وی \88 বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ মাঘ । করিয়া উন্মুক্ত ক্ষতে লবণপ্রক্ষেপের প্রয়োজন কি ? শুধু বেদন জাগাইবার জন্ত কতকগুলি দুঃখকে সাহিত্যে বরণ করিয়া অান – কবিশক্তির অপব্যয় । কিন্তু রামবনবাসু, সীতাবর্জন কিংবা শ্ৰীকৃষ্ণের মাথুরবর্ণিত দুঃখ অদ্যবিধ । তাহাতে প্রেম কি কৰ্ত্তবাবুদ্ধির মুলে জলসেক করিয়া উহাদিগকে পল্লবিত ও মুকুলিত করিয়া তোলে। এই হিতকর দুঃখকে আমাদের কবিগণ বরণ করিয়া লইয়tcছল, সত্যবান ও সাবিত্রীর কষ্ট, যুধিষ্ঠির বা ভীষ্মের ত্যাগজনিত দুঃখ — এ সমস্ত এক উন্নত কর্তব্যরাজ্যকে মহিমান্বিত করিরা দেখাইতেছে ; কবিগণ সেই সকল চিত্র সকরুণ সৌন্দর্য্যে মণ্ডিত করিয়া আমাদের চক্ষের নিকট উন্মোচন করিতেছেন । মনে করুন, হামলেট কি ওথেলো নাটক;-- ইহাতে কি দেখা যাইতেছে ?—কুটিলতা বা সন্দেহ কিরূপে অস্কুরিত হইয়া বিকাশ পায় —কিংবা শোক কিরূপে ক্ষিপ্ত তার অভিমুখীন হয়—সেই মানসিক ক্রমটি গোচরীভূত করাই নাটকদ্বয়ের মুখ্য উদ্দেশু । অসংঘাত চরিত্রগুলির প্রবৃত্তির পথেই বিকাশ—দুইএকটি স্থলে সংযম ও উন্নত কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি বা প্রেমের একটু আভাস পাওয়া যায় মাত্র । কবি এতগুলি ব্যথার অবতা স্ত্ৰণ করিয়া সনের উপর একটা কঠোর কর্ষণ করিলেন মাত্র, কিন্তু ইহাতে কোন স্বফলের প্রাকৃস্থচলা করিলেন কোথায় ? যখন কেহ দুঃখকে গলাধঃকরণ করিয়া নীলকণ্ঠের সৌম্যমূৰ্ত্তি প্রদর্শন কন্নেন, তখন সেই দুঃখের ইতিহাস জামাদিগকে গরীয়ান করিয়া তুলিতে পারে ; কিন্তু যখন ইঞ্জিয়ের প্রশ্রয়ে বা দৈববিধানে কৃষ্ট দুঃখের অবস্থা মানুষকে ধবংস, খৰ্ব্ব বা ক্ষিপ্ত করির ফেলে, তখন সে পরিচয়ে আমাদের লাভ কি ? এইজন্ত আমাদের কাব্যসাহিত্যে উচ্চতর কৰ্ত্তব্য কিংবা প্রেমের আদেশ সজাগ করিয়া তুলিবার জন্ত যে সকল দুঃখের বর্ণল আছে -- তাহ উৎকট হইলেও মহৌষধের দ্যায় অসুস্থচিত্তকে নিরাময় ও সবল করিয়া তোলে । কোন মই দৃশু ঘোষণা করিবার জন্ত যেরূপ একট। কৃষ্ণচৰ্ম্ম দীর্ঘাকৃতি ইথিওফ, শুভ্র বিজয়বাৰ্ত্তরে নিশান লইয়া অগ্রদূতস্বরূপ সুন্দরসজ্জিত দলবলের পূৰ্ব্বে উপস্থিত ইয়, আমাদের মহাকাব্যের মহত্ত্বদীপ্ত ঘটল ও নির উচচলক্ষ্য প্রতিপন্ন করিবার জহু কবিগণ সেই রূ । দুঃখের বিকটমুৰ্বি অ কিয়া থাকেন — কিন্তু তাহার কুণ্ডলে প্রজ্ঞ) ও কৰ্ত্তব্যের দুই টি ই জল রত্ন জ্যোতি বিচ্ছুরিত করিয়া তাহার উপস্থিতিকে সথিক করিয়া দেয় । আমাদের প্রাচীন কাব্যবর্ণিত খের কালিমা সৰ্ব্বদাই কেন সেচ লক্ষ্য দ্বি গুণতররূপে উদ্ভাসিত করিয়া দের,—মধু বিভাবিক দেখাইবার জন্ত তাহার আগমন হয় না । আমরা প্রবৃত্তি-অণকৃষ্ট হঃখের স্থাত হইতে পরিত্রগণ পাইবর জন্ত সতত আৰ্ত্তি—নায়াবাদের শরণ হাইরা জালী ভুলিতে চ:ই, তার ,তাহারা নিরর্থক সেই দুঃখকে বরণ করিয়া মনে একটু কষ্ট বা বেদন বোধ ও গণহস্থ্যস্নেহের চৈতন্ত জন্মাইতে চায় । ইহাতে দেখা দায়, গtহস্থ্যজীবনের শেব শিক্ষা আমাদের হইয়া - গিয়াছে এবং তাহারা সেই শিক্ষার জন্ত লীলায়িত । গার্হস্থ্যজীবনের শিক্ষা বে তাহীদের তেমন সম্পূর্ণতালাভ কন্নে নাই, তাহদের মহা লক্ষ্যের পশ্চাতে চলে ও
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।