হইল। তাছাতে বাঙলার আগুশ্রান্ধ ও হিন্দী অর্থব হিন্দুস্থালী ভাষার পিণ্ডদানএকত্রে সম্পন্ন হইল। সেই অদ্ভুত জারজ ভাষায় ভূরি ভুরি গীত রচিত হইল । ষে হিন্দীভাষা এখন পৰ্য্যস্ত গায়কের অবলম্বন, যাহার ললিত-কোমল শ্রুতিমধুর পদাবলীর তুলনা নাই, সেই ভাষাকে কীচকরূপে বধ করিয়া তাহা হইতে উৎকট শ্রুতিপরুষ গীতধ্বনি নিঃসারিত হইতেছে! বালকের এই ভাষায় কথোপকথন বা গীত শ্রবণ করিলে মাতৃভাষা বিস্তৃত হয় । • সঙ্গে সঙ্গে থিয়েটারষাত্রীর দলপরিবর্তন হইয়াছে। পূৰ্ব্বেকার সে রসগ্রাহী শিক্ষিত সম্প্রদায়কে অণর থিয়েটারে দেখিতে পাওয়া যায় না । অশিক্ষিত ও শিক্ষার্থীতে এখন নাট্যালয় পরিপূর্ণ। ষে সকল বালকদিগের নাচমোজরা দেখিবার কখন স্বযোগ হইত না, তাহারা অবলীলাক্রমে ইচ্ছামত থিয়েটারে বিকটহাবভাবযুক্ত নৃত্যাদি দর্শন করিয়া থাকে ! যদি কাহারও মনে এমন ছরাশা হইয়া থাকে যে, এই দেশের থিয়েটারে মিসেস সিডন্স, অথবা এলেন টেরীর মত অভিনেত্রীর আবির্ভাব হওয়া বিচিত্র নহে, তবে তিনি সহজেই চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন করিতে পারেন। . আমাদের নাট্যালয়ের ক্ষুদ্রজীবনের আর* একটি যুগের উল্লেখ না করিলে প্রকৃত কথাই অসম্পূর্ণ রহিয়া যায়। ইতিপূৰ্ব্বে ৰে বর্তমান ঘোর কলিযুগের কথা বলিলাম, উক্ত যুগ উহার পূৰ্ব্বগামী । সেই যুগকে সভ্য, জেতা, কিংবা দ্বাপর নামে অভিহিত কল্প কাৰ্য, তাহাও বিচাৰ্য্য। আপাতত । दछम*नि । তাহার নাম ধৰ্ম্মযুগ দেওয়া যাইতে পারে। সেই সকল নাটকের রচয়িতা স্বয়ং এফজল বিখ্যাত অভিনেতা। সীতার বনবাস, বুদ্ধদেব, চৈতন্যলীলা প্রভৃতি এই শ্রেণীর নাটক । যখন এই সকল নাটক প্রথমে অভিনয় হইতে আরম্ভ হইল, তখন শ্রোতা ও গর্শকদিগের মধ্যে অভিনব উৎসাহ দেখা দিল । লোকে মনে করিল, নাট্যজগতে যুগান্তর উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু গোড়াতেই বিষম গলদ। সীতার বনবাসে লৰকুশের পার্ট কোথায় বালকে অথবা তরুণ সুৰকে অভিনয় করিবে, না স্ত্রীলোকে অভিনয় করিতে লাগিল । চৈতন্ত স্ত্রীলোকে সাজিল । আশ্চর্য্যের কথা এই যে, দর্শকদিগের মনে অথবা সমাজে কাহারও মনে কোন দ্বিধা বা মানি হইল না । প্রথমত যে অভিনয়বিপৰ্য্যয় নিবারণ করিবার জম্ভ থিয়েটারে অভিনেত্রীর সমাগম হইল, সেই ৰিপৰ্য্যয় আরও দোষাবহ হইয়া উঠিল । যদি বালক স্ত্রীলোক সাজিলে রসভঙ্গ হয়, তাহা হইলে স্ত্রীলোকে পুরুষ সাজিলে কি দোষের হয় না ? মুণ্ডিতগুম্ফ প্রমান নদেরচাদ যখন घूर्खौ সাজিয়া হাত নাড়িয়া গান করিত, তখন লোকের আপাদমস্তক জ্বলিয়া উঠিত ; • আর অলক্তকরাগরঞ্জিত শ্ৰীমতী জগদম্বা যখন কুশ, চৈতন্ত কিংবা শ্ৰীকৃষ্ণের বেশে আসরে নামিত, তখন কি দর্শকের চক্ষে কিছুমাজ ৰিসদৃশ ঠেকিত না ? চৈতন্তের তুল্য মহাপুরুষের লীলা থিয়েটারে অভিনয়ৰোগ্য কি ল', তাহাতেই গুরুতর সন্দেহ। মহম্মদের চরিত্র অভিন্ম হইবার প্রস্তাৰ হওয়াতে মুসলমানের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।