পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সণর সত্যের আলোচনা । বিগত প্রবন্ধে বৃহৎ ব্রহ্মাও এবং ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডের পরস্পরের সহিত পরস্পরের সম্বন্ধস্বত্রের পথ ধরিয়া চলিয়া—দুয়েরই উচ্চশিখরে সাৰ্ব্বাত্মিক ঐক্যের কেন্দ্রস্থান রহিয়াছে, আর, সেই কেন্দ্রস্থান বা হিরন্ময় কোষ পৃথিবীর মধ্যে কেবল মন্থষ্যেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এই তত্ত্বটির দ্বারোপান্তে উপনীত হইয়া থামিয়া দাড়ানো হইয়াহিল ; অতঃপর শস্ত্র এবং যুক্তির মসাল ধরিয়া ঐ সাক্ষাৎলব্ধ জ্ঞত্বটির ভিতর-মহলের অন্ধিসন্ধিগুলা পৰ্য্যবেক্ষণ করা আবশুক । তাহারই এক্ষণে চেষ্টা দেখা যাইতেছে । পঞ্চকোষ"। বৃহৎ ব্ৰহ্মাও এবং ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে কেমন যে সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর মিল, তাহার সন্ধান পাইতে হইলে ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ড হক্টতেই যাত্রারম্ভ করা বিধেয় ; কেন না, ক্ষুদ্র ব্রহ্মাও আমাদের হাতের কাছে । শাস্ত্রে লেখে ( বিজ্ঞানপুস্তকেও না লেখে, তাহী নহে, তবে কিনা প্রকারান্তরে) যে, ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাও পঞ্চকোষের সমষ্টি । পঞ্চকোষ হ’চ্চে অল্পময়, প্রাণময়, भप्नॉभब्र, विख्छांनभग्न, ड्ञानम्लमम्र, ७झे *ाँiछछि . কুটুরার-ভিতর-কুটুরী । পঞ্চকোষের ল্যাজামুড়া বাদ দিয়া মাঝের তিনটি কোষ হ’চ্চে थीभभब्र, भट्नांभब्र ७वश् विख्ञानमब्र । “हे ફિનર কোষের পুটুলি-বন্ধি’র নাম স্বক্ষশরীর অবশিষ্ট ছিল জয়মৃর কোষ এবং আনন্দময় কোষ। এই হুইটি কোষ স্বশ্বশরীরের দুই মুড়ার অন্তঃপাতী । অল্পময় কোষের আর-এক নাম স্থলশরীর ; আনন্দময় কোষের আর-এক নাম কারণ-শরীর। নিয়ে দৃষ্টিপাত কর ৪— (১) অল্পময় কোষ ... (১) স্থলশরীর (২ ) প্রাণময় কোষ ● (৩) মনোময় কোষ | (২) স্বক্ষশরীর, (৪) বিজ্ঞানময় কোষ ) , - (৫) আনন্দময় কোষ ... (৩) কারণ-শরীর স্থলশরীরের শিকড়জাল । যিনিই যাহা বলুন, আর, যিনিই যাহা লিখুন— স্বায়ুশব্দের অর্থ Nerve নহে ; স্বায়ুশব্দে বুঝার আর-কিছু না—একপ্রকার অস্থিবন্ধনী রজ্জ ( স্বশ্ৰত দেখ )। Sinewশব্দেও তাহাই বুঝায় । কলিকাতা যখন Calcutta হইতে পারিয়াছে, হৃৎ Heart হইতে পারিয়াছে, নাসা Nose হইতে পারিয়াছে, সংস্কৃতের স্নেহ যখন প্রাকৃতের সিনেহ হইতে পারিয়াছে, তখন স্নায়ু ষে Sinew হইবে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কিছুই নাই—বরং তাঙ্ক । না হওরাই আশ্চৰ্য্য । এই গেল একটা কথা ; আর-একটা কথা এই যে, নাজীশম্বের অর্থ শুধুই যে নাড়িজুড়ি, তাহী নহে ; নাড়ীশব্দের অর্থ—নল । নাড়ী এবং নালী’র মধ্যে “ডলয়েtরভেদঃ” । দেশের মধ্যে যেমন, নদী, নালা, খাল, পুষ্করিণী, ডোবা,