পশ্চিমাঞ্চলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারিত হইবার পুৰ্ব্বেই ব্ৰহ্মদেশ হইতে পূৰ্ব্বাঞ্চলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারিত হয় । শাক্যসিংহের জীবিতকালেই ৰূন্ধে ও সিংহলে বৌদ্ধধৰ্ম্মের কথা কিয়ুৎপরিমাণে প্রচারিত হইয়াছিল । তৎকালে ভারতবর্ষের লোকে বাণিজ্যাৰ্থ যে সকল দ্বীপে ভ্রমণ করিত, সেখানেও ক্রমে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারিত হইয়াছিল। বাহারা বহুকাল সমুদ্রৰাত্র পরিত্যাগ দিয়া কম্বে সমুদ্ৰৰাজাকে জাতিনাশের কারণ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে, তাহার খে একদা সমুদ্রপথে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপমওলে বাণিজ্যোপলক্ষে গমনাগমন করিয়া সেই সকল অনার্য্য জনপদে সভ্যতাবিস্তার করিয়াছিল, তাহা এখন ভারতবর্ধের লোকে বিশ্বত হইয়া গিয়ঃছে । ভারতবাসীর সমুদ্রষা এ কোন পুরাকালে আরন্ধ হইয়াছিল, তাহ নিঃসংশয়ে নির্ণয় করা যায় না । কিন্তু খৃষ্টাবির্ভাবের অস্তুত পাচশত বৎসর পূৰ্ব্বে ও যে ভারতবর্ষের লোকে বাণিজ্যাৰ্থ সমুদ্রপথে বহুদুর পর্য্যস্ত পৰ্য্যটন করিতেন, বৌদ্ধসাহিত্যে তাহার নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। বৌদ্ধশ্রমণগণের প্রথম নেতা কাশুপ, দ্বিতীয় নেতা আনন্দ, তৃতীয় নেতা শাণবাসিক,—তাহা পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে । এই শণবাসিক একজন ধনপতি বণিকু বলিয়। পরিচিত ছিলেন । তিনি বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া বাণিজ্যোপলক্ষে দীর্ঘকাল সমুদ্রপথে পর্য্যটন করিবার সময়ে ভগবান শাক্যসিংহ মহাপরুিনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন। শাণবাসিক স্বদেশে প্রত্যাগত হইয়া গুরুদেবের দেহত্যাগের বৃত্তান্ত অবগত হন এবং সংসারাশ্রম পয়িত্যাগ করিয়া সন্ন্যাস-আশ্রয় গ্রহণ করেন । সাৰ্দ্ধদ্বিসহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে র্যাহারা সমুদ্রপথে নালা দিগেদশে গমনাগমন করিতেন, তাহীদের মধ্যে কেবল শাণবাসিকের নাম এইরূপে

প্রসঙ্গক্রমে বৌদ্ধসাহিত্যে উল্লিখিত হইয়া চিরস্মরণীয় হইয়াছে। - শ্রমণগণ মধ্য-এসিস্থার নানাস্থানে যে সকল বৌদ্ধধৰ্ম্মাসুরক্ত জনসমাজকে বিবিধ বিদ্যাক্স অলঙ্কত করিয়া সভ্যতামার্গে সমুন্নত করিয়া